Wednesday, May 28, 2014

সকল মুসলিম ভাইদের প্রতি আমার অনুরোধ রইল একবার পড়ে দেখার জন্য কোন সময় নষ্ট হবে না বা কোন ক্ষতি হবে না।আপনার লাভের আসঙ্কাই সবটুকু ১০০% গ্যারান্টি


আসসালামু আলাইকুম।কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভালই আছেন।
দয়া করে একটু সময় নিয়ে মনোযোগ দিয়ে পড়ুন আশা রি কোন সময় নষ্ট হবে না বা কোন ক্ষতি হবে না।আপনার লাভের আসঙ্কাই সবটুকু ১০০% গ্যারান্টি।মৃত্যুরপর আগত অবস্থার উপরঈমানঃ হাদিস-১৪০
হযরত বারা ইবনে যেব রদিয়াল্লহু নহু ( ﺍﻟْﺒﺮﺍﺀِ ﺑْﻦﻋﺎﺯﺏٍ ﺭﺿﻰ
ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨْﻪ ) বর্ণনা করেনযে, আমরা নবী করীমসল্লাল্লহু
লাইহি ওয়া সাল্লামেরসঙ্গে এক আনসারী সাহাবীর

জানাযায় (কবরস্থানে) গেলাম যখনআমরা কবরের নিকট 
পৌঁছলাম তখনও কবর খননশেষ হইয়া ছিল না নবীকরীম
সল্লাল্লহু লাইহি ওয়াসাল্লাম (কবর তৈয়ার হওয়ার
অপেক্ষায়) বসিলেন আরআমরাও তাঁহার
চারিপাশে এমনভাবে মনযোগ সহকারে বসিয়াগেলাম যেন
আমাদের মাথার উপর পাখীবসিয়া আছে তাঁহার
হাতে একটি কাঠি ছিল
যাহা দ্বারা তিনি মাটিখোঁচাইতে ছিলেন (কোনগভীর
চিন্তামগ্ন অবস্থায় এইরূপ হইয়া থাকে) অতঃপর
তিনি তাঁহার মাথা উঠাইলেনএবং দুই অথবা তিনবার
বলিলেন, কবরের আযাব হইতেআল্লহ তায়ালার নিকটআশ্রয়
প্রার্থনা কর অতঃপরবলিলেন, (আল্লহ তায়ালারমুমিন
বান্দা এই দুনিয়া হইতেস্থান পরিবর্তন করিয়া যখন বরযখের
জগতে পৌঁছে অর্থাৎ তাহাকেকবরে দাফন করিয়া দেওয়াহয়
তখন) তাহার নিকট দুইজনফিরিশতা আসেন
তাহারা তাহাকে বসানঅতঃপর তাহাকে প্রশ্ন করেন,
তোমার রব কে? সেবলে আল্লহ আমার রব পুনরায়প্রশ্ন
করেন, তোমার দ্বীন কি? সে বলে ইসলাম আমারদ্বীন
আবার প্রশ্ন করেন, এইব্যক্তি যাঁহাকে তোমাদের
মধ্যে (নবী বানাইয়া) পাঠানোহইয়াছিল অর্থাৎ মুহাম্মাদ
সল্লাল্লহু লাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁহার ব্যাপারে তোমার
কি ধারণা? সে বলেতিনি আল্লহ তায়ালাররসুল
ফেরেশতারা বলেন, তোমাকে ইহাকে বলিয়াছে? অর্থাৎ
তাঁহার রসুল হওয়া সম্পর্কেকিরূপে জানিয়াছ?
