Friday, January 23, 2015

এখনি ডাউনলোড করে নিন মাইক্রোশফট অফিসের (Microsoft Office) এর বিকল্প সফটওয়্যার- কিংসফট অফিস স্যুইট 2014 (মাত্র ৬২ এম বি)


আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন বন্ধুরা সবাই। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালই আছেন। কিংসফট অফিস স্যুইট একটি মুক্ত অফিস স্যুইট, যাতে ওয়ার্ড প্রসেসর, স্প্রেডসিট প্রোগ্রাম এবং প্রেজেন্টেশন মেকার অন্তর্ভূক্ত আছে । তিন ধরনের প্রোগ্রাম আপনাকে অফিসের কাজগুলো সহজেই করতে সহায়তা করবে ।

১.রাইটার (Writer) - দক্ষ ওয়ার্ড প্রসেসর

২.প্রেজেন্টেশন (Presentation) - মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশন ক্রিয়েটর,

৩. স্প্রেডসিটস্ (Spreadsheet) - ডেটা প্রসেসিং এবং ডেটা বিশ্লেষনের জন্য রয়েছে শক্তিশালী টুল

যদিও এটি একটি ফ্রি স্যুইট, যাতে রয়েছে আরো অনেক ফিচার যেমন:- প্যারগ্যারাফ এ্যাডজাস্টমেন্ট টুল, এবং মাল্টিপল ট্যাবড ফিচার । এতে অফিস টু পিডিএফ কনভার্টার, অটোমেটিক স্পেলিং চেকিং এবং ওয়ার্ড কাউন্টার
ডকুমেন্টে ওয়াটার মার্ক ইন ডকুমেন্ট এবং পাওয়ার পয়েন্টকে ওয়ার্ড এ পরিবর্তনও করতে পারে। তাহলে আর দেরি না করে এখনি ডাউনলোড করে নিন মাইক্রোশফট অফিসের (Microsoft Office) এর বিকল্প সফটওয়্যার- কিংসফট অফিস স্যুইট
ডাউনলোড লিঙ্কঃ

Thursday, January 22, 2015

ডাউনলোড করে নিন লেটেস্ট CCleaner 5.01.5075 Professional version


আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন বন্ধুরা সবাই।আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালই আছেন। পিসি অপটিমাইজ ও ক্লিন রাখার জন্য বেস্ট সফটওয়্যার হল প্রিফর্ম এর CCleaner! পিসি ইউজাররা কম-বেশি সবাই CCleaner সফটওয়্যার ইউস করে থাকেন। পিসিতে জমা  হাজারো অপ্রয়োজনীয় বা junk ফাইল, টেমপোরারি ইন্টারনেট ফাইল, অকেজো কুকি, অকেজো ও অব্যবহৃত রেজিস্ট্রি কীসহ আবর্জনা পরিষ্কার করতে অন্যতম দক্ষ এই সফটওয়্যার। মাত্র 5 এমবি সাইজের সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নিন। আজ নিয়ে আসলাম লেটেস্ট CCleaner 5.01.5075 Professional version এবং একদম লেটেস্ট ভার্সন। শুধু ইন্সটল করুন আর Professional version  উপভোগ করুন।
পিসি Cleaning সফটওয়্যার, এর দ্বারা যেসব সুবিধা পাবেন দ্রুততর Computer,নিরাপদ ব্রাউজিং,কম Error এবং Crash,দ্রুততর স্টার্ট আপ
নিচের লিঙ্ক থেকে ডাউনলোড  করুন

Sunday, January 18, 2015

এবার খুশকি বিদায় করুন চিরতরে


সারাক্ষণ মাথার তালুতে অস্বস্তিকর একটা অনুভূতি ছাড়াও পোষাকের কাঁধের কাছে সাদা সাদা গুঁড়ো গুঁড়ো খুশকি পরে থাকা আপনার ব্যক্তিত্বকেও অনেকটাই ম্লান করে দেয়। প্রিয়জনের সামনে এই খুশকির ক্রাণে আপনি পড়ে যেতে পারেন বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতিতেও। অথচ খুশকি রোধ করা কিন্তু খুব কঠিন কিছু নয়। প্রয়োজন কিছু ভালো অভ্যাসের। যা আপনি গড়ে তুলতে পারেন সহজেই!

আপনারই জন্যে রইলো কিছু টিপসঃ

১) চুল ঢেকে রাখুনঃ

রাস্তার ধুলো বালি খুব সহজেই আপনার চুলের সংস্পর্শে আসে ও মাথার তালুতে
বসে গিয়ে জন্ম দেয় খুশকির। ধুলো বালিপুর্ণ রাস্তায় যখন বের হচ্ছেন তখন ওড়না বা স্কার্ফ দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন। ছেলেরা ক্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। খুশকি কম হবে।

২) বালিশের কভার বদলে নিনঃ

চেষ্টা করুন প্রতিদিন একই বালিশের কভার ব্যবহার না করতে। সাধারণ পানিতে ধুয়ে রোদে শুকোতে দিন। তাহলে বালিশে লেগে থাকা মাথা থেকে ঝরে পড়া খুশকির কারনে চুল বা ত্বক ক্ষতিগ্রস্থ হবে না।

৩) চুলে তেল দিয়ে রাখবেন নাঃ

চুলে তেল দিয়ে চেষ্টা করুন ২ ঘন্টা বা এক রাতের বেশি না রাখার। চুলে তেল দিয়ে কয়েক দিন থাকা বা সেই অবস্থায় বাইরে গেলে বাতাসের ধুলাবালি সহজেই চুলে আটকে যায়। এ থেকে দ্রুত খুশকি হতে পারে।

৪) চিরুনী আলাদা রাখুনঃ

আপনার খুশকি তাড়ানো ও প্রতিরোধের জন্যে সবার আগে চিরুনীর দিকে খেয়াল রাখুন। প্রতিদিন একটু শ্যাম্পু দিয়ে ব্রাশের সাহায্যে ঘষে ধুয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন আপনার চিরুনী যাতে অন্য কেউ ব্যবহার না করে।

৫) নিয়মিত শ্যাম্পু করুনঃ

নিয়মিত ভালো কোম্পানীর শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। মাথার তালুতে ময়লা জমতে দেবেন না। কয়েক মাস পর পর শ্যাম্পুর ব্র্যান্ড বদলে নিন।

৬) শ্যাম্পু বদলে নিনঃ

চুলে খুশকি দেখামাত্রই আপনার শ্যাম্পু বদলে নিন। কিছুদিন এন্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। কন্ডিশনার ব্যবহার করতে ভুলবেন না। নয়তো এন্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পুতে থাকা অতিরিক্ত ক্ষার, সিলিকন, সালফেট আপনার চুলকে আরো রুক্ষ করে দেবে।

৭) হট টাওয়েল ট্রিটমেন্টঃ

খুব সহজ এই পদ্ধতিতে না লাগে খুব বেশি বা মূল্যবান উপাদান আর খুব বেশি সময়ও লাগে না। এতে খুব দ্রুত আপনি রেহাই পাবেন খুশকির যন্ত্রনা থেকে। মাথার তালুতে ভালো ভাবে তেল ম্যাসাজ করুন। যাতে প্রতিটি চুলের গোড়ায় তেল লাগে। এবার পানি গরম করুন। একটি তোয়ালে পানিতে ডুবিয়ে পানি হাল্কা ভাবে চিপে ঝরিয়ে নিন। এবার ভালোভাবে মাথায় পেঁচিয়ে নিন। ১৫ মিনিট রাখুন। এতে মাথার খুশকী নরম হয়ে যাবে ও তালু থেকে উঠে আসবে। এবার ভালো কোন এন্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে একদিন করুন। দেখবেন খুশকী গায়েব! আর চুলও হয়ে উঠেছে রেশমী কোমল।


৮) রোদে বের হবার আগেঃ

রোদে বেরুবার আগে ছাতা বা স্কার্ফ ব্যবহার করুন। সূর্যের রশ্মি আপনার চুল ও মাথার তালুকে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ করে ও খুশকি বাড়িয়ে দেয়।

৯) খাবারঃ

ফাস্টফুড, কোল্ড ড্রিঙ্কস যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। তার বদলে প্রচুর পানি, প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ও ফলমূল খান। খুশকি প্রতিরোধের পাশাপাশি আপনার চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

টমেটো দিয়ে রূপচর্চার উপকারিতা


১। ত্বক পরিষ্কার করতে বেসন বা উপটানের সঙ্গে টমেটোর রস মিশিয়ে মুখে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ভেতর থেকে আপনার ত্বক পরিষ্কার হবে।


২। ত্বকের পোড়াভাব দূর করতে বাইরে থেকে ফিরে মুখে, গলায় ও হাতে টমেটোর রস লাগান।শুকিয়ে গেলে আরো একবারলাগান। ২০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহার করলে রোদে পোড়া দাগ থাকবে না।


৩। মুখভর্তি দাগ বা ব্রণ দূর করতে টমেটোর রস, কাঁচা হলুদ আর মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করুন। দাগ দূর হবে আর ব্রণ তাড়াতে এই প্যাকের সাথে সামান্য নিমপাতা বাটা মিশিয়ে নিন।



৪। চোখের পাশে কালো দাগে বুড়িয়ে যাচ্ছে ত্বক। এ থেকে মুক্তি পেতে এক চামচ টমেটোর রস, এক চিমটি হলুদ গুঁড়া আর সামান্য বেসন মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে দাগের ওপর প্রলেপ লাগান। শুকিয়ে গেলে হালকা ম্যাসাজ করে তুলে ফেলুন। তারপর পানির ঝাপটা দিন।


৫। শুষ্কতা দূর করতে ঘরেই বানিয়ে ফেলতে পারেন ময়েশ্চারাইজার। টমেটো রসের সঙ্গে সমপরিমাণ মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগান। ১০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন ত্বক হবে মসৃণ।

৬। ভালো স্ক্রাবের কাজ করে টমেটো। তাই আধা ভাঙা চালের গুঁড়ার সঙ্গে টমেটোর রস ও মধু মিশিয়ে ত্বক ম্যাসাজ করুন ৫ মিনিট। এরপর ধুয়ে নিন। সপ্তাহে ২ দিন সারা শরীরের এভাবে স্ক্র্যাব করুন।

ধন্যবাদ সবাইকে।

গ্রামীনফোন নিয়ে এলো ১০০ টাকা পর্যন্ত ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স


আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন বন্ধুরা সবাই।আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালই আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালই আছি। গ্রামীনফোন নিয়ে এলো ১০০ টাকা পর্যন্ত ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স

শর্তাবলী:
সকল জিপি প্রিপেইড (সহজ, বন্ধু, আপন, আমন্ত্রণ, নিশ্চিন্ত, ডিজুস, স্মাইল, স্পন্দন, বিজনেস সলিউশন (১,২,৩, ৫ ও সফল) প্রিপেইড, একতা (১,২,৩,৪), জিপিপিপি, ভিপি গ্রাহকগণ ডায়নামিক ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স হিসেবে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা পাবেন
সকল গ্রাহকের জন্য সর্বনিম্ন ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স ১০ টাকা
    *577*12# ডায়াল করে আপনার জন্য বরাদ্দকৃত ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স জেনে নিন
    ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স পেতে গ্রাহককে *1010*1# (চার্জ ফ্রি) ডায়াল করতে হবে
    গ্রাহকগণ যেকোনো ভয়েস কল ও যেকোনো SMS-এর জন্য (পোর্ট সহ) ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স ব্যবহার করতে পারবেন
    ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স থেকে কোনো ইনকামিং SMS, মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি এবং EDGE ইউসেজ-এর চার্জ গ্রহণ করা হবে না
    ব্যবহারের দিক থেকে ক্রয়কৃত মিনিট (যেমন: ২৫ পয়সা অফার, বান্ডল) ও অন্যান্য ফ্রি বোনাস, ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স-এর চেয়ে অগ্রাধিকার পাবে
    মাই জোন গ্রাহকগণও ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স উপভোগ করতে পারবেন এবং ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স-এ মাই জোন ডিসকাউন্ট প্রযোজ্য হবে
    গ্রাহকের ইউসেজ-এর উপর ভিত্তি করে প্রতি মাসে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স-এর পরিমাণ নির্ধারিত হবে
    ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স-এ রোমিং ইউসেজ প্রযোজ্য নয়
    গ্রাহকের পরবর্তী রিচার্জ-এ, রিচার্জ কৃত বা রিফিল কৃত অ্যামাউন্ট থেকে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স অ্যামাউন্ট কেটে নেয়া হবে। আংশিক রিচার্জ-এর ক্ষেত্রে (গ্রহণকৃত ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স-এর চেয়ে কম), আংশিক অ্যামাউন্ট রিচার্জ অ্যামাউন্ট থেকে কেটে নেয়া হবে এবং অবশিষ্ট অ্যামাউন্ট পরবর্তী রিচার্জ বা রিফিল থেকে কেটে নেয়া হবে
    ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স অ্যামাউন্ট যেকোনো সময় ব্যবহার করা যাবে এবং এর মেয়াদ থাকবে ৩০ দিন
    পূর্বের অ্যামাউন্ট পরিশোধ করার পরই গ্রাহকগণ পরবর্তী ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিতে পারবেন
    ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স অ্যামাউন্ট চেক করতে গ্রাহককে *566*28# ডায়াল করতে হবে (চার্জ ফ্রি)
    ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স-এ প্রডাক্ট ট্যারিফ ও প্রডাক্ট পাল্‌স প্রযোজ্য
    ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স উপভোগ করতে হলে গ্রাহকের মূল অ্যাকাউন্টের মেয়াদ থাকতে হবে
    অন্যান্য সকল ট্যারিফ, সার্ভিস ও পাল্‌স অপরিবর্তিত থাকবে
    সকল চার্জে ১৫% ভ্যাট প্রযোজ্য

গ্রামীণফোন নিয়ে এলো Clear Cut সাপ্তাহিক অফার


 আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন বন্ধুরা সবাই।আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালই আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালই আছি। গ্রামীণফোন নিয়ে এলো Clear Cut সাপ্তাহিক অফার। অফারটি পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত চলতে থাকবে।

অফারের বিস্তারিত নিম্নরূপঃ

সাপ্তাহিক প্যাক: যেকোনো লোকাল মোবাইল নম্বরে

১। অফারটি নিতে হলে, উপযুক্ত গ্রাহকগণ (প্রিপেইড এবং পোস্টপেইড উভয়) Start M8 লিখে এসএমএস করুন ৯৯৯৯ নম্বরে অথবা, ডায়াল করুন *১১১*১০*১০#। রিকোয়েস্ট ভ্যালিডেট হবার পর পরবর্তীতে ৬৫ টাকা (১৫% ভ্যাট প্রযোজ্য) চার্জ করা হবে এবং ১০০ মিনিটি জিপি-যেকোনো লোকাল নম্বর টকটাইম প্রদান করা হবে।

২। ফ্রি মিনিটের মেয়াদকাল ৭ দিন এবং ২৪ ঘন্টা ব্যবহার উপযোগী।

৩। অফারটি থেকে অপট-আউট হতে চাইলে গ্রাহকগণ Stop M8 লিখে এসএমএস করুন 9999 নম্বরে অথবা ডায়াল করুন *111*10*92#

৪। মেয়াদকাল শেষ হবার পর, যদি কোনো গ্রাহকের অবশিষ্ট মিনিট থেকে থাকে, তবে তা বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে। তবে, যদি কোনো গ্রাহক মেয়াদকালের মধ্যে পুনরায় ফ্রি মিনিট ক্রয় করেন, সেক্ষেত্রে অবশিষ্ট মিনিট যুক্ত হয়ে যাবে এবং সর্বোচ্চ মেয়াদ প্রদান করা হবে।

৫। অবশিষ্ট ব্যালেন্স জানতে, প্রিপেইড গ্রাহকগণকে ডায়াল করতে হবে *566*7#

৬। পোস্টপেইড গ্রাহকগণ অবশিষ্ট ব্যালেন্স জানতে M8 লিখে এসএমএস করবেন 4777 নম্বরে

৭। পোস্টপেইড সংযোগের ক্ষেত্রে বান্ডেল অথবা প্যাকটি ক্যারি ফরওয়ার্ড হবে না



এই অফারটি পাওয়া যাবেঃ

সকল জিপি প্রিপেইড সংযোগে (আপন, স্পন্দন এবং আমন্ত্রণ ব্যতীত) এবং সকল জিপি পোস্টপেইড সংযোগে
বর্তমান আপন, স্পন্দন এবং আমন্ত্রণ গ্রাহকগণ এই অফার পেতে আগে নিশ্চিন্ত বা বন্ধু প্যাকেজে মাইগ্রেট করতে হবে
নিশ্চিন্ত প্যাকেজে মাইগ্রেট করতে ডায়াল করুন *111*44*4# (ফ্রি)
বন্ধু প্যাকেজে মাইগ্রেট করতে ডায়াল করুন  *111*44*1# (ফ্রি)
সকল চার্জে ১৫% ভ্যাট প্রযোজ্য

এক নজরে দেখে নিন বাংলালিঙ্ক এর সকল 3 জি ইন্টারনেট প্যাকেজ সমূহের মূল্য তালিকা ও অ্যাক্টিভ করার পদ্ধতি:


 আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন বন্ধুরা সবাই।আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালই আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালই আছি। এক নজরে দেখে নিন বাংলালিঙ্ক এর সকল 3 জি ইন্টারনেট প্যাকেজ সমূহের মূল্য তালিকা ও অ্যাক্টিভ করার পদ্ধতি:









 প্রিপেইড ব্যালেন্সঃ 
 *5000*500#
পোস্ট পেইড ব্যালেন্সঃ
121 or call 01911304121

এক নজরে দেখে নিন গ্রামীনফোনের সকল 2 জি ইন্টারনেট প্যাকেজ সমূহের মূল্য তালিকা ও অ্যাক্টিভ করার পদ্ধতি:


আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন বন্ধুরা সবাই।আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালই আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালই আছি। এক নজরে দেখে নিন গ্রামীনফোনের সকল 2 জি ইন্টারনেট প্যাকেজ সমূহের মূল্য তালিকা ও অ্যাক্টিভ করার পদ্ধতি:

