মানুষকে আল্লাহ তাআলা সৃষ্টি করেছেন তাঁর প্রতিনিধি বা খলিফা হিসাবে । এ সৃষ্টির উদ্দেশ্যই হলো আল্লাহ তাআলার বন্দেগী করা ।পবিত্র কোরআন মজিদের ঘোষণা,”আমি জ্বীন এবং মানুষকে আমার ইবাদত ছাড়া আর কোন উদ্দেশ্যেই সৃষ্টি করিনি”।অর্থাৎ আমাদের জীবনের প্রতিটি কাজই ইবাদত ।ব্যক্তিজীবনের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিষয় থেকে শুরু করে বৃহত্তর অঙ্গনের যাবতীয় কাজ কর্ম সবই ইবাদত । ইবাদত অর্থ গোলামি বা দাসত্ব ।নিঃশর্তভাবে আল্লাহর দেওয়া বিধি নিষেধ আইন -কানুন মেনে চলার নামই ইবাদত।একজন গোলাম যেমন সার্বক্ষণিকভাবে তার মালিকের হুকুম মেনে চলবে তেমনিভাবে আল্লাহর হুকুম-আহকাম মেনে চলবে।সেটা রাজনৈতিক হোক বা অর্থনৈতিক –সামাজিক যাই হোক না কেন।

আল্লাহ তাআলা এই গোলামি করার জন্য আমাদেরকে সীমিত কিছু স্বাধিনতা দিয়ে দিয়েছেন।সেটা হলো ইচ্ছার স্বাধীনতা।আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে বাধ্য করেননি তার আদেশ নিষেধ মানতে ।যদিও আমাদের দেহের সমস্ত অঙ্গ- প্রতঙ্গসহ দুনিয়ার যাবতিয় সৃষ্টি ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক আল্লাহর দাসত্ব করছে।কাজেই আমাদের দায়িত্ব এবং জ্ঞান বুদ্ধির দাবি আল্লাহর আইন মেনে চলা। আল্লাহর আইন মেনে চলতে হলে মুসলমান হিসেবে প্রথম এবং প্রধান যে দায়িত্ব এসে যায় তা হল আত্মগঠন । অন্যকথায় ,নিজেকে পুরোপুরি মুসলমান বানানো ।আর এর জন্য প্রয়োজন জ্ঞান।প্রকৃত জ্ঞান ছাড়া আত্বগঠন কিছুতেই সম্ভব নয়। পবিত্র কুরআনে প্রথম নির্দেশই এসেছে ‘ইকরা’ পড়! পড় তোমার রবের নামে।রাসূল (সাঃ) ও পরিষ্কার নির্দেশ দিয়েছেন। নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবার জন্য এ নির্দেশ।
‘জ্ঞানার্জন প্রত্যেক নারী-পুরুষ সবার জন্য ফরয’(আল হাদীস)
শুধু জ্ঞান অর্জন করলেই হবেনা । অর্জিত জ্ঞান জীবনে কাজে লাগাতে হবে।জীবন থেকে খুঁটেখুঁটে যাবতীয় অন্যায় অসত্যকে বের করে দূরে নিক্ষেপ করতে হবে আর সেখানে প্রতিস্থাপিত করতে হবে কুরআন সুন্নাহ থেকে অর্জিত গুণাবলী। ন্যায়কে অন্যায় থেকে পৃথক করার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।
আত্মগঠনের পাশাপাশি পরিবার গঠনের ব্যাপারেও সচেষ্ট এবং সক্রিয় হতে হবে। একজন নারী হতে পারে পরিবারের মাতা ,কন্যা ,বধূ ইত্যাদি।পরিবারে তার অবস্থান যাই হোক না কেন,সব অবস্থাতেই সে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্ত এ জন্য প্রয়োজন কূরআন সুন্নাহ ভিত্তিক জ্ঞান ও চরিত্র। একজন মাকে সন্তানের জন্মলগ্ন থেকেই তার ইসলামী চরিত্র গঠনের দিকে মনোযোগী হতে হবে। বরং সন্তান গর্ভে আসার সময় থেকেই তাকে সতর্ক হতে হবে । কারণ মায়ের আচার- আচরণ গর্ভস্থ সন্তানের উপর দারুন প্রভাব ফেলে। একজন মানুষ দুই ধরনের অবস্থার মধ্যে বেড়ে উঠে এ্ক Hereditary . দুই .Environmental Heredirary চরিত্র সে পায় বাবা-মার চরিত্র থেকে। এরপর দুনিয়াতে আসার পর যে পরিবেশ সে অনুযায়ীই সে গড়ে উঠে ।
বর্তমানে আমাদের পরিবারগুলোতে দু ধরনের অবস্থা বিরাজ করছে ।এক পুরাতন আমলের জাহেলী রসম-রেওয়াজ,যার কোনোটা শিরক কোনোটা বিদ’আত ।ধর্মের নামে সওয়াবের আশায় এগুলো আমাদের পরিবার গুলতে চালু আছে ।দুই পাশ্চাত্যের রসম যা আধুনিকতার নামে চালু আছে।এ দুই ধরনের অবস্হা থেকেই পরিবারগুলোকে মুক্ত করতে হবে।কোনো গোঁড়ামি যেমন নয় তেমনি কোনো উচ্ছৃঙ্খলতাকেও প্রশ্রয় দেওয়া যাবেনা।বরং কুরআন যে নির্দেশ দিচ্ছে –রাসূল (সাঃ) –যে পথ অনুসরণ করেছেন তারই বাস্তব অনুসারী হতে হবে। ইসলাম মানুষের উপর অবাস্তব অসম্ভব কোনো কিছু চাপিয়ে দেয়নি।কুরাআন – সুন্নাহর প্রতিটি নিয়ম কানুনই অত্যন্ত সুন্দর এবং কল্যাণকর ও বাস্তবস্মত।প্রয়োজন শুধু বুঝে এগুলোর সঠিক অনুসরণ।