সে বলে আমি আল্লহতায়ালার কিতাব পড়িয়াছি, উহার
উপর ঈমান আনিয়াছি এবংউহাকে সত্য বলিয়া মানিয়াছি
অতঃপর রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু লাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ
করিলেন, (মুমিন বান্দা যখনফেরেশতাদের জিজ্ঞাসাবাদের
উত্তর ঠিক ঠিক দিয়াদেয় তখন) একজন ঘোষণাকারীআসমান
হইতে ঘোষণা করেন অর্থাৎআল্লহ তায়ালার পক্ষ
হইতে আসমান হইতে ঘোষণাকরা হয় যে, আমারবান্দা সত্য
বলিয়াছে, সুতরাং তাহার জন্যজান্নাতের
বিছানা বিছাইয়া দাও, তাহাকে জান্নাতেরপোষাক
পড়াইয়া দাও এবং তাহারজন্য জান্নাতের
দিকে একটা দরজা খুলিয়াদাও
(সুতরাং দরজা খুলিয়া দেওয়াহয়) এবং
দরজা দিয়া জান্নাতের মিষ্টিবাতাস এবং সুগন্ধ
আসিতে থাকে আরকবর তাহার জন্য দৃষ্টিসীমা পর্যন্ত
প্রশস্ত করিয়া দেওয়া হয় (রসুলুল্লহসল্লাল্লহু
লাইহি ওয়া সাল্লামমৃত্যুবরণকারী মুমিনের এইরূপ
অবস্থা বর্ণনা করিলেন)
অতঃপর তিনি কাফেরের মৃত্যুরআলোচনা করিলেন
এবং এরশাদ করিলেন, মৃত্যুরপর তাহার রূহ তাহার
শরীরে ফিরাইয়া দেওয়া হয় এবংতাহার নিকট() দুইজন
ফেরেশতা আসেন, তাহারা তাহাকেবসান এবং প্রশ্ন করেন
তোমার রব কে? সেবলে হায় আফসোস, আমিকিছু জানি না
অতঃপর ফেরেশতারা তাহাকে জিজ্ঞাসা করেনতোমার
দ্বীন কি ছিল? সেবলে হায় আফসোস, আমিকিছু জানি না
অতঃপর ফেরেশতারা তাহাকে বলেন, এই
ব্যক্তি যাঁহাকে তোমাদের মধ্যে (নবী বানাইয়া)
পাঠানো হইয়াছিল তাঁহার ব্যাপারে তোমারধারণা ছিল?
সে তখনও ইহাই বলে, হায় আফসোস, আমি কিছুজানি না
(এই প্রশ্ন উত্তরের পর) আসমান হইতে একজন
ঘোষণাকারী আল্লহ তায়ালারপক্ষ হইতে ঘোষণা করেন, এই
ব্যক্তি মিথ্যা বলিয়াছেঅতঃপর (আল্লহ তায়ালারপক্ষ
হইতে) এক ঘোষণাকারী ঘোষণাকরেন যে, তাহার জন্য
আগুনের বিছানা বিছাইয়া দাও, তাহাকে আগুনের পোষাক
পড়াইয়া দাও এবং তাহারজন্য দোযখের
একটি দরজা খুলিয়া দাও (সুতরাংএই সবকিছু
করিয়া দেওয়া হয়) রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু
লাইহি ওয়া সাল্লামবলেন, (দোযখের দরজাদিয়া)
দোযখের উত্তাপ ঝলসানোবাতাস তাহার নিকট
পৌঁছিতে থাকে আরতাহার উপর কবর এতসংকীর্ণ
করিয়া দেওয়া হয় যে, উহার কারণে তাহার
পাঁজরগুলি একটি অন্যটির মধ্যেঢুকিয়া যায় ( আবুদাউদ )
ফায়দাঃ কাফেরদের ব্যাপারে ইহা বলা যে,
সে মিথ্যা বলিয়াছে ইহারঅর্থ হইল, ফেরেশতাদের প্রশ্নের
উত্তরে কাফেরদের অজ্ঞতা প্রকাশ করামিথ্যা
কেননা প্রকৃতপক্ষে যে আল্লহ তায়ালার একত্ববাদ তাঁহার