পে-এজ-ইউ-গো প্যাক
   
পরিমাণ : ২৫০ এমবি
মূল্য : টাকা. 2/এমবি
বৈধতা : 30 দিন
অ্যাক্টিভ করার পদ্ধতি:  ডায়াল করুন *500*0# বা PAYG লিখে এসএমএস করুন 5000 নম্বরে
ব্যবহার চেক করুন : ইন্টারনেট ব্যালেন্স চেক করতে ডায়াল করুন *567#
ফেয়ার ইউসেজ পলিসি : হ্যাঁ, ৩০ এমবি ব্যবহারের পর ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাবে
কার্যকর : প্রিপেইড, Postpaid


   
হেভি ইউসেজ প্যাক - ২৪ ঘন্টা

পরিমাণ : অবিরাম ইন্টারনেট
মূল্য : টাকা. 850
বৈধতা : 30 দিন
অ্যাক্টিভ করার পদ্ধতি:  ডায়াল করুন *500*2# বা P2 লিখে এসএমএস করুন 5000 নম্বরে
ব্যবহার চেক করুন : ইন্টারনেট ব্যালেন্স চেক করতে ডায়াল করুন *567#
ফেয়ার ইউসেজ পলিসি : ৫ জিবি ব্যবহারের পর প্রযোজ্য
কার্যকর : প্রিপেইড, Postpaid


২ জিবি প্যাক

পরিমাণ : ২ জিবি
মূল্য : টাকা. 300
বৈধতা : 30 দিন
অ্যাক্টিভ করার পদ্ধতি:  ডায়াল করুন *500*6# বা P6 লিখে এসএমএস করুন 5000 নম্বরে
ব্যবহার চেক করুন : ইন্টারনেট ব্যালেন্স চেক করতে ডায়াল করুন *567#
ফেয়ার ইউসেজ পলিসি : প্রযোজ্য নয়
কার্যকর : প্রিপেইড, Postpaid



৫০০ এমবি প্যাক


পরিমাণ : ৫০০ এমবি
মূল্য : টাকা. 99
বৈধতা : 28 দিন
অ্যাক্টিভ করার পদ্ধতি:  ডায়াল করুন *500*4# বা 500MB লিখে এসএমএস করুন 5000 নম্বরে
ব্যবহার চেক করুন : ইন্টারনেট ব্যালেন্স চেক করতে ডায়াল করুন *567#
ফেয়ার ইউসেজ পলিসি : Not Applicable
কার্যকর : প্রিপেইড, Postpaid



মিনিপ্যাক ২৫ এমবি


পরিমাণ : ২৫ এমবি
মূল্য : টাকা. 20
বৈধতা : 10 দিন
অ্যাক্টিভ করার পদ্ধতি:  ডায়াল করুন *500*7# বা 25MB লিখে এসএমএস করুন 5000 নম্বরে
ব্যবহার চেক করুন : ইন্টারনেট ব্যালেন্স চেক করতে ডায়াল করুন *567#
ফেয়ার ইউসেজ পলিসি : প্রযোজ্য নয়
কার্যকর : প্রিপেইড, Postpaid



মিনিপ্যাক ৯ এমবি


পরিমাণ : ৯ এমবি, ৩টি এমএমএস ও নন-স্টপ ফ্রি মোবাইল ফেসবুকিং
মূল্য : টাকা. 9
বৈধতা : 3 দিন
অ্যাক্টিভ করার পদ্ধতি:  ডায়াল করুন  *500*10# বা 9MB লিখে এসএমএস করুন 5000 নম্বরে
ব্যবহার চেক করুন : ইন্টারনেট ব্যালেন্স চেক করতে ডায়াল করুন *567#
ফেয়ার ইউসেজ পলিসি : ফেসবুক ব্যবহারে প্রযোজ্য, ৪১ এমবি-এর পর
কার্যকর : প্রিপেইড, Postpaid
    

টুজি ক্লিক প্যাক

পরিমাণ : ৩ এমবি ও ২টি এমএমএস
মূল্য : টাকা. 1
বৈধতা : 2 দিন
অ্যাক্টিভ করার পদ্ধতি:  ডায়াল করুন *500*11#
ব্যবহার চেক করুন : ইন্টারনেট ব্যালেন্স চেক করতে ডায়াল করুন *567#
ফেয়ার ইউসেজ পলিসি : প্রযোজ্য নয়
কার্যকর : প্রিপেইড, Postpaid
ধন্যবাদ সবাইকে।
গ্রামীনফোনের ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা
 

Saturday, January 17, 2015

এক নজরে দেখে নিন গ্রামীনফোনের সকল থ্রিজি ১ (এমবিপিএস) ইন্টারনেট প্যাকেজ


আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন বন্ধুরা সবাই।আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালই আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালই আছি। এক নজরে দেখে নিন গ্রামীনফোনের সকল থ্রিজি ১ (এমবিপিএস)ইন্টারনেট প্যাকেজ সমূহের মূল্য তালিকা ও অ্যাক্টিভ করার পদ্ধতি:


স্মার্ট প্যাক ৬৯৯ (১ এমবিপিএস)

পরিমাণ : অবিরাম ইন্টারনেট, ৬০০ মিনিট ভয়েস কল (যেকোন লোকাল নম্বরে), ৬০০ এসএমএস (জিপি-জিপি), ৬০০ এমএমএস
মূল্য : টাকা. 699
বৈধতা : 30 দিন
অ্যাক্টিভ করার পদ্ধতি: ডায়াল করুন *500*699# বা SP699 লিখে এসএমএস করুন 5000 নম্বরে
ব্যবহার চেক করুন : ইন্টারনেট ব্যালেন্স চেক করতে ডায়াল করুন *567#
ফেয়ার ইউসেজ পলিসি : ২ জিবি ব্যবহারের পর প্রযোজ্য
কার্যকর : প্রিপেইড, পোস্টপেইড


হেভি ইউসেজ প্যাক (১ এমবিপিএস)


পরিমাণ : অবিরাম ইন্টারনেট
মূল্য : টাকা. 1250
বৈধতা : 28 দিন
অ্যাক্টিভ করার পদ্ধতি: ডায়াল করুন *500*102# বা 1000 U লিখে এসএমএস করুন 5000 নম্বরে
ব্যবহার চেক করুন : ইন্টারনেট ব্যালেন্স চেক করতে ডায়াল করুন *567#
ফেয়ার ইউসেজ পলিসি : ৮ জিবি ব্যবহারের পর প্রযোজ্য
কার্যকর : প্রিপেইড, পোস্টপেইড


স্টান্ডার্ড প্যাক (১ এমবিপিএস)

পরিমাণ : ৩ জিবি
মূল্য : টাকা. 700
বৈধতা : 28 দিন
অ্যাক্টিভ করার পদ্ধতি: ডায়াল করুন *500*106# বা 1000 2GB লিখে এসএমএস করুন 5000 নম্বরে
ব্যবহার চেক করুন : ইন্টারনেট ব্যালেন্স চেক করতে ডায়াল করুন *567#
ফেয়ার ইউসেজ পলিসি : প্রযোজ্য নয়
কার্যকর : প্রিপেইড, পোস্টপেইড


হেভি ইউসেজ প্যাক - রাত্রিকালীন (১ এমবিপিএস)


পরিমাণ : অবিরাম ইন্টারনেট রাত ১২টা থেকে সকাল ১০টা
মূল্য : টাকা. 250
বৈধতা : 28 দিন
অ্যাক্টিভ করার পদ্ধতি: ডায়াল করুন *500*3# বা NU লিখে এসএমএস করুন 5000 নম্বরে
ব্যবহার চেক করুন : ইন্টারনেট ব্যালেন্স চেক করতে ডায়াল করুন *567#
ফেয়ার ইউসেজ পলিসি : ২ জিবি ব্যবহারের পর প্রযোজ্য
কার্যকর : প্রিপেইড, পোস্টপেইড
ধন্যবাদ সবাইকে।
গ্রামীনফোনের ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা

এক নজরে দেখে নিন গ্রামীনফোনের সকল ৫১২ (কেবিপিএস) থ্রিজি ইন্টারনেট প্যাকেজ সমূহের মূল্য তালিকা ও অ্যাক্টিভ করার পদ্ধতি


আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন বন্ধুরা সবাই।আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালই আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালই আছি। এক নজরে দেখে নিন গ্রামীনফোনের সকল থ্রিজি ইন্টারনেট প্যাকেজ সমূহের মূল্য তালিকা ও অ্যাক্টিভ করার পদ্ধতি:



স্মার্ট প্যাক ২৯৯ (৫১২ কেবিপিএস)

পরিমাণ : অবিরাম ইন্টারনেট, ২০০ মিনিট ভয়েস কল (যেকোন লোকাল নম্বরে), ২০০ এসএমএস (জিপি-জিপি),      ২০০   এমএমএস
মূল্য : টাকা. 299
বৈধতা : 30 দিন
অ্যাক্টিভ করার পদ্ধতি : ডায়াল করুন *500*299# বা SP299 লিখে এসএমএস করুন 5000 নম্বরে
ব্যবহার চেক করুন : ইন্টারনেট ব্যালেন্স চেক করতে ডায়াল করুন *567#
ফেয়ার ইউসেজ পলিসি : ৫০০ এমবি ব্যবহারের পর প্রযোজ্য
কার্যকর : প্রিপেইড, পোস্টপেইড

স্মার্ট প্যাক ৪৯৯ (৫১২ কেবিপিএস)

পরিমাণ : অবিরাম ইন্টারনেট, ৪০০ মিনিট ভয়েস কল (যেকোন লোকাল নম্বরে), ৪০০ এসএমএস (জিপি-জিপি), ৪০০ এমএমএস
মূল্য : টাকা. 499
বৈধতা : 30 দিন
অ্যাক্টিভ করার পদ্ধতি : ডায়াল করুন *500*499# বা SP499 লিখে এসএমএস করুন 5000 নম্বরে
ব্যবহার চেক করুন : ইন্টারনেট ব্যালেন্স চেক করতে ডায়াল করুন *567#
ফেয়ার ইউসেজ পলিসি : ১ জিবি ব্যবহারের পর প্রযোজ্য
কার্যকর : প্রিপেইড, পোস্টপেইড

স্টান্ডার্ড প্যাক (৫১২ কেবিপিএস)

পরিমাণ : ২ জিবি
মূল্য : টাকা. 400
বৈধতা : 28 দিন
অ্যাক্টিভ করার পদ্ধতি : ডায়াল করুন *500*56# বা 512 2GB লিখে এসএমএস করুন 5000 নম্বরে
ব্যবহার চেক করুন : ইন্টারনেট ব্যালেন্স চেক করতে ডায়াল করুন *567#
ফেয়ার ইউসেজ পলিসি : প্রযোজ্য নয়
কার্যকর : প্রিপেইড, পোস্টপেইড

থ্রিজি মিনি প্যাক (৫১২ কেবিপিএস)

পরিমাণ : ২৫০ এমবি
মূল্য : টাকা. 99
বৈধতা : 28 দিন
অ্যাক্টিভ করার পদ্ধতি : ডায়াল করুন *500*9#
ব্যবহার চেক করুন : ইন্টারনেট ব্যালেন্স চেক করতে ডায়াল করুন *567#
ফেয়ার ইউসেজ পলিসি : প্রযোজ্য নয়
কার্যকর : প্রিপেইড, পোস্টপেইড

হেভি ইউসেজ প্যাক (৫১২ কেবিপিএস)

পরিমাণ : অবিরাম ইন্টারনেট
মূল্য : টাকা. 950
বৈধতা : 28 দিন
অ্যাক্টিভ করার পদ্ধতি : ডায়াল করুন *500*52# বা 512 U লিখে এসএমএস করুন 5000 নম্বরে
ব্যবহার চেক করুন : ইন্টারনেট ব্যালেন্স চেক করতে ডায়াল করুন *567#
ফেয়ার ইউসেজ পলিসি : ৮ জিবি ব্যবহারের পর প্রযোজ্য
কার্যকর : প্রিপেইড, পোস্টপেইড

১ জিবি প্যাক (৫১২ কেবিপিএস)

পরিমাণ : ১ জিবি
মূল্য : টাকা. 300
বৈধতা : 28 দিন
অ্যাক্টিভ করার পদ্ধতি : ডায়াল করুন *500*57# বা 512 1GB লিখে এসএমএস করুন 5000 নম্বরে
ব্যবহার চেক করুন : ইন্টারনেট ব্যালেন্স চেক করতে ডায়াল করুন *567#
ফেয়ার ইউসেজ পলিসি : প্রযোজ্য নয়
কার্যকর : প্রিপেইড, পোস্টপেইড

স্টার্টার প্যাক (৫১২ কেবিপিএস)


পরিমাণ : ৭৫ এমবি
মূল্য : টাকা. 50
বৈধতা : 5 দিন
অ্যাক্টিভ করার পদ্ধতি : ডায়াল করুন *500*59# বা 512 75MB লিখে এসএমএস করুন 5000 নম্বরে
ব্যবহার চেক করুন : ইন্টারনেট ব্যালেন্স চেক করতে ডায়াল করুন *567#
ফেয়ার ইউসেজ পলিসি : প্রযোজ্য নয়
কার্যকর : প্রিপেইড, পোস্টপেইড

থ্রিজি ক্লিক প্যাক (৫১২ কেবিপিএস)


পরিমাণ : ৪ এমবি ও ২টি এমএমএস
মূল্য : টাকা. 2
বৈধতা : 2 দিন
অ্যাক্টিভ করার পদ্ধতি : ডায়াল করুন *500*80# বা 3G Click লিখে এসএমএস করুন 5000 নম্বরে
ব্যবহার চেক করুন : ইন্টারনেট ব্যালেন্স চেক করতে ডায়াল করুন *567#
ফেয়ার ইউসেজ পলিসি : প্রযোজ্য নয়
কার্যকর : প্রিপেইড, পোস্টপেইড
ধন্যবাদ সবাইকে।

গ্রামীনফোনের ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল জেনে নিন সবার আগে


আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন বন্ধুরা সবাই।আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালই আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালই আছি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষার প্রথম মেধা তালিকার ফল আজ রোববার প্রকাশ করা হবে। শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও পরামর্শ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. ফয়জুল করিম।
এছাড়া তিনি আর ও বলেন যে আজ রবিবার  দুপুর ১২টা থেকেই মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষার ফল পাওয়া যাবে। বিকেল ৪টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়য়ের ওয়েবে ফল প্রকাশ করা হবে ।

আপনাদের মোবাইল এর মাধ্যমে ও National University Honours Admission Result 2014-15 এর ফলাফল জানতে পারবেন।

মোবাইল এর মাধ্যমে  ফলাফল জানতে আপনার মোবাইল এর মেসেজ অপশন এ গিয়ে টাইপ করুন

NU<স্পেস>AT<স্পেস>আপনার রোল নাম্বার লিখে পাঠিয়ে দিন ১৬২২২ এই নাম্বার এ কনফারমেশন মেসেজ এর মাধ্যমে আপনার ফলাফল পেয়ে জাবেন।

এছাড়াও আপনারা National University এর ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে  National University Honours Admission Result 2014-15 ফলাফল  জানতে পারেন ।
ধন্যবাদ সবাইকে।

মুসলিম নারীর দায়িত্ব

মানুষকে আল্লাহ তাআলা সৃষ্টি করেছেন তাঁর প্রতিনিধি বা খলিফা হিসাবে । এ সৃষ্টির উদ্দেশ্যই হলো আল্লাহ তাআলার বন্দেগী করা ।পবিত্র কোরআন মজিদের ঘোষণা,”আমি জ্বীন এবং মানুষকে আমার ইবাদত ছাড়া আর কোন উদ্দেশ্যেই সৃষ্টি করিনি”।অর্থাৎ আমাদের জীবনের প্রতিটি কাজই ইবাদত ।ব্যক্তিজীবনের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিষয় থেকে শুরু করে বৃহত্তর অঙ্গনের যাবতীয় কাজ কর্ম সবই ইবাদত । ইবাদত অর্থ গোলামি বা দাসত্ব ।নিঃশর্তভাবে আল্লাহর দেওয়া বিধি নিষেধ আইন -কানুন মেনে চলার নামই ইবাদত।একজন গোলাম যেমন সার্বক্ষণিকভাবে তার মালিকের হুকুম মেনে চলবে তেমনিভাবে আল্লাহর হুকুম-আহকাম মেনে চলবে।সেটা রাজনৈতিক হোক বা অর্থনৈতিক –সামাজিক যাই হোক না কেন।

3414315235_0cb13549eb_b
আল্লাহ তাআলা এই গোলামি করার জন্য আমাদেরকে সীমিত কিছু স্বাধিনতা দিয়ে দিয়েছেন।সেটা হলো ইচ্ছার স্বাধীনতা।আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে বাধ্য করেননি তার আদেশ নিষেধ মানতে ।যদিও আমাদের দেহের সমস্ত অঙ্গ- প্রতঙ্গসহ দুনিয়ার যাবতিয় সৃষ্টি ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক আল্লাহর দাসত্ব করছে।কাজেই আমাদের দায়িত্ব এবং জ্ঞান বুদ্ধির দাবি আল্লাহর আইন মেনে চলা। আল্লাহর আইন মেনে চলতে হলে মুসলমান হিসেবে প্রথম এবং প্রধান যে দায়িত্ব এসে যায় তা হল আত্মগঠন । অন্যকথায় ,নিজেকে পুরোপুরি মুসলমান বানানো ।আর এর জন্য প্রয়োজন জ্ঞান।প্রকৃত জ্ঞান ছাড়া আত্বগঠন কিছুতেই সম্ভব নয়। পবিত্র কুরআনে প্রথম নির্দেশই এসেছে ‘ইকরা’ পড়! পড় তোমার রবের নামে।রাসূল (সাঃ) ও পরিষ্কার নির্দেশ দিয়েছেন। নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবার জন্য এ নির্দেশ।
‘জ্ঞানার্জন প্রত্যেক নারী-পুরুষ সবার জন্য ফরয’(আল হাদীস)
শুধু জ্ঞান অর্জন করলেই  হবেনা । অর্জিত জ্ঞান জীবনে কাজে লাগাতে হবে।জীবন থেকে  খুঁটেখুঁটে যাবতীয় অন্যায় অসত্যকে বের করে  দূরে নিক্ষেপ করতে হবে আর সেখানে প্রতিস্থাপিত করতে হবে কুরআন সুন্নাহ থেকে অর্জিত গুণাবলী। ন্যায়কে অন্যায় থেকে পৃথক করার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।