আল্লাহ তাআলা এই গোলামি করার জন্য আমাদেরকে সীমিত কিছু স্বাধিনতা দিয়ে দিয়েছেন।সেটা হলো ইচ্ছার স্বাধীনতা।আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে বাধ্য করেননি তার আদেশ নিষেধ মানতে ।যদিও আমাদের দেহের সমস্ত অঙ্গ- প্রতঙ্গসহ দুনিয়ার যাবতিয় সৃষ্টি ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক আল্লাহর দাসত্ব করছে।কাজেই আমাদের দায়িত্ব এবং জ্ঞান বুদ্ধির দাবি আল্লাহর আইন মেনে চলা। আল্লাহর আইন মেনে চলতে হলে মুসলমান হিসেবে প্রথম এবং প্রধান যে দায়িত্ব এসে যায় তা হল আত্মগঠন । অন্যকথায় ,নিজেকে পুরোপুরি মুসলমান বানানো ।আর এর জন্য প্রয়োজন জ্ঞান।প্রকৃত জ্ঞান ছাড়া আত্বগঠন কিছুতেই সম্ভব নয়। পবিত্র কুরআনে প্রথম নির্দেশই এসেছে ‘ইকরা’ পড়! পড় তোমার রবের নামে।রাসূল (সাঃ) ও পরিষ্কার নির্দেশ দিয়েছেন। নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবার জন্য এ নির্দেশ।
‘জ্ঞানার্জন প্রত্যেক নারী-পুরুষ সবার জন্য ফরয’(আল হাদীস)
শুধু জ্ঞান অর্জন করলেই হবেনা । অর্জিত জ্ঞান জীবনে কাজে লাগাতে হবে।জীবন থেকে খুঁটেখুঁটে যাবতীয় অন্যায় অসত্যকে বের করে দূরে নিক্ষেপ করতে হবে আর সেখানে প্রতিস্থাপিত করতে হবে কুরআন সুন্নাহ থেকে অর্জিত গুণাবলী। ন্যায়কে অন্যায় থেকে পৃথক করার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।
আত্মগঠনের পাশাপাশি পরিবার গঠনের ব্যাপারেও সচেষ্ট এবং সক্রিয় হতে হবে। একজন নারী হতে পারে পরিবারের মাতা ,কন্যা ,বধূ ইত্যাদি।পরিবারে তার অবস্থান যাই হোক না কেন,সব অবস্থাতেই সে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্ত এ জন্য প্রয়োজন কূরআন সুন্নাহ ভিত্তিক জ্ঞান ও চরিত্র। একজন মাকে সন্তানের জন্মলগ্ন থেকেই তার ইসলামী চরিত্র গঠনের দিকে মনোযোগী হতে হবে। বরং সন্তান গর্ভে আসার সময় থেকেই তাকে সতর্ক হতে হবে । কারণ মায়ের আচার- আচরণ গর্ভস্থ সন্তানের উপর দারুন প্রভাব ফেলে। একজন মানুষ দুই ধরনের অবস্থার মধ্যে বেড়ে উঠে এ্ক Hereditary . দুই .Environmental Heredirary চরিত্র সে পায় বাবা-মার চরিত্র থেকে। এরপর দুনিয়াতে আসার পর যে পরিবেশ সে অনুযায়ীই সে গড়ে উঠে ।
বর্তমানে আমাদের পরিবারগুলোতে দু ধরনের অবস্থা বিরাজ করছে ।এক পুরাতন আমলের জাহেলী রসম-রেওয়াজ,যার কোনোটা শিরক কোনোটা বিদ’আত ।ধর্মের নামে সওয়াবের আশায় এগুলো আমাদের পরিবার গুলতে চালু আছে ।দুই পাশ্চাত্যের রসম যা আধুনিকতার নামে চালু আছে।এ দুই ধরনের অবস্হা থেকেই পরিবারগুলোকে মুক্ত করতে হবে।কোনো গোঁড়ামি যেমন নয় তেমনি কোনো উচ্ছৃঙ্খলতাকেও প্রশ্রয় দেওয়া যাবেনা।বরং কুরআন যে নির্দেশ দিচ্ছে –রাসূল (সাঃ) –যে পথ অনুসরণ করেছেন তারই বাস্তব অনুসারী হতে হবে। ইসলাম মানুষের উপর অবাস্তব অসম্ভব কোনো কিছু চাপিয়ে দেয়নি।কুরাআন – সুন্নাহর প্রতিটি নিয়ম কানুনই অত্যন্ত সুন্দর এবং কল্যাণকর ও বাস্তবস্মত।প্রয়োজন শুধু বুঝে এগুলোর সঠিক অনুসরণ।
0 comments:
Post a Comment