রসুল এবং দ্বীন ইসলামেরঅস্বীকারকারী ছিল
মুন্তাখাব হাদিস (দারুল কিতাব, জানুয়ারী ২০০২)
পৃষ্ঠা ১১৯-১২১
মৃত্যুর পর আগত অবস্থারউপর ঈমানঃ হাদিস-১৩৯
হযরত আবু সাঈরদিয়াল্লহু নহু ( ﺃﺑﻰْﺳﻌﻴْﺪ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨْﻪ) বলেন,
একবার রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু লাইহি ওয়াসাল্লাম নামাযের
জন্য মাসজিদে আসিলেন দেখিলেনযে, হাসির কারণে কিছু
লোকের দাঁত দেখা যাইতেছে রসুলুল্লহসল্লাল্লহু
লাইহি ওয়া সাল্লামএরশাদ করিলেন,
যদি তোমরা স্বাদবিনষ্টকারী মৃত্যুকেবেশী বেশী স্মরণ
করিতে তবে তোমাদের এইঅবস্থা হইত
না যা আমি দেখিতেছি
সুতরাং স্বাদবিনষ্টকারী মৃত্যুকে বেশী বেশী স্মরণকর
কেননা কবরের উপর এমনকোনদিন যায় না যেদিনসে এই
আওয়াজ দেয় না যে, আমি অপরিচিতের ঘর,
আমি একাকিত্বের ঘর, আমি মাটিরঘর, আমি পোকামাকড়ের
ঘর যখনমুমিন বান্দা কে দাফনকরা হয় তখন কবর
তাহাকে বলে, তোমার আগমনবরকতময় হউক খুবভাল করিয়াছ
যে তুমি আসিয়া গিয়াছ যতলোক আমার উপর
চলাফেরা করিত তাহাদের সকলেরমধ্যে তুমিই আমার নিকট
সবচেয়ে বেশী পছন্দনীয় ছিলে আজযখন তোমাকে আমার
সোপর্দ করা হইয়াছে এবংআমার নিকট আসিয়াছ তখনআমার
উত্তম ব্যবহারও দেখিতে পাইবেঅতঃপর যতদূর পর্যন্ত মৃত
ব্যক্তির দৃষ্টি পৌঁছিতে পারেকবর তাহার জন্য প্রশস্ত
হইয়া যায় এবংতাহার জন্য একটা দরজাজান্নাতের
দিকে খুলিয়া দেওয়া হয়
আর যখন কোন গুনাহগারঅথবা কাফেরকে কবরে রাখা হয়তখন
কবর বলে, তোমার আগমনবরকতময় না হউক, তুমিআসিয়াছ খুব
মন্দ করিয়াছ, যত লোক আমারউপর
চলাফেরা করিতে তাহাদের সকলেরমধ্যে তোমার প্রতিই
আমার বেশী ঘৃণা ছিল আজযখন তুমি আমার সোপর্দহইয়াছ,
তখন আমার দুর্বাব্যহারও দেখিতেপাইবে অতঃপরকবর
তাহাকে এমনভাবে চাপ দেয় যে, একদিকের পাঁজর অন্য
দিকের পাঁজরে ঢুকিয়া যায় রসুলুল্লহসল্লাল্লহু
লাইহি ওয়া সাল্লামএকহাতের আঙ্গুলসমূহ অন্য হাতের
আঙ্গুলসমূহের মধ্যে ঢুকাইয়া বলিলেনযে, এইভাবে একদিকের
পাঁজর অন্যদিকে ঢুকিয়া যায়আর আল্লহ তায়ালাতাহার
উপর এমন সত্তরটি অজগরসাপ নিযুক্ত করিয়া দেন যাহারমধ্য
হইতে একটিও যদি জমিনেরউপর শ্বাস ফেলে তবেউহার
(বিষের) প্রভাবে কিয়ামাত পর্যন্ত জমিনে ঘাস উৎপন্ন
হওয়া বন্ধ হইয়া যাইবে উহারাতাহাকে কিয়ামাত পর্যন্ত
কামড়াইতে দংশন করিতেথাকিবে নবীকরীম সল্লাল্লহু
লাইহি ওয়া সাল্লামএরশাদ করিয়াছেন, কবর জান্নাতের
একটি বাগান হইবে অথবাজাহান্নামের একটি গর্ত