আত্মগঠনের পাশাপাশি পরিবার গঠনের ব্যাপারেও সচেষ্ট এবং সক্রিয় হতে হবে। একজন নারী হতে পারে পরিবারের মাতা ,কন্যা ,বধূ  ইত্যাদি।পরিবারে তার অবস্থান যাই হোক না কেন,সব অবস্থাতেই সে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্ত এ জন্য প্রয়োজন কূরআন সুন্নাহ ভিত্তিক জ্ঞান ও চরিত্র। একজন মাকে সন্তানের জন্মলগ্ন থেকেই তার ইসলামী চরিত্র গঠনের দিকে মনোযোগী হতে হবে। বরং সন্তান গর্ভে আসার সময় থেকেই তাকে সতর্ক হতে হবে । কারণ মায়ের আচার- আচরণ গর্ভস্থ সন্তানের উপর দারুন  প্রভাব ফেলে। একজন মানুষ দুই ধরনের অবস্থার মধ্যে বেড়ে উঠে এ্ক Hereditary  . দুই  .Environmental Heredirary চরিত্র সে পায় বাবা-মার চরিত্র থেকে। এরপর দুনিয়াতে আসার পর যে পরিবেশ সে অনুযায়ীই সে গড়ে উঠে ।
বর্তমানে  আমাদের পরিবারগুলোতে দু ধরনের  অবস্থা বিরাজ করছে ।এক পুরাতন আমলের জাহেলী রসম-রেওয়াজ,যার কোনোটা শিরক কোনোটা বিদ’আত ।ধর্মের নামে সওয়াবের আশায় এগুলো আমাদের পরিবার গুলতে চালু আছে ।দুই পাশ্চাত্যের রসম যা আধুনিকতার নামে চালু আছে।এ দুই ধরনের অবস্হা থেকেই পরিবারগুলোকে মুক্ত করতে হবে।কোনো গোঁড়ামি যেমন নয় তেমনি কোনো উচ্ছৃঙ্খলতাকেও প্রশ্রয় দেওয়া যাবেনা।বরং কুরআন যে নির্দেশ  দিচ্ছে –রাসূল (সাঃ) –যে পথ অনুসরণ করেছেন তারই বাস্তব অনুসারী হতে হবে। ইসলাম মানুষের  উপর অবাস্তব অসম্ভব কোনো কিছু চাপিয়ে দেয়নি।কুরাআন – সুন্নাহর প্রতিটি নিয়ম কানুনই অত্যন্ত সুন্দর এবং কল্যাণকর ও বাস্তবস্মত।প্রয়োজন শুধু বুঝে এগুলোর সঠিক অনুসরণ। 

জুম’আর দিনের ফযীলত

 

উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য জুম’আর দিনের ফযীলত সমূহ

১) সূর্য উদিত হয় এমন দিনগুলোর মধ্যে জুম’আর দিন হল সর্বোত্তম দিন। এ দিনে যা কিছু ঘটেছিল তা হলঃ
(ক) এই দিনে আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করা হয়েছিল,
(খ) এই দিনেই তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছিল,
(গ) একই দিনে তাঁকে জান্নাত থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল [মুসলিমঃ৮৫৪],
(ঘ) একই দিনে তাঁকে দুনিয়াতে পাঠানো হয়েছিল,
(ঙ) এই দিনেই তাঁর তওবা কবুল করা হয়েছিল,
(চ) এই দিনেই তাঁর রূহ কবজ করা হয়েছিল [আবু দাউদঃ১০৪৬],
(ছ) এই দিনে শিঙ্গায় ফুঁক দেওয়া হবে,
(জ) এই দিনেই কিয়ামত হবে,
(ঝ) এই দিনেই সকলেই বেহুঁশ হয়ে যাবে [আবু দাউদঃ১০৪৭],
(ঞ) প্রত্যেক নৈকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতা, আকাশ, পৃথিবী, বাতাস, পর্বত ও সমুদ্র এই দিনটিকে ভয় করে। [ইবনে মাজাহঃ১০৮৪, ১০৮৫; মুয়াত্তাঃ৩৬৪]।

২) উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য এটি একটি মহান দিন। এ জুম’আর দিনটিকে সম্মান করার জন্য ইহুদী-নাসারাদের উপর ফরজ করা হয়েছিল; কিন্তু তারা মতবিরোধ করে এই দিনটিকে প্রত্যাখ্যান করেছিল। অতঃপর ইহুদীরা শনিবারকে আর খ্রিষ্টানরা রবিবারকে তাদের ইবাদতের দিন বানিয়েছিল। অবশেষে আল্লাহ তায়ালা এ উম্মতের জন্য শুক্রবারকে মহান দিবস ও ফযীলতের দিন হিসেবে দান করেছেন। আর উম্মতে মুহাম্মদী তা গ্রহন করে নিল। [বুখারী ৮৭৬, ইফা ৮৩২, আধুনিক ৮২৫; মুসলিমঃ ৮৫৫]

৩) জুম’আর দিন হল সাপ্তাহিক ঈদের দিন। [ইবনে মাজাহঃ ১০৯৮]

৪) জুম’আর দিনটি ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিনের চেয়েও শ্রেষ্ঠ দিন। এ দিনটি আল্লাহর কাছে অতি মর্যাদা সম্পন্ন। (মুসনাদে আহমদঃ৩/৪৩০; ইবনে মাজাহঃ১০৮৪)

৫) জুম’আর দিনে এমন একটি সময় আছে, যখন বান্দা আল্লাহর কাছে যা চায়, তা-ই তাকে দেওয়া হয়। আর এ সময়টি হল জুম’আর দিন আসরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত। [বুখারীঃ৯৩৫, ইফা ৮৮৮, আধুনিক ৮৮২; মুসলিমঃ৮৫২]

৬) জুম’আর রাতে বা দিনে যে ব্যক্তি মারা যায় আল্লাহ তায়ালা তাকে কবরের ফিতনা থেকে রক্ষা করবেন। [তিরমিযীঃ১০৭৮]

৭) জান্নাতে প্রতি জুম’আর দিনে জান্নাতীদের হাট বসবে। জান্নাতী লোকেরা সেখানে প্রতি সপ্তাহে একত্রিত হবেন। তখন সেখানে এমন মনমুগ্ধকর হাওয়া বইবে, যে হাওয়ায় জান্নাতীদের সৌন্দর্য অনেক গুণে বেড়ে যাবে এবং তাদের স্ত্রীরা তা দেখে অভিভূত হবে। অনুরূপ সৌন্দর্য বৃদ্ধি স্ত্রীদের বেলায়ও হবে। [মুসলিমঃ২৮৩৩, ৭১/৭৫৩]

৮) যে ব্যক্তি জুম’আর দিনে সুরা কাহফ পড়বে, আল্লাহ তায়ালা তার জন্য দুই জুম’আর মধ্যবর্তী সময়কে আলোকিত করে দেবেন। [জামেউস সাগীরঃ৬৪৭০]

৯) যে ব্যক্তি জুম’আর দিনে সুরা কাহফের প্রথম ১০ আয়াত পড়বে, সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে নিরাপত্তা লাভ করবে। [মুসলিম]

১০) প্রত্যেক সপ্তাহে জুম’আর দিন আল্লাহ তায়ালা বেহেশতী বান্দাদের দর্শন দেবেন। [সহীহুত তারগীব]

১১) এই দিনে দান খয়রাত করার সওয়াব অন্য দিনের চেয়ে বেশী হয়। ইবনুল কায়্যিম বলেছেন, অন্য মাসের তুলনায় রমজান মাসের দানের সওয়াব যেমন বেশী তেমনি শুক্রবারের দান খয়রাত অন্য দিনের তুলনায় বেশী। [যাদুল মা’আদ]

১২) ইবনুল কায়্যিম আরও বলেছেন যে, অন্য মাসের তুলনায় রমজান মাসের মর্যাদা যেমন, সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় জুম’আ বারের মর্যাদা ঠিক তেমন। তাছাড়া রমজানের কদরের রাতে যেমন ভাবে দোয়া কবুল হয়, ঠিক তেমনি শুক্রবারের সূর্যাস্তের পূর্বক্ষণেও দোয়া কবুল হয়। [যাদুল মা’আদঃ১/৩৯৮]

সূত্রঃ বই-প্রশ্নোত্তরে জুমুআ ও খুৎবা (লেখকঃ অধ্যাপক মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম; পরিমার্জনেঃ ডঃ মোহাম্মদ মনজুরে ইলাহী, ডঃ আবু বকর মুহাম্মদ জাকারিয়া মজুমদার, ডঃ মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।)

 

হারাম উপায়ে আয়, ব্যয় এবং যাবতীয় সকল কিছু আল্লাহ পছন্দ করেন না


“ হারাম পথে সম্পদ উপারজন করে, বান্দা যদি তা দান করে দেয়। আল্লাহ সে দান গ্রহণ করন না।
প্রয়োজন পূরনে সে সম্পদ ব্যয় করলে, তাতে কোন বরকত হয় না। সে ব্যক্তি যদি সে সম্পদ রেখে ইন্তেকাল করে,
তা জাহান্নাম সফরে তার পাথেয় হবে। আল্লাহ অন্যায় দিয়ে, অন্যায়কে মিটান না।
বরং আল্লাহ নেক কাজ দিয়ে, অন্যায়কে মিটিয়ে থাকেন। নিশ্চয়, মন্দ মন্দকে দূর করতে পারে না।“ {মিশকাত}
এসো আমরা হারাম উপারজন, কাজ, খদ্য, যাবতীয় সকল কিছু থেকে বিরত থাকি এবং হালাল-কে দৃঢ়ভাবে ধারণ করি।
 

হাদীসের নির্বাচিত ৩৫টি দোয়াসমূহ



বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। কেমন আছেন সবাই।
(১) হে আল্লাহ, দৃষ্টির অন্তরালবর্তী ও দৃষ্টিগ্রাহ্য সকল বিষয়ে যেন তোমাকে ভয় করতে পারি হে আল্লাহ, যদি জীবন আমার জন্য কল্যাণকর হয়,তাহলে আমাকে জীবিত রাখ, আর যদি মৃত্যু আমার জন্য কল্যাণকর হয় তাহলে আমাকে মৃত্যু দান কর। সেই তাওফিক প্রার্থনা করি। আমি তোমার নিকট প্রার্থনা করি সত্য কথা বলার তাওফিক, খুশি ও ক্রোধ উভয় অবস্থাতেই। আমি তোমার নিকট প্রার্থনা করি মিতব্যয়িতার, সচ্ছল-অসচ্ছল উভয়াবস্থায়। প্রার্থনা করি এমন নেয়ামত যা শেষ হবার নয়। প্রার্থনা করি যা চক্ষু জুড়াবে অনিঃশেষভাবে। আমি তোমার নিকট চাই তকদিরের প্রতি সন্তুষ্টি। আমি তোমার নিকট চাই মৃত্যুর পর সুখময় জীবন। আমি তোমার নিকট কামনা করি তোমাকে দেখার তৃপ্তি, আমি কামনা করি তোমার সহিত সাক্ষাৎ লাভের আগ্রহ-ব্যাকুলতা যা লাভ করলে আমাকে স্পর্শ করবে না কোন অনিষ্ট, আর আমাকে সম্মুখীন হতে হবে না এমন কোন ফেৎনার যা আমাকে পথভ্রষ্ট করতে পারে। হে আল্লাহ, তুমি আমাদেরকে ঈমানের অলংকার দ্বারা বিভূষিত কর আর আমাদেরকে বানাও পথ প্রদর্শক ও হেদায়েতের পথিক। [নাসায়ি : ৫৪/৩]
(২) হে আল্লাহ, তুমি আমার প্রভু তুমি ছাড়া কোন ইলাহ নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ আর আমি হচ্ছি তোমার বান্দা এবং আমি আমার সাধ্য-মত তোমার প্রতিশ্রুতিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ রয়েছি। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট হতে তোমার আশ্রয় ভিক্ষা করি। আমার প্রতি তোমার নিয়ামতের স্বীকৃতি প্রদান করছি, আর আমি আমার গুনাহ-খাতা স্বীকৃতি করছি। অতএব তুমি আমাকে মাফ করে দাও নিশ্চয়ই তুমি ভিন্ন আর কেউ গুনাহ মার্জনাকারী নেই। [বোখারি : ৫৮৩১]
(৩) হে আল্লাহ, আমি তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি পদস্খলন অথবা পদস্খলিত হওয়া থেকে। পথ হারিয়ে ফেলা অথবা অন্য কর্তৃক পথভ্রষ্ট হওয়া থেকে। কারও উপর জুলুম করা থেকে অথবা কারো নির্যাতিত হওয়া থেকে। কারও সাথে মূর্খতা-পূর্ণ আচরণ করা থেকে অথবা অন্যের মূর্খতা-জনিত আচরণে আক্রান্ত হওয়া থেকে। [নাসায়ি : ৫৩৯১]
(৪) হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট উপকারী বিদ্যা, গ্রহণযোগ্য আমল এবং পবিত্র জীবিকা প্রার্থনা করি।[ইবনে মাজা : ৯১৫]
(৫) হে আল্লাহ! তোমার জিকির, তোমার শুকরিয়া জ্ঞাপন করার এবং তোমার ইবাদত সঠিক ও সুন্দরভাবে সম্পাদন করার কাজে আমাকে সহায়তা কর। [হাকিম : ৪৯৯/১]
(৬) আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন মা‘বুদ নেই। তিনি এক তাঁর কোন শরিক নেই। রাজত্ব তাঁরই এবং প্রশংসা মাত্রই তাঁর। তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। হে আল্লাহ! তুমি যা প্রদান কর তা বাধা দেয়ার কেহই নেই, আর তুমি যা দেবে না তা দেয়ার মত কেহ নেই। তোমার গজব হতে কোন বিত্তশালী বা পদমর্যাদার অধিকারীকে তার ধন-সম্পদ বা পদমর্যাদা রক্ষা করতে পারে না।[বোখারি : ৭৯৯]
(৭) হে আল্লাহ! আমি আশ্রয় চাচ্ছি কৃপণতা থেকে এবং আশ্রয় চাচ্ছি কাপুরুষতা থেকে। আর আশ্রয় চাচ্ছি বার্ধক্যের চরম পর্যায় থেকে। দুনিয়ার ফিতনা-ফাসাদ ও কবরের আজাব হতে। [বোখারি : ৫৮৮৮]
(৮) হে আল্লাহ, আমি আমার নিজের উপর অনেক বেশি জুলুম করেছি আর তুমি ছাড়া গুনাহ্‌সমূহ কেহই মাফ করতে পারে না। সুতরাং তুমি তোমার নিজ গুনে মার্জনা করে দাও এবং আমার প্রতি তুমি রহম কর। তুমি তো মার্জনাকারী ও দয়ালু। [বোখারি : ৫৮৫১]
(৯) হে আল্লাহ! আমার অন্তরে তাকওয়া প্রদান কর, তাকে পবিত্র কর। তুমি তার উত্তম পবিত্রকারী, তার অভিভাবক ও মনিব। [মুসলিম : ২০৮৮/৪]
(১০) হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট দুনিয়া ও আখেরাতের নিরাপত্তা কামনা করছি। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আমার দ্বীন ও দুনিয়া, পরিবার ও সম্পদ বিষয়ে ক্ষমা ও নিরাপত্তা কামনা করছি। হে আল্লাহ! তুমি গোপন ব্যাপারগুলো আচ্ছাদিত করে রাখো। ভয়-ভীতি থেকে আমাকে নিরাপত্তা দাও। হে আল্লাহ! তুমি আমাকে নিরাপদে রাখ, আমার সম্মুখের বিপদ হতে, পশ্চাতের বিপদ হতে, ডানের বিপদ হতে, বামের বিপদ হতে আর ঊর্ধ্ব দেশের গজব হতে। তোমার মহত্ত্বের দোহাই দিয়ে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি আমার নিম্নদেশ হতে আগত বিপদে আকস্মিক মৃত্যু হতে। [আবু দাউদ : ৪৪১২]
(১১) হে আল্লাহ! তুমি ঈমানকে আমাদের নিকট সুপ্রিয় করে দাও, এবং তা আমাদের অন্তরে সুশোভিত করে দাও। কুফর, অবাধ্যতা ও পাপাচারকে আমাদের অন্তরে ঘৃণিত করে দাও, আর আমাদেরকে হেদায়েত প্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত করে নাও। হে আল্লাহ! আমাদেরকে মুসলমান হিসেবে মৃত্যু দাও। আমাদের মুসলমান হিসেবে বাঁচিয়ে রাখ। লাঞ্ছিত ও বিপর্যস্ত না করে আমাদেরকে সৎকর্মশীলদের সাথে সম্পৃক্ত কর। [আহমদ : ১৪৯৪৫]
(১২) হে আল্লাহ! তোমারই রহমতের আকাঙ্ক্ষী আমি। সুতরাং এক পলের জন্যও তুমি আমাকে আমার নিজের আমার নিজের উপর ছেড়ে দিয়ো না। তুমি আমার সমস্ত বিষয় সুন্দর করে দাও। তুমি ভিন্ন প্রকৃত কোন মা‘বুদ নেই। [আবু দাউদ : ৪৪২৬]
(১৩) আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন মা‘বুদ নেই, যিনি সহনশীল, মহীয়ান। আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন মা‘বুদ নেই, যিনি সুমহান আরশের প্রতিপালক। আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন মা‘বুদ নেই। তিনি আকাশমণ্ডলীর প্রতিপালক, জমিনের প্রতিপালক এবং সুমহান আরশের প্রতিপালক।[আহমদ : ৩২৮৬]
(১৪) হে আল্লাহ! তুমিই প্রথম, তোমার পূর্বে কিছু নেই। তুমিই সর্বশেষ, তোমার পরে কিছু নেই। তুমি প্রকাশ্য, তোমার উপরে কিছুই নেই। তুমি অপ্রকাশ্য, তোমার চেয়ে নিকটবর্তী কিছুই নেই; তুমি আমার ঋণ পরিশোধ করে দাও, আমাকে দারিদ্র্যমুক্ত করে সম্পদশালী বানাও। [মুসলিম : ৪৮৮৮]
(১৫) হে আল্লাহ! সমস্ত প্রশংসা তোমার জন্য। তুমি আকাশমণ্ডলী-পৃথিবী ও এর মধ্যকার সকল কিছুর নূর। সমস্ত প্রশংসা তোমার জন্যই। তুমি আকাশমণ্ডলী-পৃথিবী ও এর মধ্যকার সকল কিছুর রক্ষক। সকল প্রশংসা তোমার, তুমি আকাশমণ্ডলী-পৃথিবী ও এর মধ্যকার সকল কিছুর প্রতিপালক। তুমি সত্য, তোমার প্রতিশ্রুতি সত্য। তোমার বাণী সত্য। তোমার দর্শন লাভ সত্য। জান্নাত সত্য। জাহান্নাম সত্য। নবিগণ সত্য। মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সত্য। কেয়ামত সত্য।[বোখারি : ৫৮৪২] اَ
(১৬) হে আল্লাহ! তোমার কাছে আত্মসমর্পণ করলাম। তোমার উপর ভরসা করলাম। তোমার প্রতি ঈমান আনলাম। তোমার দিকে প্রত্যাবর্তন করলাম। তোমাকে কেন্দ্র করে বিবাদে লিপ্ত হলাম। তোমার নিকট বিচার ফয়সালা সোপর্দ করলাম। অতঃপর আমাকে ক্ষমা কর, যা আগে করেছি এবং যা পরে করব, যা প্রকাশ্যে করেছি এবং যা গোপনে করেছি। তুমিই আমার মা‘বুদ। তুমি ব্যতীত সত্যিকার কোন মা‘বুদ নেই।[বোখারি : ৫৮৪৩]
(১৭) হে আল্লাহ! তুমি তোমার হারাম বস্তু হতে বাঁচিয়ে তোমার হালাল বস্তু দিয়ে আমার প্রয়োজন মিটিয়ে দাও। এবং তোমার অনুগ্রহ দ্বারা সমৃদ্ধ করে তুমি ভিন্ন অন্য সবার থেকে আমাকে অমুখাপেক্ষী করে দাও।[তিরমিজি : ৩৪৮৬]
(১৮) হে আল্লাহ! আমি তোমার আশ্রয় চাচ্ছি জাহান্নামের আজাব হতে, কবরের আজাব হতে, মসিহ দজ্জালের ফিতনা হতে এবং জীবন মৃত্যুর ফেনা হতে। [মুসলিম : ৯৩০]
(১৯) হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করছি, আমি সাক্ষ্য দিই যে- তুমিই আল্লাহ। তুমি ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। তুমি একক অদ্বিতীয়। সকল কিছুই যার মুখাপেক্ষী। যিনি জন্ম দেন নাই এবং জন্ম নেন নাই এবং যার সমকক্ষ কেউ নেই।[তিরমিযি : ৩৩৯৭]
(২০) হে আল্লাহ! আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি বিপদের কষ্ট, নিয়তির অমঙ্গল, দুর্ভাগ্যের স্পর্শ ও বিপদে শক্রর উপহাস হতে। [বোখারি : ৫৮৭১]
(২১) হে আল্লাহ! আমি সকল বিরোধ, মুনাফেকি এবং বদ চরিত্র হতে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি। [বোখারি : ৫৩৭৬]
(২২) হে আল্লাহ! আমার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দাও ছোট গুনাহ, বড় গুনাহ, প্রকাশ্য ও গোপন গুনাহ, আগের গুনাহ, পরের গুনাহ। [মুসলিম : ৭৪৫]
(২৩) হে আল্লাহ! তুমি যাদেরকে হেদায়েত করেছ, আমাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত কর। তুমি যাদেরকে নিরাপদ রেখেছ আমাকে তাদের দলভুক্ত কর। তুমি যাদের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেছ, আমাকে তাদের দলভুক্ত করো। তুমি আমাকে যা দিয়েছ তাতে বরকত দাও। তুমি যে অমঙ্গল নির্দিষ্ট করেছ তা হতে আমাকে রক্ষা করো। কারণ তুমিই তো ভাগ্য নির্ধারণ কর। তোমার উপরে তো কেউ ভাগ্য নির্ধারণ করার নেই। তুমি যার অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেছ, সে কোন দিন অপমানিত হবে না এবং তুমি যার সাথে শত্রুতা করেছ, সে কখনো সম্মানিত হতে পারে না। হে আমাদের প্রভু! তুমি বরকতপূর্ণ ও সুমহান। [তিরমিযি : ৪২৬]
(২৪) হে আল্লাহ! তোমার কাছে আত্মসমর্পণ করলাম। তোমার প্রতি ঈমান আনলাম। তোমার উপর ভরসা করলাম। তোমার দিকে প্রত্যাবর্তন করলাম। তোমার উদ্দেশ্যে বিবাদে লিপ্ত হলাম। তোমার নিকট বিচার ফয়সালার ভার সোপর্দ করলাম। অতঃপর তুমি আমাকে ক্ষমা কর, যা আগে করেছি ও পরে করব, যা প্রকাশ্যে করেছি ও যা গোপনে করেছি। এবং যে বিষয়ে আমার থেকেও তুমি অধিক অবহিত আছ। তুমিই আমার মা’বুদ তুমি ব্যতীত প্রকৃত কোন মা’বুদ নেই। [বোখারি : ৫৮৪২]
(২৫) হে আল্লাহ! তুমি আমার অন্তর আলোকময় কর। আমার কর্ণ আলোকময় কর। আমার চোখ জ্যোতির্ময় কর। আমার সম্মুখ আলোকময় কর। আমার পশ্চাৎ আলোকময় কর। আমার ডানে, আমার বামে, আমার সামনে, আমার পিছনে জ্যোতি ছড়িয়ে দাও। আমার নূরকে তুমি বৃহদাকার করে দাও। হে বিশ্ব জাহানের প্রতিপালক। [মুসলিম : ১২৭৯]
(২৬) হে আল্লাহ! তোমারই রহমতের আকাঙ্ক্ষী আমি, সুতরাং তুমি এক পলক পরিমাণ সময়ের জন্যও আমাকে আমার নিজের উপর ছেড়ে দিয়ো না। তুমি আমার সমস্ত বিষয় সুন্দর করে দাও। তুমি ভিন্ন প্রকৃত কোন মা’বুদ নেই। [আবু দাউদ : ৪৪২৬]
(২৭) হে আল্লাহ! আমি তোমার বান্দা, তোমারই এক বান্দার পুত্র আর তোমার এক বান্দির পুত্র। আমার ভাগ্য তোমারই হাতে। আমার উপর তোমার নির্দেশ কার্যকর। আমার প্রতি তোমার ফয়সালা ইনসাফপূর্ণ। আমি সেই সমস্ত নামের প্রত্যেকটির বদৌলতে, যে নাম তুমি নিজের জন্য নিজে রেখেছ,অথবা তোমার যে নাম তুমি তোমার কিতাবে নাজিল করেছ, অথবা তোমার সৃষ্ট জীবের মধ্যে কাউকে যে নাম শিখিয়েছ, অথবা স্বীয় ইলমের ভাণ্ডারে নিজের জন্য সংরক্ষণ করে রেখেছ, তোমার নিকট এই কাতর প্রার্থনা জানাই-তুমি কুরআন মাজিদকে আমার হৃদয়ের প্রশান্তি, আমার বক্ষের জ্যোতি,আমার চিন্তা-ভাবনার অপসারণকারী এবং উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার বিদূরণকারীতে পরিণত কর। [আহমদ : ৩৫২৮]
(২৮) হে অন্তর সমূহের পরিবর্তনকারী! তোমার দ্বীনের উপর আমার অন্তরকে অবিচল রাখ। [তিরমিযি : ৩৪৪৪]
(২৯) হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে কল্যাণময় সকল বিষয় কামনা করি, কল্যাণের আগত ও অনাগত বিষয়গুলো; যা আমি জানতে পেরেছি এবং যা আমি
জানতে পারিনি। আর আমি তোমার আশ্রয় কামনা করছি সকল প্রকার অনিষ্ট হতে, অনিষ্টের আগত ও অনাগত সকল বিষয় হতে, যা আমি জানতে পেরেছি এবং যা আমি জানতে পারিনি। [ইবনে মাজা : ৩৮৩৬]
(৩০) হে আল্লাহ! আমি তোমার আশ্রয় কামনা করছি অসার জ্ঞান হতে, অশ্রুত দো’আ হতে, এবং এমন প্রবৃত্তি হতে যা পরিতৃপ্ত হয় না, এমন অন্তর হতে যা বিগলিত হয় না। [মুসলিম : ৪৮৯৯]
(৩১) হে আল্লাহ! তুমি আমাকে সকল ঘৃণিত স্বভাব, অবাঞ্ছিত আচরণ, কুপ্রবৃত্তির তাড়না ও রোগ-ব্যাধি হতে দূরে রাখ। [তিরমিযি : ৩৫১৫]
(৩২) হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে হেদায়েত, তাকওয়া, চারিত্রিক পবিত্রতা, সম্পদের প্রাচুর্য এবং সে কাজ করার সামর্থ্য কামনা করি যা তুমি পছন্দ কর ও যাতে তুমি সন্তুষ্ট হও। [মুসলিম : ৪৮৯৮]
(৩৩) হে আল্লাহ! আমাকে ইসলাম সহকারে দাঁড়ানো অবস্থায় এবং বসা অবস্থায় তথা সর্বাবস্থায় হেফাজত কর। আমার ক্ষেত্রে আমার কোন শত্রু,আমার কোন নিন্দুক বা হিংসুক খুশি হয়ে উপহাস করতে পারে এমন কোন কাজ করনা। [সহিহ জামেউস সগীর : ১২৬০]
(৩৪) হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে কামনা করছি সেসব কল্যাণ ও মঙ্গল যার ভাণ্ডার তোমার হাতে। আর তোমার কাছে আশ্রয় কামনা করছি সেসব অনিষ্ট ও ক্ষতি হতে, যার ভাণ্ডারও তোমার হাতে। [বোখারি : ১৬৩/৭]
(৩৫) হে আমাদের রব! তুমি আমাদিগকে দুনিয়া ও আখেরাতে মঙ্গল দান কর। আর জাহান্নামের শাস্তি হতে আমাদের রক্ষা কর।

হে আল্লাহ্‌ আমাদের সকল দুয়া কবুল কর। আমিন।

গীবত ও গীবতকারীর পরিণতি

      

              

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

ইসলাম ঐক্যবদ্ধ থাকার গুরুত্বারোপ করেছে। ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ব বিনষ্টকারী সমুদয় কর্ম হতে বিরত থাকতে সকলকে তাগীদ দিয়েছে। সমাজে যেসব বিষয়ে ফাটল ধরাতে এবং ঐক্যের সুরম্য প্রাসাদকে ভেঙ্গে তছনছ করে দিতে সক্ষম এমন বিষয়গুলির অন্যতম হল পরনিন্দা বা গীবত। এর মাধ্যমেই শয়তান সমাজে ফাটল ধরিয়ে থাকে। আল্লাহ্‌ তা’আলা বলেনঃ পশ্চাতে ও সম্মুখে পরনিন্দাকারীর জন্য দুর্ভোগ। [সূরা হুমাযাহ – ০১] কুরআন ও হাদিসে এই আচরণ সম্পর্কে বিভিন্নভাবে সতর্ক করা হয়েছে।

গীবত-এর সংজ্ঞাঃ ‘গীবত’ অর্থ বিনা প্রয়োজনে কোন ব্যক্তির দোষ অপরের নিকটে উল্লেখ করা। ইবনুল আছীর বলেনঃ “গীবত হল কোন মানুষের এমন কিছু বিষয় যা তার অনুপস্থিতিতে উল্লেখ করা, যা সে অপছন্দ করে, যদিও তা তার মধ্যে বিদ্যমান থাকে”। এসব সংজ্ঞা মূলত হাদিস হতে নেয়া হয়েছে। রাসূলুল্লাহ্‌ (সা) গীবতের পরিচয় দিয়ে বলেনঃ “গীবত হল তোমার ভাইয়ের এমন আচরণ বর্ণনা করা, যা সে খারাপ জানে”।[1]

গীবত করার পরিণামঃ গীবত কবীরা গুনাহ্‌র অন্তর্ভুক্ত। গীবতের পাপ সুদ অপেক্ষা বড়; বরং হাদিসে গীবতকে বড় সুদ বলা হয়েছে (সহীহ আত্‌ তারগীব) রাসূলুল্লাহ্‌ (সা)-এর নিকটে আয়েশা (রা) ছাফিইয়া (রা)-এর সমালোচনা করতে গিয়ে বলেনঃ হে আল্লাহ্‌র রাসূল (সা)! আপনার জন্য ছাফিইয়ার এরকম এরকম হওয়াই যথেষ্ট। এর দ্বারা তিনি ছাফিইয়ার বেঁটে সাইজ বুঝাতে চেয়েছিলেন। এতদশ্রবণে নাবী কারীম (সা) বললেনঃ “হে আয়েশা! তুমি এমন কথা বললে, যদি তা সাগরের পানির সঙ্গে মিশানো যেত তবে তার রং তা বদলে দিত”।[2]

১. গীবত জাহান্নামে শাস্তি ভোগের কারণঃ রাসূলুল্লাহ্‌ (সা) বলেনঃ “মিরাজ কালে আমি এমন কিছু লোকের নিকট দিয়ে অতিক্রম করলাম, যাদের নখগুলি পিতলের তৈরি, তারা তা দিয়ে তাদের মুখমণ্ডল ও বক্ষগুলিকে ছিঁড়ছিল। আমি জিজ্ঞাস করলাম, এরা কারা হে জিবরীল? তিনি বললেনঃ এরা তারাই যারা মানুষের গোশত খেত এবং তাদের ইজ্জত-আবরু বিনষ্ট করত”।[3]

২. গীবত মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার শামিলঃ আল্লাহ্‌ তা’আলা বলেনঃ ‘তোমাদের কেউ যেন কারো গীবত না করে, তোমাদের কেউ কি চায় যে, সে তার মৃত ভাইয়ের গোশত ভক্ষণ করবে? তোমরা তো এটাকে ঘৃণাই করে থাকো’। [সূরা হুজুরাত – ১২] অত্র আয়াত প্রমাণ করে যে, গীবত করা মৃত ব্যক্তির গোশত ভক্ষণ করার শামিল।

আনাস ইবন মালেক (রা) বলেনঃ আরবরা সফরে বের হলে একে অপরের খেদমত করত। আবু বকর ও ওমর (রা)-এর সাথে একজন খাদেম ছিল। (একবার সফর অবস্থায়) ঘুম থেকে তারা উভয়ে জাগ্রত হয়ে দেখেন যে, তাদের খাদেম তাদের জন্য খানা প্রস্তুত করেনি, তখন তারা পরস্পরকে বললেন, দেখ এই ব্যক্তিটি বাড়ির ঘুমের ন্যায় ঘুমাচ্ছে (অর্থাৎ এমনভাবে নিদ্রায় বিভোর যে, মনে হচ্ছে সে বাড়িতেই রয়েছে, সফরে নয়)। অতঃপর তারা তাকে জাগিয়ে দিয়ে বললেনঃ রাসূলুল্লাহ্‌ (সা)-এর কাছে যাও এবং বল আবু বকর ও ওমর আপনাকে সালাম দিয়েছেন এবং আপনার কাছে তরকারী চেয়ে পাঠিয়েছেন (নাস্তা খাওয়ার জন্য)। লোকটি রাসূলুল্লাহ (সা)-এর নিকটে গেলে তিনি [রাসূলুল্লাহ্‌ (সা)] বললেনঃ তারাতো তরকারী খেয়েছে, তখন তারা বিস্মিত হলেন এবং নাবী কারীম (সা)-এর নিকটে এসে বললেনঃ হে আল্লাহ্‌র রাসূল (সা)! আমরা আপনার নিকটে এসে লোক পাঠালাম তরকারী তলব করে, অথচ আপনি বলেছেন, আমরা তরকারী খেয়েছি? তখন নাবী কারীম (সা) বললেনঃ তোমরা তোমাদের ভাইয়ের (খাদেমের) গোশত খেয়েছ। কসম ঐ সত্তার! যার হাতে আমার প্রাণ, নিশ্চয়ই আমি ঐ খাদেমটির গোশত তোমাদের সামনের দাঁতের ফাঁক দিয়ে দেখতে পাচ্ছি। তারা বললেনঃ [ইয়া রাসূলুল্লাহ্‌ (সা)] আপনি আমাদের জন্য ক্ষমা তলব করুন। আলবানী হাদিসটিকে সহিহ্‌ বলেছেন।[4]

আব্দুল্লাহ্‌ ইবন মাসউদ (রা) বলেনঃ (একদা) আমরা নাবী কারীম (সা)-এর নিকটে ছিলাম। এমতাবস্থায় একজন ব্যক্তি উঠে চলে গেল। তার প্রস্থানের পর একজন তার সমালোচনা করল। তখন রাসূলুল্লাহ্‌ (সা) তাকে বললেনঃ তোমার দাঁত খিলাল কর। লোকটি বললঃ কি কারণে দাঁত খিলাল করব? আমিতো কোন গোশত ভক্ষণ করিনি। তখন তিনি বললেনঃ নিশ্চয়ই তুমি তোমার ভাইয়ের গোশত ভক্ষণ করেছ অর্থাৎ ‘গীবত’ করেছ।[5]

গীবত কবরে শাস্তি ভোগের অন্যতম কারণঃ

একদা রাসূলুল্লাহ্‌ (সা) দু’টি কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ তিনি থমকে দাঁড়ালেন এবং বললেনঃ ‘এই দুই কবরবাসীকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। তবে তাদেরকে তেমন বড় কোন অপরাধে শাস্তি দেওয়া হচ্ছেনা (যা পালন করা তাদের পক্ষে কষ্টকর ছিল)। এদের একজনকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে, চুগলখোরী করার কারণে এবং অন্যজনকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে পেশাবের ব্যাপারে অসতর্কতার কারনে।[6] অপর হাদিসে চুগলখোরীর পরিবর্তে গীবত করার কথা উল্লেখ রয়েছে।[7]

[1] মুসলিম #১৮০৩

[2] আবূ দাউদ, তিরমিযী, হাদিস সহীহ্‌, সহীহুল জামে #৫১৪০; মিশকাত #৪৮৪৩

[3] আবূ দাউদ, মুসনাদে আহমাদ, হাদিস সহীহ্‌।

[4] দ্রষ্টব্য আমাসিক আলায়কা লিসানাকা (কুয়েত ১ম সংস্করণ ১৯৯৭ইং)

[5] ত্বাবারানী, ইবন আবী শায়বা, হাদিস সহীহ্‌ দ্রষ্টব্য গায়াতুল মারাম #৪২৮

[6] বুখারী, মুসলিম, সহিহ্‌ আত-তারগীব #১৫৭

[7] আহমাদ প্রভৃতি, সহিহ্‌ আত-তারগীব #১৬০ ‘পবিত্রতা’ অধ্যায়।

হিজাব যাদের হৃদয় জয় করেছে!