( তিরমিযী )
মুন্তাখাব হাদিস (দারুল কিতাব, জানুয়ারী ২০০২)
পৃষ্ঠা ১১৭-১১৮
মৃত্যুর পর আগত অবস্থারউপর ঈমানঃ হাদিস-১৩৮
হযরত সমান ইবনেফফান রদিয়াল্লহু নহু ( ﻋﺜْﻤﺎﻥ ﺑْﻦﻋﻔّﺎﻥ
ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨْﻪ ) হইতেবর্ণিত আছে যে, রসুলুল্লহসল্লাল্লহু
লাইহি ওয়া সাল্লামযখন কোন মৃত ব্যক্তিকেদাফন
করিয়া অবসর হইতেন, তখনকবরের পাশে দাঁড়াইতেন
এবং এরশাদ করিতেন, তোমাদেরভাইয়ের জন্য আল্লহ
তায়ালার নিকট মাগফিরাতেরদোয়া কর এবং এইদোয়া কর
যে, আল্লহ তায়ালাতাহাকে (প্রশ্নের উত্তরে) অটল
রাখেন, কেননা এখন তাহাকেজিজ্ঞাসাবাদ করা হইতেছে
( আবু দাউদ )
মুন্তাখাব হাদিস (দারুল কিতাব, জানুয়ারী ২০০২)
পৃষ্ঠা ১১৬-১১৭
মৃত্যুর পর আগত অবস্থারউপর ঈমানঃ হাদিস-১৩৭
হযরত সমান রদিয়াল্লহুনহু ( ﻋﺜْﻤﺎﻥ ﺭﺿﻰﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨْﻪ ) এর আযাদকৃত
গোলাম হযরত হানী রহমাতুল্লহলাইহি বলেন যে, হযরত
সমান রদিয়াল্লহু নহু ( ﻋﺜْﻤﺎﻥ ﺭﺿﻰﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨْﻪ ) যখন কোনকবরের
পাশে দাঁড়াইতেন তখন খুব কাঁদিতেন এমনকি চোখের
পানিতে দাড়ি ভিজাইয়া ফেলিতেন তাঁহারনিকট আরজ
করা হইল, (কি ব্যাপার) আপনি জান্নাত জাহান্নামের
আলোচনায় কাঁদেন না, আরকবর দেখিয়া এত কাঁদেন?
তিনি বলিলেন, রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু লাইহি ওয়াসাল্লাম
এরশাদ করিয়াছেন, কবর আখেরাতের ঘাঁটিসমূহের মধ্যে প্রথম
ঘাঁটি, যদি বান্দা ইহাহইতে নাজাত পাইয়া যায়
তবে পরবর্তী ঘাঁটিসমুহ উহা হইতে সহজহইবে, আর যদি এই
ঘাঁটি হইতে নাযাত নাপায়, তবে পরবর্তী ঘাঁটিসমূহ
উহা হইতে বেশী কঠিনহইবে রসুলুল্লহসল্লাল্লহু
লাইহি ওয়া সাল্লাম(ইহাও) এরশাদ করিয়াছেন,
আমি কবরের দৃশ্য হইতেভয়ানক কোন দৃশ্য দেখিনাই
( তিরমিযী )
Start Total count: 27:06:2014


0
সকল মুসলিম ভাইদের প্রতি আমার অনুরোধ রইল একবার পড়ে দেখার জন্য  কোন সময় নষ্ট হবে না বা কোন ক্ষতি হবে না।আপনার লাভের আসঙ্কাই সবটুকু ১০০% গ্যারান্টি সকল মুসলিম ভাইদের প্রতি আমার অনুরোধ রইল একবার পড়ে দেখার জন্য কোন সময় নষ্ট হবে না বা কোন ক্ষতি হবে না।আপনার লাভের আসঙ্কাই সবটুকু ১০০% গ্যারান্টি

আসসালামু আলাইকুম।কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভালই আছেন। দয়া করে একটু সময় নিয়ে মনোযোগ দিয়ে পড়ুন আশা ক রি কোন সময় নষ্ট হবে না বা কোন ক্ষতি হবে না...

 
biz.