বর্তমান নাম সুরাইয়া।বরেণ্য মালয়লাম লেখক।তার সুবিখ্যাত আত্মজীবনীমূলক বই “My Sotry” এক অসাধারন উপন্যাস।বইটি সম্পর্কে একজন সমালোচকের মন্তব্য-“This book is the Bible of Feminism to me”।১৯৯৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর তিনি ইসলাম গ্রহন করেন।ইসলাম গ্রহনের অনেক আগে থেকেই তিনি মাঝে মাঝেই হিজাব করতেন।তার একটি সাক্ষাতকারের প্রাসঙ্গিক অংশ এখানে উপস্থাপন করা হল– 
Hijab
“আমি মুসলিম মেয়েদের শালীন জীবনযাত্রা ভীষণ পছন্দ করি।ইসলামের হিজাব ব্যবস্থার সৌন্দর্য আমাকে মুসলমান হতে আকৃষ্ট করে।”
“অনিয়ন্ত্রিত স্বাধীনতার বহু ধাক্কা আমাকে সামলাতে হয়েছে।বল্গাহীন স্বাধীনতা এখন আমার কাছে একটা বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে আমি আমার জীবনকে নিয়নত্রন করার জন্য কিছু বিশেষ নীতি ও নিয়মানুবর্তিতা পালন করতে চাই।আমাকে রক্ষা করার মত একজন প্রভুকে চাই।তাই আমি আল্লাহর অনুগত থাকতে চাই।গত ২৪ বছর ধরে মাঝে মাঝেই হিজাব পরি।এটি পরিধান করেই আমি বাজার করতে গিয়েছি,দেশে-বিদেশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে অংশগ্রহন করেছি।পর্দার মাধ্যমে একজন নারীকে সম্মানিত করা হয়।এতে কেউ নারীকে টিজ করার সাহস পায় না।মেয়েরা এতে প্রচুর নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।”
আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলাম গ্রহনের আগেই তিনি ৫ ওয়াক্ত নামায এবং হিজাব করা শুরু করে দেন।তার বক্তব্য-“অতিমাত্রায় স্বাধীনতা ভোগ করে ক্লান্ত আমি এখন আল্লাহর গোলাম হয়ে শান্তি পেয়েছি।”(হিজাব ও বাস্তবতা নামক বই থেকে সংকলিত)
সুতরাং আসুন আমরা নিজেরা হিজাব মেনে চলি,অন্যদেরও মেনে চলতে উৎসাহিত করি।

অমুসলিমদের প্রতি মুসলিমদের আচরণ কেমন হওয়া উচিত



প্রশ্ন : একজন অমুসলিম কোনো মুসলিম দেশে প্রবাসী যিম্মি (মুসলিম শাসনে বসবাসকারী অমুসলিম) হিসেবে বসবাস করতে পারে। আবার একজন মুসলিম কোনো অমুসলিম দেশে প্রবাসী হিসেবেও বসবাস করতে পারে। পরিস্থিতি দুটোর যা-ই হোক না কেন, একজন অমুসলিমের প্রতি একজন মুসলিমের কী ধরণের আচরণ করা উচিত? অমুসলিমদের সম্ভাষণ জানানো থেকে শুরু করে তাদের বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠান পালন করা সহ, তাদের সাথে মসুলিমদের চালচলন কেমন হওয়া উচিত, সে ব্যাপারে আমি একটা সচ্ছ ধারণা পেতে চাই। শুধু কর্মক্ষেত্রে কোনো অমুসলিমকে কি বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করার অনুমতি আছে? দয়া করে জানাবেন।

উত্তর : প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ্‌র জন্য। অমুসলিমদের প্রতি মুসলিমদের কর্তব্যের মধ্যে অনেকগুলো বিষয় অন্তর্ভুক্ত।

প্রথমত :

একজন অমুসলিমের প্রতি একজন মুসলিমের প্রথম কর্তব্য হলো, তাকে আল্লাহ্‌র দ্বীন, ইসলামের দা‘ওয়াত দিতে হবে। ইসলামের দা‘ওয়াত দেওয়ার পাশাপাশি যতদূর সম্ভব, জ্ঞান নিজের বিশুদ্ধ অনুযায়ী বাস্তবিক অর্থে ইসলাম কী, সে ব্যাপারে অমুসলিম ব্যক্তিকে বুঝাতে হবে। কারণ অন্যান্য মুসলিমদের পাশাপাশি কোনো ইহুদী, খ্রিস্টান কিংবা মুশরিকের প্রতি একজন মুসলিমের সর্বোচ্চ পরিমাণ অনুগ্রহ দেখানো উপায় হলো, তাদেরকে আল্লাহ্‌র দ্বীনের দা‘ওয়াত দেওয়া। নবী (সা) বলেছেন :
“যে ব্যাক্তি অন্যদেরকে কল্যাণের দিকে আহ্বান করবে, সে ‘আমলকারীর সমপরিমান সওয়াব পাবে” [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৮৯৩]
‘আলীকে (রা) খায়বারে প্রেরণের সময় রাসূল (সা) নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, তিনি যেন ইহুদীদেরকে ইসলামের দা‘ওয়াত দেন। রাসূল (সা) বলেছিলেন :
“আল্লাহ্‌র কসম! আল্লাহ্‌ যদি তোমার মাধ্যমে একজন মাত্র ব্যক্তিকে হিদায়াত দান করেন, তাহলে তোমার জন্য তা হবে লাল উট (সেরা প্রজাতির উট) থাকার চেয়েও অধিক উত্তম।”
তিনি (সা) আরও বলেছিলেন :
“যে ব্যক্তি অন্যদেরকে সঠিক পথের দিকে আহ্বান করে, সে তাদের সমপরিমান সওয়াব লাভ করবে, যারা সে পথের অনুসরণ করবে। অথচ তাদের কারও সওয়াব থেকে বিন্দুমাত্র কম করা হবে না।” [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪৮৩২]
কাজেই, আন্তরিকতার সাথে একজন অমুসলিমকে ইসলামের দা‘ওয়াত দেওয়া এবং তার কাছে ইসলামের বাণী পৌঁছে দেওয়া আল্লাহ্‌র নৈকট্য লাভের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপায়।

দ্বিতীয়ত :

কোনো মুসলিম শারীরিক, আর্থিক কিংবা সম্মান-মর্যাদার দিক থেকে অমুসলিম ব্যাক্তির প্রতি কোনোরূপ অন্যায় করতে পারবে না। অমুসলিম ব্যক্তি যদি যিম্মি (মুসলিম শাসনাধীনে বসবাসকারী), মুস্তা’মান (মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় নিরাপত্তাপ্রাপ্ত) কিংবা মু‘আহিদ (যার দেশের সাথে মুসলিমদের শান্তিচুক্তিতে আবন্ধ) হয়, তাহলে তাকে তার প্রাপ্য অধিকার দিতে হবে এবং  চুরি, বিশ্বাসঘাতকতা বা প্রতারণার মাধ্যমে তার ধনসম্পদের ক্ষয়ক্ষতি করা যাবে না। তাকে হত্যা করা যাবে না এবং আঘাত করে শারীরিকভাবে কষ্ট দেওয়া যাবে না। কারণ সে মু‘আহিদ, যিম্মি কিংবা মুস্তা’মান হওয়ায় ইসলামী শারী‘আহ্‌ কর্তৃক তার নিরাপত্তা সুরক্ষিত।

তৃতীয়ত :

এমন কোনো কারণ নেই যার ফলে আমরা অমুসলিম সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য, তাদের কাছে জিনিসপত্র ভাড়া দেওয়া বা তাদের কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া ইত্যাদি কাজগুলো করতে পারবো না। সহীহ হাদীসের বর্ণনা অনুযায়ী, আল্লাহ্‌র রাসূল (সা) কাফের এবং মুশরিকদের থেকে জিনিসপত্র কিনেছেন। আর তাদের থেকে জিনিসপত্র কেনা মূলত তাদের সাথে সম্পর্ক রাখা। তাঁর (সা) মৃত্যুর সময়েও তাঁর একটি বর্ম একজন ইহুদীর কাছে বন্ধক ছিল। ইহুদীর কাছে একসময় বর্মটি বন্ধক রেখে রাসূল (সা) তাঁর পরিবারের জন্য খাবার কিনেছিলেন।

চতুর্থত :

অমুসলিমদেরকে প্রথমে সম্ভাষণ জানানো মুসলিম ব্যক্তির উচিত নয়। নবী (সা) বলেছেন,
“ইহুদী কিংবা খ্রিস্টানদের প্রথমে তোমরা সালাম জানাবে না।” [সহীহ মুসলিম, সালাম অধ্যায়, হাদীস নং ২১৬৭]
তিনি (সা) আরও বলেছেন,
“যদি আহলে কিতাবদের কেউ সালামের (আস্‌সালামু ‘আলাইকুম) মাধ্যমে তোমাদের অভিবাদন জানায়, তাহলে বোলো, ‘ওয়া ‘আলাইকুম।’” [আল-বুখারি, হাদীস নং ৫৯০১; মুসলিম, হাদীস নং ২১৬৫]
অতএব, নিজে থেকে প্রথমেই কোনো কাফিরকে সালাম জানানো মুসলিমের উচিত নয়। তবে কোন কাফের, ইহুদী বা খ্রিস্টান যদি কোনো মুসলিমকে সালাম জানায়, তাহলে রাসূলের (সা) নির্দেশ অনুযায়ী, “ওয়া ‘আলাইকুম” বলে উত্তর দিতে হবে।
ভালো প্রতিবেশী হওয়া মুসলিমদের উপর অমুসলিমদের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অধিকার। কাজেই কোনো অমুসলিম  আপনার প্রতিবেশী হলে তার প্রতি সদয় হউন। তাকে কোনোভাবে হয়রানি করবেন না। অসচ্ছল হলে তাকে সাহায্য করুন। উপহার দিয়ে, সুপরামর্শ দিয়ে তাকে সহায়তা করুন। এতে করে সে ইসলামের সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হবে এবং মুসলমান হওয়ার জন্য আগ্রহী হয়ে উঠবে। অধিকিন্তু, প্রতিবেশী হিসেবে আপনার উপর তার অধিকার রয়েছে। রাসূল (সা) বলেছেন,
“জিব্‌রীল (আ) প্রতিবেশীর প্রতি সদয় হওয়ার জন্য আমাকে এতটাই তাগিদ দিতে থাকলেন যে, আমি ভাবলাম, তিনি হয়তো প্রতিবেশীকে আমার উত্তরাধিকারী বানিয়ে ফেলবেন।” [আল-বুখারি ও মুসলিম]
প্রতিবেশী কাফির হলেও প্রতিবেশী হিসেবে তার অধিকার রয়েছে। প্রতিবেশী যদি কাফির হওয়ার পাশাপাশি আত্মীয়ও হয়, তাহলে তার অধিকার দ্বিগুন: প্রতিবেশী হিসেবে এবং আত্মীয় হিসেবে।
প্রতিবেশী দরিদ্র হলে তাকে যাকাত না দিয়ে আর্থিকভাবে সাহায্য করুন। কারণ প্রতিবেশী হিসেবে এই সাহায্য পাওয়ার অধিকার তার আছে। এই সম্পর্কে আল্লাহ্‌ বলেন (অর্থের ব্যাখ্যা),
“দ্বীনের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদেরকে স্বদেশ হতে বহিষ্কার করেনি, তাদের প্রতি সদ্ব্যবহার ও ন্যায় বিচার করতে আল্লাহ্‌ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না। আল্লাহ্‌ তো ন্যায়-পরায়ণদেরকে  ভালোবাসেন।” [সূরা মুমতাহিনাহ্‌, আয়াত-৮]
আস্‌মা বিন্‌তে আবি বাক্‌র (রা) থেকে বর্ণিত একটি বিশুদ্ধ বর্ণনানুযায়ী, মক্কার মুশরিক এবং রাসূলের (সা) মধ্যে যুদ্ধবিরতি চলাকালীন তার মা — যে তখনও মুশরিকা ছিল — তার সাথে দেখা করে সাহায্য চাইলো। মায়ের সাথে তার সম্পর্কের বন্ধনকে বহাল রাখবে কি না, সে বিষয়ে আস্‌মা রাসূলের (সা) কাছে অনুমতি চাইলেন। উত্তরে রাসূল (সা) বলেছিলেন,
“তার সাথে রক্তের বন্ধনকে বহাল রাখো।”
অমুসলিমদের উৎসব-অনুষ্ঠান উদ্‌যাপনের ক্ষেত্রে বিধান হলো, কোনো মুসলিম সেগুলোতে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। তবে তাদের কোনো প্রিয়জন মারা গেলে, সমবেদনা জ্ঞাপন করাতে দোষের কিছু নেই। যেমন: ‘আল্লাহ্‌ আপনার ক্ষতিপূরণ করুন’ বা এই জাতীয় সহানুভূতিপূর্ণ কথা বলা যেতে পারে। তবে মৃত ব্যক্তি কাফির হলে “আল্লাহ্‌ তাকে ক্ষমা করে দিন” বা ‘আল্লাহ্‌ তার উপর দয়া করুন’ ইত্যাদি বলা যাবে না এবং মৃতের জন্য কোনো দো‘আও করা যাবে না। কিন্তু মৃত ব্যক্তির জীবিত আত্মীয়স্বজনদের ক্ষতিপূরণের জন্য এবং তাদের হিদায়াতের জন্য দো‘আ করা যাবে।
ফাতাওয়া নূর ‘আলা আদ্‌-দার্‌ব, ১/২৮৯-২৯১

আবু বকর সিদ্দীক (রা) এর একটি ঘটনা


আবু বকর সিদ্দীক (রা) এর এই ঘটনাটি মোটামুটি আমরা সবাই জানি, কিন্তু ঘটনাটির মাঝে একটি গুরত্বপূর্ণ শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে যা আমাদের অনেকেরই নজর এড়িয়ে গেছে। ইনশাল্লাহ, সেই বিষয়েই এখানে আলোকপাত করব।
আহমদ ইবনে হাম্বল রহিমাহুল্লাহ কর্তৃক বর্ণিত, জাবির বিন আব্দুল্লাহ (রা) এই হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
রাসূল ﷺ মিরাজ থেকে ফিরে এসেছেন। সকালবেলা তিনি যখন মক্কার কুরাইশদের মিরাজের ঘটনাটি বললেন তখন কুফ্ফার সম্প্রদায় হাসি-তামাশায় লিপ্ত হয়েছিল। মক্কার এই কুরাইশ সম্প্রদায়ের কুফ্ফারগণ ছিলেন অনেকটা বস্তুবাদি। যা দেখা, যায় ধরা যায়, ছোয়া যায় শুধু তাই তারা আমলে নিত। রাসূল ﷺ এর মিরাজের ঘটনাটিকে তারা একটা হাতিয়ার হিসেবে ধরে নিল আর এর মাধ্যমে মিরাজের ঘটনাটিকে মিথ্যা প্রমাণ করতে চাইল। কুফ্ফার সম্প্রদায়ের কিছু লোক আবু বকর সিদ্দীক (রা) এর নিকট গেলেন। তিনি বাণিজ্য থেকে কিছুক্ষণ আগে ফিরে এসেছেন, তাই তখনও রাসূল ﷺ এর সাথে দেখা করতে পারেননি। কুফ্ফার সম্প্রদায় তাকে বলল, শুনেছ কি তোমার সঙ্গী কি সব বলা শুরু করেছে? সে বলছে, সে নাকি এক রাতের মধ্যে মক্কা থেকে বাইতুল মাকদাস(জেরুজালেম) যেয়ে আবার মক্কায় ফিরে এসেছে।
আবু বকর (রা) বললেন, এই কথাগুলো কি তিনি বলেছেন?
তারা জবাব দিল, হ্যাঁ।
এরপর আবু বকর (রা) বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, যদি তিনি সত্যিই বলে থাকেন, তাহলে তিনি সত্য বলেছেন।
কুফফার সম্প্রদায়ের বিস্ময়ে চোখ কপালে উঠে গেল। তারা বলল, তুমি বিশ্বাস কর সে বৃহত্তর সিরিয়ায় যেয়ে আবার এক রাতের মধ্যে ফিরে এসেছে!
আবু বকর (রা) বললেন, আমি তাকে বিশ্বাস করি বরং এর চেয়েও বেশী বিশ্বাস করি ঐসব বিষয়ে যেগুলো তাঁর নিকট ওহী হিসেবে এসেছে।
মোটামুটি এই ঘটনাটুকু আমরা সবাই জানি, কোন বইতে পড়ে কিংবা কারো নিকট থেকে এই ঘটনা শুনে আমরা পুলকিত হই কিন্তু এই ঘটনার মাঝে গুরুত্বপূর্ণ একটি হিকমা রয়েছে যা আমাদের অনেকেরই নজর এড়িয়ে গেছে।
কুফ্ফার সম্প্রদায় যখন আবু বকর (রা) কে রাসূল ﷺ এর মিরাজ সম্পর্কিত কথাটি বলল তখন, আবু বকর (রা) এর যদি দূর্বল ঈমান থাকত তাহলে তিনি বলতেন, না এই ঘটনাটি সত্য নয় অথবা, আবু বকর (রা) যদি এমন হতেন যাকে খুব সহজেই কথার চাতুরী দ্বারা অভিভূত করা যায় তাহলে তিনি বলতেন ঘটনাটি সত্য। আবু বকর (রা) চমৎকারভাবে উত্তর দিয়েছিলেন, মাশাল্লাহ। তিনি ঘটনাটি শুনেছেন কুফ্ফারদের নিকট থেকে আর তাই আবু বকর (রা) বললেন, যদি তিনি সত্যিই বলে থাকেন, তাহলে তিনি সত্য বলেছেন।
এর দুইটি অংশ রয়েছে, প্রথমত, ‘যদি তিনি সত্যিই বলে থাকেন’ – হাদীস বিশেষজ্ঞগণ এই পদ্ধতীতে কাজ করেন, অর্থাৎ যদি উৎস সত্যিই রাসূল ﷺ এর নিকট থেকে আসে- দ্বিতীয়ত, তাহলে তা সত্য। সেটা হচ্ছে ওহী, আল্লাহর নিকট থেকে রাসূল ﷺ এর উপর নাযিলকৃত। অর্থাৎ সহীহ হাদীস পাওয়া গেলে তার উপর বিশ্বাস স্থাপন করা, সেই অনুযায়ী কর্তব্য পালন করা ঈমানী দায়িত্ব, কারণ সেটা ওহী। এমন কথা বলা যাবে না যে, এটা তো আমার যুক্তিতে টিকল না বা আমার বাপ-দাদাদের কখনও এমন কিছু বলতে বা করতে দেখিনি কিংবা আমার মাযহাবে এমনটি সমর্থন করে না’।
আবু বকর সিদ্দীক (রা) এর এই ঘটনা থেকে আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে এটাই, রাসূল ﷺ এর কথা সহীহভাবে আমাদের নিকট পৌছালে বিনা বাক্য ব্যয়ে তা মেনে নিতে হবে, তার উপর বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী কর্ম পালন করতে হবে। সেটা আমার নিকট যুক্তিতে টিকুক আর না টিকুক, আমার চারপাশে লোকজন সেটা মানুক আর না মানুক আমাকে রাসূল ﷺ এর কথায় বিশ্বাস স্থাপন করতেই হবে এবং তার যথাসাধ্য অনুসরণ করতে হবে।
আল্লাহ তাআলা আমাদের রাসূল ﷺ এর সাহাবীদের মতো করে দ্বীন ইসলামকে বুঝার তৌফিক দান করুন এবং সেই অনুযায়ী আমল করার তৌফিক দান করুন। আমীন।

মুসলমানদের ১৫ টি প্রশংসনীয় চারিত্রিক গুণাবলী


ইসলামী শরীয়ত হচ্ছে একটি পরিপূর্ণ জীবন পদ্ধতি যা সকল দিক থেকে সার্বিকভাবে মুসলমানের ব্যক্তিগত জীবনকে গঠন করার ব্যাপারে অ
ত্যন্ত গুরুত্বারোপ করেছে এসব দিকের মধ্যে গুনাবলি শিষ্টাচার ও চরিত্রের দিকটি অন্যতম। ইসলাম এদিকে অত্যন্ত গুরুত্বারোপ করেছে। তাইতো আকীদা ও আখলাকের মাঝে সম্পর্ক স্থাপন করে দিয়েছে, যেমন নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,
“মুমিনদের মধ্যে পরিপূর্ণ ঈমানদার হচ্ছে সে ব্যক্তি, যে তাদের মধ্যে সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী।” [আহমাদ, আবু দাউদ, তিরমিযি ]

সুতরাং উত্তম চরিত্র হচ্ছে ঈমানের প্রমাণবাহী ও প্রতিফলন। চরিত্র ব্যতীত ঈমান প্রতিফলিত হয় না বরং নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সংবাদ দিয়েছেন যে, তাঁকে প্রেরণের অন্যতম মহান উদ্দেশ্য হচ্ছে চরিত্রের উত্তম দিকসমূহ পরিপূর্ণ করে দেয়া। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,
 আমি তো কেবল চরিত্রের উত্তম দিকসমূহ পরিপূর্ণ করে দিতে প্রেরিত হয়েছি।  ইমাম আহমাদ ও ইমাম বুখারী আদাবুল মুফরাদে বর্ণনা করেছেন।
এ কারণেই আল্লাহ তাআলা উত্তম ও সুন্দরতম চরিত্রের মাধ্যমে তাঁর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রশংসা করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন,
 “নিশ্চয়ই আপনি মহান চরিত্রে অধিষ্ঠিত।” [সূরা আল, কালাম : ৪]

কোথায় এ চরিত্র বর্তমান বস্তুবাদী মতবাদ ও মানবতাবাদী মানুষের মনগড়া চিন্তা চেতনায় ?
যেখানে চরিত্রের দিককে সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করা হয়েছে, তা শুধু সুবিদাবাদী নীতিমালা ও বস্তুবাদী স্বার্থের উপর প্রতিষ্ঠিত। যদিও তা অন্যদের উপর জুলুম বা নির্যাতনের মাধ্যমে হয়। অন্য সব জাতির সম্পদ লুন্ঠন ও মানুষের সম্মান হানীর মাধ্যমে অর্জিত হয়।

একজন মুসলমানের উপর তার আচার-আচরণে আল্লাহর সাথে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে, অন্য মানুষের সাথে, এমনকি নিজের সাথে কি ধরনের আচরণ করা উচিত ইসলাম তার এক অভিনব চকমপ্রদ চিত্র অংকন করে দিয়েছে। যখনই একজন মুসলমান বাস্তবে ও তার লেনদেনে ইসলামী চরিত্রের অনুসরণ করে তখনই সে অভিষ্ট পরিপূর্ণতার অতি নিকটে পৌঁছে যায়, যা তাকে আরো বেশি আল্লাহর নৈকট্য লাভ ও উচ্চ মর্যাদার সোপানে উন্নীত হতে সহযোগিতা করে। পক্ষান্তরে, যখনই একজন মুসলমান ইসলামের চরিত্র ও শিষ্টাচার হতে দূরে সরে যায় সে বাস্তবে ইসলামের প্রকৃত প্রাণ চাঞ্চল্য, নিয়ম-নীতির ভিত্তি হতে দূরে সরে যায়। সে যান্ত্রিক মানুষের মত হয়ে যায়, যার কোন অনুভূতি এবং আত্মা নেই।

ইসলামে ইবাদতসমূহ চরিত্রের সাথে কঠোরভাবে সংযুক্ত। যে কোন ইবাদত একটি উত্তম চরিত্রের প্রতিফলন ঘটায় না তার কোন মূল্য নেই। আল্লাহর সামনে নামায আদায়ের ক্ষেত্রে দেখা যায় নামায একজন মানুষকে অশ্লীল অপছন্দ কাজসমূহ হতে রক্ষা করে, আত্মশুদ্ধি ও আত্মার উন্নতি সাধনে এর প্রভাব রয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন,
 “নিশ্চয়ই নামায অশ্লীল, অপছন্দনীয় কাজ হতে নিষেধ করে।” [ সূরা আল-আনকাবুত :৪৫ ]
অনুরূপভাবে রোযা তাক্কওয়ার দিকে নিয়ে যায়। আর তাক্বওয়া হচ্ছে মহান চরিত্রের অন্যতম, যেমন- আল্লাহ তাআলা বলেন,
হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোযা ফরয করা হয়েছে যেমনি ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর যাতে তোমরা তাক্বওয়া লাভ করতে পার। [ সূরা আল বাকারা : ১৮৩ ]

  • রোযাঃ  অনুরূপভাবে শিষ্টাচার, ধীরস্থিরতা, প্রশান্তি, ক্ষমা, মুর্খদের থেকে বিমুখতা ইত্যাদির প্রতিফলন ঘটায়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, “তোমাদের কারো রোযার দিন যদি হয়, তাহলে সে যেন অশ্লীল কথাবার্তা না বলে, হৈ চৈ না করে অস্থিরতা না দেখায়। যদি কেউ তাকে গালি দেয় অথবা তার সাথে লড়াই করে সে যেন বলে দেয় আমি রোযাদার। বুখারী ও মুসলিম

  • যাকাতঃ  অনুরূপভাবে অন্তরকে পবিত্র করে, আত্মাকে পরিমার্জিত করে এবং তাকে কৃপণতা, লোভ ও অহংকারের ব্যধি হতে মুক্ত করে। আল্লাহ তাআলা বলেন,“তাদের সম্পদ হতে আপনি সাদকাহ গ্রহণ করুন যার মাধ্যমে আপনি তাদেরকে পবিত্র ও পরিমার্জিত করবেন।” [সূরা তাওবাহ ১০৩ আয়াত ]

  • হজ্জঃ আর হজ্জ হচ্ছে একটি বাস্তবমুখী প্রশিক্ষণশালা আত্মশুদ্ধি এবং হিংসা বিদ্ধেষ ও পঙ্কিলতা থেকে আত্মাকে পরিশুদ্ধি ও পরিমার্জনের জন্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, “যে এ মাস গুলোতে নিজের উপর হজ্জ ফরয করে নিল সে যেন অশ্লীলতা, পাপাচার ও ঝগড়া বিবাদ হজ্জের মধ্যে না করে।” [সূরা আল বাকারাহ : ১৯৭ ]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,
“যে ব্যক্তি অশ্লীল কথা-বার্তা ও পাপ কর্ম না করে হজ্জ পালন করল, সে তার পাপ রাশি হতে তার মা যেদিন জন্ম দিয়েছে সে দিনের মত নিষ্পাপ হয়ে ফিরে এল।” [বুখারী ও মুসলিম]

ইসলামী চরিত্রের মৌলিক বিষয়সমূহ
১ সত্যবাদিতা:
আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের যে সকল ইসলামী চরিত্রের নির্দেশ দিয়েছেন, তার অন্যতম হচ্ছে সত্যবাদিতার চরিত্র। আল্লাহ তাআলা বলেন,
“হে ঈমানদারগণ আল্লাহকে ভয় কর এবং তোমরা সত্যবাদীদের সাথী হও।” সূরা আত-তাওবাহ : ১১৯

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,
“তোমরা সততা অবলম্বন গ্রহণ কর, কেননা সত্যবাদিতা পুণ্যের পথ দেখায় আর পূণ্য জান্নাতের পথ দেখায়, একজন লোক সর্বদা সত্য বলতে থাকে এবং সত্যবাদিতার প্রতি অনুরাগী হয়, ফলে আল্লাহর নিকট সে সত্যবাদী হিসাবে লিপিবদ্ধ হয়ে যায়।” মুসলিম
২ আমানতদারিতা :
মুসলমানদের সে সব ইসলামী চরিত্র অবলম্বনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে তার একটি হচ্ছে আমানতসমূহ তার অধিকারীদের নিকট আদায় করে দেয়া। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
“নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন আমানতসমূহ তার হকদারদের নিকট আদায় করে দিতে।” সূরা আন নিসা : ৫৮

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর সম্প্রদায়ের নিকট আল আমীন উপাধি লাভ করেছিলেন, তারা তাঁর নিকট তাদের সম্পদ আমানত রাখত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তার অনুসারীদের মুশরিকরা কঠোর ভাবে নির্যাতন শুরু করার পর যখন আল্লাহ তাকে মক্কা হতে মদীনা হিজরত করার অনুমতি দিলেন তিনি আমানতের মালসমূহ তার অধিকারীদের নিকট ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা না করে হিজরত করেননি। অথচ যারা আমানত রেখেছিল তারা সকলেই ছিল কাফের। কিন্তু ইসলাম তো আমানত তার অধিকারীদের নিকট ফিরিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছে যদিও তার অধিকারীরা কাফের হয়।

৩ অঙ্গীকার পূর্ণ করা:
ইসলামী মহান চরিত্রের অন্যতম হচ্ছে অঙ্গীকার পূর্ণ করা। আল্লাহ তাআলা বলেন :
“আর অঙ্গীকার পূর্ণ কর, কেননা অঙ্গীকার সম্বন্ধে জিজ্ঞাসিত হবে।” সূরা ইসরা : ৩৪
আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতিশ্রতি ভঙ্গকরা মুনাফিকের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে গণ্য করেছেন।

৪ বিনয় :
ইসলামী চরিত্রের আরেকটি হচ্ছে একজন মুসলমান তার অপর মুসলিম ভাইদের সাথে বিনয়ী আচরণ করবে। সে ধনী হোক বা গরীব। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
“তুমি তোমার পার্শ্বদেশ মুমিনদের জন্য অবনত করে দাও।” সূরা আল হিজর : ৮৮

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,
“আল্লাহ তাআলা আমার নিকট ওহী করেছেন যে, ‘তোমরা বিনয়ী হও যাতে একজন অপরজনের উপর অহংকার না করে। একজন অপর জনের উপর সীমালংঘন না করে।” -মুসলিম।
৫ মাতা-পিতার প্রতি সদ্ব্যবহার:
মাতা-পিতার প্রতি সদ্ব্যবহার উত্তম চরিত্রের অন্যতম। আর এটা তাদের অধিকার মহান হওয়ার কারণে, যে অধিকার স্থান হল আল্লাহর হকের পরে।আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
‘আর আল্লাহর ইবাদত কর, তাঁর সাথে কোন কিছুকে শরীক করো না, এবং মাতা-পিতার প্রতি সদ্ব্যবহার কর।” [সূরা আন-নিসা : ৩৫ আয়াত]

আল্লাহ তাআলা তাদের আনুগত্য, তাদের প্রতি দয়া ও বিনয় এবং তাদের জন্য দু’আ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন :
“তাদের উভয়ের জন্য দয়ার সাথে বিনয়ের ডানা নত করে দাও এবং বল, হে আমার রব! তাদের প্রতি দয়া কর যেভাবে শৈশবে আমাকে তারা লালন-পালন করেছেন।” [ সূরা আল ইসরা : ২৪ ]

এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট এসে জিজ্ঞেস করল,
‘হে আল্লাহর রাসূল! আমার উত্তম আচরণ পাওয়ার সবচেয়ে বেশী অধিকারী ব্যক্তি কে ? তিনি বললেন, ‘তোমার মা।’ অত:পর জিজ্ঞেস করল তারপর কে? তিনি উত্তর দিলেন, ‘তোমার মা।’ অতঃপর জিজ্ঞেস করল তার পর কে? তিনি উত্তর দিলেন, ‘তোমার মা।’ অতঃপর জিজ্ঞেস করল তার পর কে? উত্তর দিলেন, ‘তোমার পিতা।’ [বুখারী ও মুসলিম]

মাতা-পিতার প্রতি এ সদ্ব্যবহার ও দয়া অনুগ্রহ অতিরিক্ত বা পূর্ণতা দানকারী বিষয় নয় বরং তা হচ্ছে সকল মানুষের ঐক্যমতের ভিত্তিতে ফরযে আইন।

৬ আত্মীয়তার সর্ম্পক বজায় রাখা :
আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা ইসলামী চরিত্রের অন্যতম। আর তারা হচ্ছে নিকটাত্মীয়গণ যেমন, চাচা, মামা, ফুফা, খালা, ভাই, বোন প্রমূখ।
আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা ওয়াজিব, আর তা ছিন্ন করা জান্নাত হতে বঞ্চিত ও অভিশাপের কারণ। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
“ যদি তোমরা ক্ষমতা পাও, তাহলে কি তোমরা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করবে? তারা তো ঐ সব লোক যাদের প্রতি আল্লাহ অভিশাপ করেছেন। এতে তিনি তাদেরকে বধির করে দিয়েছেন এবং তাদের দৃষ্টি অন্ধ করে দিয়েছেন।” [সূরা মুহাম্মাদ : ২২-২৩]

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,
“আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্নকারী বেহেশ্তে প্রবেশ করবে না।” [বুখারী ও মুসলিম]
৭ প্রতিবেশীর প্রতি সুন্দরতম ব্যবহার:
প্রতিবেশীর প্রতি সুন্দরতম ব্যবহার হচ্ছে ইসলামী চরিত্রের অন্যতম। প্রতিবেশী হচ্ছে সে সব লোক যারা আপনার বাড়ীর আশে পাশে বসবাস করে। যে আপনার সবচেয়ে নিকটবর্তী সে সুন্দর ব্যবহার ও অনুগ্রহের সবচেয়ে বেশী হকদার। আল্লাহ তাআলা বলেন,
“আর মাতা-পিতার প্রতি সদ্ব্যবহার কর, নিকটাত্মীয়, এতিম, মিসকীন নিকটতম প্রতিবেশী ও দূরবর্তী প্রতিবেশীর প্রতিও।” [সূরা আন-নিসা : ৩৬]

এতে আল্লাহ নিকটতম ও দূরবর্তী প্রতিবেশীর প্রতি সদ্ব্যবহার করতে ওসিয়ত করেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেনঃ
‘জিবরীল আমাকে প্রতিবেশীর ব্যাপারে ওসিয়ত করতেছিল এমনকি আমি ধারণা করেনিলাম যে, প্রতিবেশীকে উত্তরাধিকার বানিয়ে দেয়া হবে।’ [বুখারী ও মুসলিম]

অর্থাৎ আমি মনে করেছিলাম যে ওয়ারিশদের সাথে প্রতিবেশীর জন্য মিরাসের একটি অংশ নির্ধারিত করে দেবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আবু যর রা. কে লক্ষ্য করে বলেন,
‘হে আবু যর! যখন তুমি তরকারী পাক কর তখন পানি বেশি করে দাও, আর তোমার প্রতিবেশীদের অঙ্গীকার পূরণ কর।” [ মুসলিম]

প্রতিবেশীর পার্শ্বাবস্থানের হক রয়েছে যদিও সে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের প্রতি অবিশ্বাসী বা কাফের হয়।

৮ মেহমানের আতিথেয়তা:
ইসলামী চরিত্রের আরেকটি হচ্ছে মেহমানের আতিথেয়তা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বাণী,
“যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং পরকালের প্রতি বিশ্বাস করে সে যেন তার মেহমানকে সম্মান করে।” [বুখারী ও মুসলিম]
৯ সাধারণভাবে দান ও বদান্যতা:
ইসলামী চরিত্রের অন্যতম দিক হচ্ছে দান ও বদান্যতা। আল্লাহ তাআলা ইনসাফ, বদান্যতা ও দান কারীদের প্রশংসা করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
“যারা আল্লাহর রাস্তায় নিজেদের সম্পদ ব্যয় করে অতঃপর যা খরচ করেছে তা থেকে কারো প্রতি অনুগ্রহ ও কষ্ট দেয়ার উদ্দেশ্য করে না, তাদের জন্য তাদের প্রতিপালকের নিকট প্রতিদান রয়েছে। তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুশ্চিন্তাও করবে না।”   [সূরা আল বাকারাহ : ২৬২]

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,
‘যার নিকট অতিরিক্ত বাহন থাকে সে যেন যার বাহন নেই তাকে তা ব্যবহার করতে দেয়। যার নিকট অতিরিক্ত পাথেয় বা রসদ রয়েছে সে যেন যার রসদ নেই তাকে তা দিয়ে সাহায্য করে।”  [মুসলিম]

১০ ধৈর্য্য ও সহিষ্ণুতা:
ধৈর্য্য ও সহিষ্ণুতা হচ্ছে ইসলামী চরিত্রের অন্যতম বিষয়। অনুরূপভাবে মানুষদের ক্ষমা করা, দুর্ব্যবহারকারীকে ছেড়ে দেয়া ওজর পেশকারীর ওজর গ্রহণ করা বা মেনে নেয়াও অন্যতম। আল্লাহ তাআলা বলেন :
“আর যে ধৈর্য্য ধারণ করল এবং ক্ষমা করল, নিশ্চয়ই এটা কাজের দৃঢ়তার অন্তর্ভূক্ত।”   [সূরা আশ শুরা : ৪৩]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
‘তারা যেন ক্ষমা করে দেয় এবং উদারতা দেখায়, আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করে দেয়া কি তোমরা পছন্দ কর না?’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “দান খয়রাতে সম্পদ কমে যায় না। আল্লাহ পাক ক্ষমার দ্বারা বান্দার মার্যাদাই বৃদ্ধি করে দেন। যে আল্লাহর জন্য বিনয় প্রকাশ করে আল্লাহ তার সম্মানই বৃদ্ধি করে দেন।” [মুসলিম ] তিনি আরো বলেন, “দয়া কর, তোমাদের প্রতি দয়া করা হবে। ক্ষমা করে দাও তোমাদেরও ক্ষমা করে দেয়া হবে।”   [আহমাদ]

১। ১  মানুষের মাঝে সমঝোতা ও সংশোধন:
ইসলামী চরিত্রের আরেকটি হচ্ছে মানুষের মাঝে সমঝোতা ও সংশোধন করে দেয়া, এটা একটি মহান চরিত্র যা ভালবাসা সৌহার্দ প্রসার ও মানুষের পারষ্পারিক সহযোগিতার প্রাণের দিকে নিয়ে যায়।আল্লাহ তাআলা বলেন:
“তাদের অধিকাংশ শলাপরামর্শের মধ্যে কল্যাণ নেই। কেবল মাত্র সে ব্যক্তি ব্যতীত যে সাদকাহ, সৎকর্ম ও মানুষের মাঝে সংশোধনের ব্যাপারে নির্দেশ দেয়। যে আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে এসব করে অচিরেই আমরা তাকে মহা প্রতিদান প্রদান করব।” [সূরা আন নিসা : ১১৪]
১।২  লজ্জা:
ইসলামী চরিত্রের অন্যতম আরেকটি চরিত্র হচ্ছে লজ্জা। এটা এমন একটি চরিত্র যা পরিপূর্ণতা ও মর্যাদাপূর্ণ বৈশিষ্ট্যের দিকে আহবান করে। অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা হতে বারণ করে। লজ্জা আল্লাহর পক্ষ হতে হয়ে থাকে। ফলে মুসলমান লজ্জা করে যে, আল্লাহ তাকে পাপাচারে লিপ্ত দেখবে। অনুরূপভাবে মানুষের থেকে এবং নিজের থেকেও সে লজ্জা করে। লজ্জা অন্তরে ঈমান থাকার প্রমাণ বহন করে। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,
‘লজ্জা ঈমানের বিশেষ অংশ।’ [বুখারী ও মুসলিম]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেন, “লজ্জা কল্যাণ ছাড়া আর কিছুই নিয়ে আসে না।” [বুখারী ও মুসলিম]
১।৩  দয়া ও করুণা:
ইসলামী চরিত্রের আরেকটি উল্লেখযোগ্য চরিত্র হচ্ছে দয়া বা করুণা। এ চরিত্রটি অনেক মানুষের অন্তর হতে ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। ফলে তাদের অন্তর পাথরের মত অথবা এর চেয়েও শক্ত হয়ে গেছে। আর প্রকৃত মু’মিন হচ্ছে দয়াময়, পরোপকারী, গভীর অনুভূতি সম্পন্ন উজ্জল অনুগ্রহের অধিকারী। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
“অত:পর সে তাদের অন্তর্ভূক্ত হয় যারা ঈমান এনেছে পরস্পর পরস্পরকে ধৈর্য্য ও করুণার উপদেশ দিয়েছে। তারা হচ্ছে দক্ষিণ পন্থার অনুসারী।”  [সূরা আল-বালাদ : ১৭- ১৮]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,
“মুমিনদের পারস্পরিক সৌহার্দ্য, করুণা, অনুকম্পার উপমা হচ্ছে একটি শরীরের মত। যখন তার একটি অঙ্গ অসুস্থ হয় গোটা শরীর নিদ্রাহীনতা ও জ্বরে আক্রান্ত হয়।”  [মুসলিম]
১।৪  ইনসাফ বা ন্যায়পরায়ণতা:
ন্যায় পরায়ণতা ইসলামী চরিত্রের আরেকটি অংশ। এ চরিত্র আত্মার প্রশান্তি সৃষ্টি করে। সমাজে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা এবং বিভিন্ন প্রকার অপরাধ বিমোচনের দিকে নিয়ে যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন:
“নিশ্চয়ই আল্লাহ ন্যায়পরায়ণতা ইহসান ও নিকটাত্মীয়দের দান করতে নির্দেশ দেন।”   [সূরা আল নাহাল : ৯০]

আল্লাহ তাআলা বলেন :
“ইনসাফ কর, এটা তাক্বওয়ার অতীব নিকটবর্তী।”   [সূরা আল মায়িদা : ৮]

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,
“ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তিরা আল্লাহর নিকট নূরের মিম্বরের উপর বসবে। তারা হল সে সব লোক, যারা বিচার ফয়সালার ক্ষেত্রে, পরিবার-পরিজনের ক্ষেত্রে এবং যে দায়িত্বই পেয়েছে তাতে ইনসাফ করে।”
১।৫  চারিত্রিক পবিত্রতা:
ইসলামী চরিত্রের অন্যতম বিষয় হচ্ছে চারিত্রিক পবিত্রতা। এ চরিত্র মানুষের সম্মান সংরক্ষণ এবং বংশে সংমিশ্রন না হওয়ার দিকে পৌঁছে দেয়। আল্লাহ তাআলা বলেন :
“যাদের বিবাহের সামর্থ নেই, তারা যেন চারিত্রিক পবিত্রতা গ্রহণ করে। যতক্ষণ না আল্লাহ তার অনুগ্রহে তাকে সম্পদশালী করেন।” [ সুরা আন নূর-৩৩ ]
রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেছেন,
“তোমরা আমার জন্য ছয়টি বিষয়ের জিম্মাদার হও। তাহলে আমি তোমাদের জন্য জান্নাতের জিম্মাদার হব। যখন তোমাদের কেউ কথা বলে সে যেন মিথ্যা না বলে। যখন তার কাছে আমানত রাখা হয় তখন যেন খেয়ানত না করে। যখন প্রতিশ্র“তি দেয় তা যেন ভঙ্গ না করে। তোমরা তোমাদের দৃষ্টি অবনত কর। তোমাদের হস্তদ্বয় সংযত কর। তোমাদের লজ্জাস্থান হেজাফত কর।” [ হাদীসটি তাবারানী বর্ণনা করেছেন এবং হাদীসটিকে ‘হাসান’ বলেছেন ]

ইসলামের এ সব চরিত্রে এমন কিছু নেই যা ঘৃণা করা যায়। বরং এসব এমন সম্মান যোগ্য মহৎ চারিত্রাবলী যা প্রত্যেক নিষ্কলুষ স্বভাবের অধিকারীর সমর্থন লাভ করে। মুসলমানগণ যদি এ মহৎ চরিত্র ধারণ করত তাহলে সর্বস্থান থেকে তাদের নিকট মানুষ আগমন করত এবং দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে তারা প্রবেশ করত যেভাবে প্রথম যুগের মুসলমানদের লেন-দেন ও চরিত্রের কারণে সে সময়ের মানুষ ইসলামে প্রবেশ করেছিল।

আশারায়ে মুবাশশারাহ- জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত ১০ জন সাহাবী

রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-


মুসলিমরা তাদের ধর্ম, ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা ও বড়বড় মুসলিম নেতাদের পূর্ব ঐতিহ্যের ইতিহাস ভুলে যাওয়ার কারণে আজ অপমাণিত পদদলিত মথিত হচ্ছে। কারণ যে জাতি নিজের ইতিহাসকে ভুলে যায়, সে জাতির বীরত্ব, কৃতিত্ব ও মান মর্যাদা অক্ষুণ্ন থাকে না- যা জাতিকে স্বাধীনতা ও বীর্যের মন্ত্রে উজ্জীবিত করবে।  ফলে সে জাতির নাম ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে যায় যেমন পারস্যের কবি শেখ সাদী বলেন, তোমরা অতীতের লোকের সুনামকে নষ্ট করো না, তাহলে তোমারও সুনাম বিদ্যমান থাকবে।

8015990051_f3a81e6321_z





















মুসলিম জাতির নবী রাসুলগণের পর যাদের অবদান সবচেয়ে বেশী এবং যাদের পথ সবচেয়ে অনুসরণীয় তারা হলেন আল্লাহর রাসূল (সা)-এর সাহাবীগণ (রা)।

আল্লাহ তা’আলা ঐ সমস্ত সাহাবীগণকে রাসুল (সা)-এর পরামর্শদাতা ও উপদেষ্টা নিধারণ করে তাঁদের সম্মান আরও বর্ধিত করেছেন ।

আল্লাহ তাআলা তাঁদের সচ্চরিত্র সম্পর্কে তাঁর বাণী অবতীর্ণ করে তাঁদের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করেছেন :

﴿ مُّحَمَّدٞ رَّسُولُ ٱللَّهِۚ وَٱلَّذِينَ مَعَهُۥٓ أَشِدَّآءُ عَلَى ٱلۡكُفَّارِ رُحَمَآءُ بَيۡنَهُمۡۖ تَرَىٰهُمۡ رُكَّعٗا سُجَّدٗا يَبۡتَغُونَ فَضۡلٗا مِّنَ ٱللَّهِ وَرِضۡوَٰنٗاۖ سِيمَاهُمۡ فِي وُجُوهِهِم مِّنۡ أَثَرِ ٱلسُّجُودِۚ ذَٰلِكَ مَثَلُهُمۡ فِي ٱلتَّوۡرَىٰةِۚ وَمَثَلُهُمۡ فِي ٱلۡإِنجِيلِ كَزَرۡعٍ أَخۡرَجَ شَطۡ‍َٔهُۥ فَ‍َٔازَرَهُۥ فَٱسۡتَغۡلَظَ فَٱسۡتَوَىٰ عَلَىٰ سُوقِهِۦ يُعۡجِبُ ٱلزُّرَّاعَ لِيَغِيظَ بِهِمُ ٱلۡكُفَّارَۗ وَعَدَ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّٰلِحَٰتِ مِنۡهُم مَّغۡفِرَةٗ وَأَجۡرًا عَظِيمَۢا ٢٩ ﴾ [الفتح: ٢٩]

‘মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল এবং তার সাথে যারা আছে তারা কাফিরদের প্রতি অত্যন্ত কঠোর; পরস্পরের প্রতি সদয়, তুমি তাদেরকে রুকূকারী, সিজদাকারী অবস্থায় দেখতে পাবে। তারা আল্লাহর করুণা ও সন্তুষ্টি অনুসন্ধান করছে। তাদের আলামত হচ্ছে, তাদের চেহারায় সিজদার চি‎হ্ন থাকে। এটাই তাওরাতে তাদের দৃষ্টান্ত। আর ইনজীলে তাদের দৃষ্টান্ত হলো একটি চারাগাছের মত, যে তার কচিপাতা উদগত করেছে ও শক্ত করেছে, অতঃপর তা পুষ্ট হয়েছে ও স্বীয় কাণ্ডের ওপর মজবুতভাবে দাঁড়িয়েছে, যা চাষীকে আনন্দ দেয়। যাতে তিনি তাদের দ্বারা কাফিরদেরকে ক্রোধান্বিত করতে পারেন। তাদের মধ্যে যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের জন্য ক্ষমা ও মহাপ্রতিদানের ওয়াদা করেছেন।’ {সূরা আল-ফাতহ, আয়াত : ২৯}



আল্লাহ তাআলা তাদের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণে নিম্নোক্ত আয়াত নাযিল করেন।

আল্লাহ বলেন :



﴿ وَٱلسَّٰبِقُونَ ٱلۡأَوَّلُونَ مِنَ ٱلۡمُهَٰجِرِينَ وَٱلۡأَنصَارِ وَٱلَّذِينَ ٱتَّبَعُوهُم بِإِحۡسَٰنٖ رَّضِيَ ٱللَّهُ عَنۡهُمۡ وَرَضُواْ عَنۡهُ﴾ [التوبة: ١٠٠]

‘মুহাজির ও আনছারগণের মধ্যে অগ্রবর্তী সাহাবীগণ এবং কল্যাণকর্মের মাধ্যমে তাঁদের অনুসারীগণের প্রতি আল্লাহ সন্তুষ্ট হয়েছেন। আর তাঁরাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন’ (আত-তাওবাহ ১০০)।

আল্লাহ তাআলা আরও বলেন,

﴿ لِلۡفُقَرَآءِ ٱلۡمُهَٰجِرِينَ ٱلَّذِينَ أُخۡرِجُواْ مِن دِيَٰرِهِمۡ وَأَمۡوَٰلِهِمۡ يَبۡتَغُونَ فَضۡلٗا مِّنَ ٱللَّهِ وَرِضۡوَٰنٗا وَيَنصُرُونَ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥٓۚ أُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلصَّٰدِقُونَ ٨ وَٱلَّذِينَ تَبَوَّءُو ٱلدَّارَ وَٱلۡإِيمَٰنَ مِن قَبۡلِهِمۡ يُحِبُّونَ مَنۡ هَاجَرَ إِلَيۡهِمۡ وَلَا يَجِدُونَ فِي صُدُورِهِمۡ حَاجَةٗ مِّمَّآ أُوتُواْ وَيُؤۡثِرُونَ عَلَىٰٓ أَنفُسِهِمۡ وَلَوۡ كَانَ بِهِمۡ خَصَاصَةٞۚ وَمَن يُوقَ شُحَّ نَفۡسِهِۦ فَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡمُفۡلِحُونَ ٩ ﴾ [الحشر: ٨،  ٩]

‘এই সম্পদ নিঃস্ব মুহাজিরগণের জন্য ও যাদেরকে নিজেদের ঘর-বাড়ি ও ধন-সম্পত্তি থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল। অথচ এরা আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টির অন্বেষণ করে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে সাহায্য করেন। এরাই তো সত্যবাদী। আর মুহাজিরদের আগমনের পূর্বে যারা মদীনাকে নিবাস হিসেবে গ্রহণ করেছিল এবং ঈমান এনেছিল (তাদের জন্যও এ সম্পদে অংশ রয়েছে), আর যারা তাদের কাছে হিজরত করে এসেছে তাদেরকে ভালোবাসে। আর মুহাজরিদেরকে যা প্রদান করা হয়েছে তার জন্য এরা তাদের অন্তরে কোনো ঈর্ষা অনুভব করে না। এবং নিজেদের অভাব থাকা সত্ত্বেও নিজেদের ওপর তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়। যাদের মনের কার্পণ্য থেকে রক্ষা করা হয়েছে, তারাই সফলকাম।’ {সূরা আল-হাশর, আয়াত : ০৮-০৯}



সাহাবীদের প্রশংসায় রাসুল (সা) বলেছেন,

আমার উম্মতের মধ্যে তারাই সব চাইতে নেক লোক যাদের মাঝে আমি প্রেরিত হয়েছি।

অন্য বর্ণনায়, রাসুল (সা) বলেছেন: সবচাইতে সেরা মানব আমার সাহাবাগণ।

অন্য স্থানে বলেছেন : সমস্ত গোত্রের মধ্যে আমার (বনু হাশেম) গোত্র সর্বশ্রেষ্ঠ। এ বর্ণনায় শেষের দিকে সাহাবাগণের প্রতি ভালোবাসাকে ঈমানের চিহ্ন হিসেবে অভিহিত করেছেন।

আবদুল্লাহ ইবন উমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন,

لاَ تَسُبُّوا أَصْحَابَ مُحَمَّدٍ صَلَّى الله عَليْهِ وسَلَّمَ ، فَلَمُقَامُ أَحَدِهِمْ سَاعَةً ، خَيْرٌ مِنْ عَمَلِ أَحَدِكُمْ عُمُرَهُ.

‘তোমরা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ছাহাবীদের গালাগাল করো না। কেননা তাদের এক মুহূর্তের (ইবাদতের) মর্যাদা তোমাদের প্রত্যেকের জীবনের আমলের চেয়ে বেশি।’ [ইবন মাজা : ১৬২; আহমাদ বিন হাম্বল, ফাযাইলুস ছাহাবা : ১৫]





রাসুল (সা) তাদেরকে গালমন্দ করতে কঠোর ভাবে নিষেধ করেছেন।

আনাস ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«مَنْ سَبَّ أَصْحَابِي فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللهِ وَالْمَلائِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ لاَ يَقْبَلُ اللَّهُ مِنْهُ صَرْفًا وَلا عَدْلا».

‘যে ব্যক্তি আমার ছাহাবীকে গাল দেবে তার ওপর আল্লাহ, ফেরেশতা সকল মানুষের অভিশাপ। আল্লাহ তার নফল বা ফরয কিছুই কবুল করবেন না।’ [তাবারানী : ২১০৮]



রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন,



« لاَ تَسُبُّوا أَصْحَابِى فَوَالَّذِى نَفْسِى بِيَدِهِ لَوْ أَنَّ أَحَدَكُمْ أَنْفَقَ مِثْلَ أُحُدٍ ذَهَبًا مَا أَدْرَكَ مُدَّ أَحَدِهِمْ وَلاَ نَصِيفَهُ ».

‘তোমরা আমার ছাহাবীদের গালমন্দ করো না। সেই সত্তার কসম, যার হাতে আমার প্রাণ। যদি তোমাদের কেউ উহুদ পরিমাণ স্বর্ণও আল্লাহর পথে ব্যয় করে, তবে তা তাদের এক মুদ বা তার অর্ধেকরও সমকক্ষ হতে পারবে না।’ [বুখারী : ৩৬৭৩; মুসলিম : ৬৬৫১]

প্রকাশ থাকে যে, হাদীসে উল্লেখিত এক মুদ সমান তিনপোয়া।

সামগ্রিক বিচারে সাহাবরা সকলে অন্য সকল উম্মত অপেক্ষা উত্তম। তবে সাহাবারা নিজেরা কিন্তু সকলে একই স্তরের নন। বরং কেউ কেউ মর্যাদায় অন্যদের চেয়ে উত্তম। তাদের নিজেদের মদ্যে মধ্যে মর্যাদার দিক তেকে বিভিন্ন শ্রেণী-বিন্যাস ও স্তর রয়েছে। নিম্নে তাদের ক্রমধারা প্রদত্ত হলো :

সাহাবাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হচ্ছেন চার খলিফা। অর্থাত আবূ বকর (রা) অতপর উমার (রা) এরপর উসমান (রা) এবং তারপর আলী (রা)।

এদের পরবর্তী স্তরে আছেন অবশিষ্ট আশারায়ে মুবাশশারাগণ। যারা জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত দশ সাহাবী বলে পরিচিত। তাদের সম্পূর্ণ তালিকা হলো :

    আবূ বাকর সিদ্দীক (রা)
    উমার বিন খাত্তাব (রা)
    উসমান বিন আফফান (রা)
    আলী বিন আবী তালীব (রা)
    আবূ উবাইদাহ বিন জাররাহ (রা)
    সা’দ বিন আবী ওয়াক্কাস (রা)
    আবদুর রহমান বিন আওফ (রা)
    যুবাইর বিন আওম (রা)
    তালহা বিন উবায়দুল্লাহ (রা)
    সাঈদ বিন যায়দ (রা)।

এমনিভাবে মুহাজির সাহাবীবৃন্দ আনসারদের চেয়ে উত্তম। বদর যুদ্ধে ও বাইআতে রিদওয়ানে অংশগ্রহণকারীরা অন্যদের চেয়ে উত্তম। অনুরুপভাবে মক্কা বিজয়ের পূর্বে ইসলাম গ্রহণ ও যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য সাহাবরে চেয়ে শ্রেষ্ঠ।

যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন :



وَمَا لَكُمْ أَلَّا تُنْفِقُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلِلَّهِ مِيرَاثُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ لَا يَسْتَوِي مِنْكُمْ مَنْ أَنْفَقَ مِنْ قَبْلِ الْفَتْحِ وَقَاتَلَ أُولَئِكَ أَعْظَمُ دَرَجَةً مِنَ الَّذِينَ أَنْفَقُوا مِنْ بَعْدُ وَقَاتَلُوا وَكُلًّا وَعَدَ اللَّهُ الْحُسْنَى وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ . (الحديد:10)



অর্থ:  তোমাদের কি হল ? তোমরা আল্লাহর পথে কেনো ব্যয় করো না ? অথচ আকাশমন্ডলি ও পৃথিবীর মালিকানা তো আল্লাহরই। তোমাদের মধ্যে যার মক্কা বিয়ের পূর্বে ব্যয় করেছে ও জিহাদ করেছে, তারা এবং পরবর্তীরা সমান নয়। এরা মর্যাদায় তাদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ, যারা পরে ব্যয় করেছে ও জিহাদ করেছে। তবে আল্লাহ উভয়ের কল্যাণেল প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তোমরা যা কর আল্লাহ সে সম্পর্কে সম্যক জ্ঞাত। (সুরা আল-হাদীদ, আয়াত নং-১০)।

সাহাবাদের সম্পর্কে আহলে সুন্নাত ওয়ালা জামায়াতের আক্বীদা হচ্ছে : তাদের ব্যাপারে উম্মতের অন্তর এবং জিহবা (বাকশক্তি) সম্পূর্ণ পরিষ্কার ও নিরাপদ থাকবে। আল্লাহ তাআলা এ প্রসঙ্গে তাদের মানষিকতা সম্পর্কে বলেন :



وَالَّذِينَ جَاءُوا مِنْ بَعْدِهِمْ يَقُولُونَ رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَلِإِخْوَانِنَا الَّذِينَ سَبَقُونَا بِالْإِيمَانِ وَلَا تَجْعَلْ فِي قُلُوبِنَا غِلًّا لِلَّذِينَ آَمَنُوا رَبَّنَا إِنَّكَ رَءُوفٌ رَحِيمٌ . (حشر:10)



অনুবাদ : ‘এবং যারা তাদের পরে এসেছে, তারা বলে: হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদেরকে এবং ঈমানে অগ্রণী আমাদের ভ্রাতাবৃন্দকে ক্ষমা কর। এবং ঈমানদারদের বিরুদ্ধে আমাদের অন্তরে কোন বিদ্বেষ রেখো না। হে প্রতিপালক! আপনি দয়ালু, পরম করুণাময়। (সূরা আল-হাশর, আয়াত নং-১০)।

রাসূল (সা) এর এই দশজন সাহাবীগণ সম্পর্কে হাদীসে সহীহ ও দুর্বল উভয় প্রকার সনদে অনেক হাদীস এসেছে। তাদের মর্যাদা সম্পর্কে রাসূল (সা) বলেন,

আবু বাকর জান্নাতী, উমার জান্নাতী, উসমান জান্নাতী, আলী জান্নাতী,তালহা জান্নাতী, যুবাইর জান্নাতী, আব্দুর রহমান জান্নাতী,সাদ বিন আবী ওয়াক্কাস জান্নাতী, সাঈদ ইবনে যায়েদ জান্নতী এবং আবূ উবায়দা ইবনুল জাররাহ (রা)। (তিরমিযী, মিশকাত হা/৫৭৩৫)।



উমার (রা) বলেন,

কেউই ঐ ব্যক্তিদের ছাড়া খিলাফাতের হকদার নয়, যাদের প্রতি রাসূল (সা) তার মৃত্যুকাল পর্যন্ত সন্তুষ্ট ছিলেন। অত:পর ‘উমার (রা) তাদের নাম উচ্চারণ করতে লাগলেন, ‘উসমান,’আলী, তালহা, যুবাইর, সা’দ এবং আবদুর রহমান সবাই জান্নাতী। ( বুখারী, মিশকাত সোলেমানীয়া প্রকাশনী হা/৫৭২৬)।

মোল্লা আলী কারী তার প্রসিদ্ধ ভাষ্যগ্রন্থ মিরকাতে এই হাদীসে  আবূ উবাইদাহ (রাযি) ও সাঈদ বিন যায়দের নাম উল্লেখ না করার কারণ সম্পর্কে বলেন যে, আবূ উবাইদাহ (রা) পূর্বেই ইন্তিকাল করেছিলেন। সাঈদ বিন যায়দ সম্পর্কে বলেন যে, তিনি তার ভগ্নিপতি হওয়ার কারণে তার নাম উল্লেখ করেন নি।

আনাস (রা) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, আমার উম্মতের মধ্যে সবচেয়ে বড় রহমওয়ালা আবূ বাকর (রা), আল্লাহর হুকুম পালনে উমার (রা) অদ্বিতীয়, সবচেয়ে লজ্জাশীল উসমান, ফর বিষয়ে সবচেয়ে অভিজ্ঞ যায়দ বিন সাবিত, সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ কারী উবাই বিন কা’ব, হালাল হারাম বিষয়ে সবচেয়ে অভিজ্ঞ মু’য়ায বিন জাবাল, প্রত্যেক উম্মাতের জন্য একজন করে আমানতদার থাকে, আমার উম্মাতের আমানতদার আবূ উবায়দাহ (রা)। মা’মার কাতাদাহ হতে বর্ণনা করেন, সবচেয়ে বড় বিচারক ‘আলী (রা)। ( আহমাদ,তিরমিযী, মিশকাত হা/৫৭৩৬)।

আব্দুল্লাহ বিন উমার (রা) বলেন, আমাদের তিনজন কুরাইশীর চেহারা অতি উজ্জল, তাদের চরিত্রও খুব ভাল, হক প্রতিষ্ঠায় তাদের অন্তর অত্যন্ত মজবুত। তোমার সঙ্গে কথা বলার সময় তারা মিথ্যা বলে না এবং তারাও তোমাকে মিথ্যুক মনে করে না। তারা হলেন আবূ বাকর সিদ্দীক (রা), আবূ উবায়দাহ (রা) এবং ‘উসমান (রা)।

যুবাইন বিন বাক্কার (রহ) বলেন, আমি কিছু সংখ্যক জ্ঞানী লোকের নিকট শুনেছি সাহাবাগণের মধ্যে বড় বক্তা আবূ বকর ও আলী (রা)।

সা’দ বিন আবী ওয়াক্কাস ছিলেন আল্লাহর পথে প্রথম তীর নিক্ষেপকারী। তিনি বলেন, আমিই আরবদের মধ্যে প্রথম ব্যক্তি যে আল্লাহর পথে তীর নিক্ষেপ করেছি। (মুত্তাফাকুন আলাইহি, মিশকাত হা/৫৭৩০)।

তালহা বিন উবায়দুল্লাহ (রা) সম্পর্কে হাদীস:

যুবাইর (রা) বলেন, উহুদ যুদ্ধের দিন রাসূলে কারীম (রা)-এর গায়ে লৌহ বর্ম ছিল। শত্রু সৈন্যদের অবস্থা দেখার জন্য তিনি একখানা পাথরের ওপর ওঠতে চাইলেন, কিন্তু বর্মের ভারি ওজনের দরুন উঠতে পারছিলেন না। তখন তালহা (রা) রাসূলুল্লাহ (সা)-এর নীচে বসে গেলেন। এমনকি রাসূল (সা) তাঁর উপরে ভর করে পাথরটির ওপর ওঠলেন ।বর্ণনাকারী বলেন, তখন আমি রাসূল (সা)-কে বলতে শুনেছি, তালহা নিজের জন্যে জান্নাত ওয়াজিব করে নিয়েছে। (তিরমিযী, মিশকাত হা/৫৭৩৭)। অন্য হাদীসে তালহাকে জীবন্ত শহীদ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।  (তিরমিযী, মিশকাত হা/৫৭৩৮)

সা’দ বিন আবু ওয়াক্কাস ছিলেন রাসুল (সা)-এর দূর সম্পর্কের মামা। জাবির (রা) বলেন, একদা সা’দ রাসূল (সা)-এর সামনে উপস্থিত হলেন। তখন রাসুল (সা) তার প্রতি ইঙ্গিত করে বললেন, ইনি হলেন, আমার মামা, অতএব কারও যদি এমন মামা থেকে থাকেন, তবে সে আমাকে দেখাক। (তিরমিযী,মিশকাত হা/৫৭৪৩)। ইমাম তিরমিযী বলেছেন, সা’দ ছিলেন যোহরা খান্দানের লোক আর রাসুল (সা)-এর মাতাও ছিলেন বনী যোহরার কন্যা। এ হিসেবে তিনি সাদকে বলেছেন, ইনি আমার মামা।

উম্মে সালামা (রা) বলেন, আমি রাসুল (সা)-কে তাঁর স্ত্রীদেরকে বলতে শুনেছি, আমার ইন্তেকালের পর যে ব্যক্তি তোমাদেরকে অঞ্জলি ভরে দান করবে, সে ঈমানদার এবং নেককার। হে আল্লাহ! তুমি আব্দুর রহমান বিন আওফকে জান্নাতের সালাসাবিল থেকে পান করাও । (মুসনাদে আহমাদ, মিশকাত হা/৫৭৪৭)।

জাবির (রা) বলেন, রাসুল (সা) আহযাবের যুদ্ধের সময় বললেন,  এমন কে আছে যে শত্রুদলের তথ্য এনে আমাকে দিতে পারে ? তখন হযরত যুবাইর (রা) বললেন, আমি। অত:পর রাসূল (সা) বললেন, প্রত্যেক নবীর হাওয়ারি থাকে। নিশ্চয়ই যুবাইর আমার হাওয়ারী। ( মুত্তাফাকুন আলাইহি, হা/৫৭২৭)।

ইমাম সুয়ুতী হতে বর্ণিত,


আয়িশা সিদ্দীকাকে একজন জিজ্ঞেস করলেন রাসূল (সা) প্রতিনিধি নিয়োগ করলে কাকে করতেন ? মু’মিন জননী বললেন, আবূ বাকরকে, তারপর জিজ্ঞেস করলেন আবূ বাকরের পর কাকে ? বললেন ‘উমারকে; পুনরায় জিজ্ঞেস করা হলো তারপর কাকে প্রতিনিধি নির্বাচন করতেন ? বললেন, আবূ উবায়দাহ বিন জাররাহ (রা)। ( মুসলিম, মিশকাত হা/৫৭৩২)।

সাঈদ বিন মুসাইয়্যিব বলেন, আবূ বকর, উমার, আলী, তালহা, যুবাইর, সা’দ বিন আবূ ওয়াক্কাস, আব্দুর রহমান বিন আওফ এবং সাঈদ বিন যায়েদ লড়াইয়ের ময়দানে রাসূল (সা)-এর সামনে প্রথম সারিতে থাকতেন এব্ং সালাতের মধ্যে রাসূলের পিছনেই থাকতেন।

(উৎসঃ আশারায়ে মুবাশশারাহ, মূল:কাযী আবুল ফযল হাবীবুর রহমান, অনুবাদ : শাইখ ফাইযুর রহমান,তাওহীদ পাবলিকেশন্স,ঢাকা)

আল্লাহ আমাদেরকে তাঁদের অনুসৃত পথ অনুসরণ করার তাওফিক দিন।

রাসূল (সা)-এ এসব সাহাবীগণের সংক্ষিপ্ত জীবন শীঘ্রই ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হবে ইনশাআল্লাহ।


‘আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক’

0
এখনি ডাউনলোড করে নিন মাইক্রোশফট অফিসের (Microsoft Office) এর বিকল্প সফটওয়্যার- কিংসফট অফিস স্যুইট 2014 (মাত্র ৬২ এম বি) এখনি ডাউনলোড করে নিন মাইক্রোশফট অফিসের (Microsoft Office) এর বিকল্প সফটওয়্যার- কিংসফট অফিস স্যুইট 2014 (মাত্র ৬২ এম বি)

আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন বন্ধুরা সবাই। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালই আছেন। কিংসফট অফিস স্যুইট একটি মুক্ত অফিস স্যুইট, যাতে ওয়ার্ড প্রস...

0
ডাউনলোড করে নিন লেটেস্ট CCleaner 5.01.5075 Professional version ডাউনলোড করে নিন লেটেস্ট CCleaner 5.01.5075 Professional version

আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন বন্ধুরা সবাই।আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালই আছেন। পিসি অপটিমাইজ ও ক্লিন রাখার জন্য বেস্ট সফটওয়্যার হল প্রিফর্ম ...

0
এবার খুশকি বিদায় করুন চিরতরে এবার খুশকি বিদায় করুন চিরতরে

সারাক্ষণ মাথার তালুতে অস্বস্তিকর একটা অনুভূতি ছাড়াও পোষাকের কাঁধের কাছে সাদা সাদা গুঁড়ো গুঁড়ো খুশকি পরে থাকা আপনার ব্যক্তিত্বকেও অনেকটাই ...

0
টমেটো দিয়ে রূপচর্চার উপকারিতা টমেটো দিয়ে রূপচর্চার উপকারিতা

১। ত্বক পরিষ্কার করতে বেসন বা উপটানের সঙ্গে টমেটোর রস মিশিয়ে মুখে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ভেতর থেকে আপনার ত্বক পরিষ্কার হবে। ২। ত্বকের প...

0
 গ্রামীনফোন নিয়ে এলো ১০০ টাকা পর্যন্ত ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স গ্রামীনফোন নিয়ে এলো ১০০ টাকা পর্যন্ত ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স

আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন বন্ধুরা সবাই।আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালই আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালই আছি। গ্রামীনফোন নিয়ে ...

0
গ্রামীণফোন নিয়ে এলো Clear Cut সাপ্তাহিক অফার গ্রামীণফোন নিয়ে এলো Clear Cut সাপ্তাহিক অফার

 আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন বন্ধুরা সবাই।আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালই আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালই আছি। গ্রামীণফোন নিয়ে ...

0
এক নজরে দেখে নিন বাংলালিঙ্ক এর সকল 3 জি ইন্টারনেট প্যাকেজ সমূহের মূল্য তালিকা ও অ্যাক্টিভ করার পদ্ধতি: এক নজরে দেখে নিন বাংলালিঙ্ক এর সকল 3 জি ইন্টারনেট প্যাকেজ সমূহের মূল্য তালিকা ও অ্যাক্টিভ করার পদ্ধতি:

 আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন বন্ধুরা সবাই।আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালই আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালই আছি। এক নজরে দেখে নিন...

0
এক নজরে দেখে নিন গ্রামীনফোনের সকল 2 জি ইন্টারনেট প্যাকেজ সমূহের মূল্য তালিকা ও অ্যাক্টিভ করার পদ্ধতি: এক নজরে দেখে নিন গ্রামীনফোনের সকল 2 জি ইন্টারনেট প্যাকেজ সমূহের মূল্য তালিকা ও অ্যাক্টিভ করার পদ্ধতি:

আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন বন্ধুরা সবাই।আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালই আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালই আছি। এক নজরে দেখে নিন ...

0
এক নজরে দেখে নিন গ্রামীনফোনের সকল থ্রিজি ১ (এমবিপিএস) ইন্টারনেট প্যাকেজ এক নজরে দেখে নিন গ্রামীনফোনের সকল থ্রিজি ১ (এমবিপিএস) ইন্টারনেট প্যাকেজ

আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন বন্ধুরা সবাই।আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালই আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালই আছি। এক নজরে দেখে নিন ...

0
এক নজরে দেখে নিন গ্রামীনফোনের সকল ৫১২ (কেবিপিএস) থ্রিজি ইন্টারনেট প্যাকেজ সমূহের মূল্য তালিকা ও অ্যাক্টিভ করার পদ্ধতি এক নজরে দেখে নিন গ্রামীনফোনের সকল ৫১২ (কেবিপিএস) থ্রিজি ইন্টারনেট প্যাকেজ সমূহের মূল্য তালিকা ও অ্যাক্টিভ করার পদ্ধতি

আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন বন্ধুরা সবাই।আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালই আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালই আছি। এক নজরে দেখে নিন ...

0
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল জেনে  নিন সবার আগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল জেনে নিন সবার আগে

আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন বন্ধুরা সবাই।আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালই আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালই আছি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যা...

0
মুসলিম নারীর দায়িত্ব মুসলিম নারীর দায়িত্ব

মানুষকে আল্লাহ তাআলা সৃষ্টি করেছেন তাঁর প্রতিনিধি বা খলিফা হিসাবে । এ সৃষ্টির উদ্দেশ্যই হলো আল্লাহ তাআলার বন্দেগী করা ।পবিত্র কোরআন মজিদের ...

0
জুম’আর দিনের ফযীলত জুম’আর দিনের ফযীলত

  উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য জুম’আর দিনের ফযীলত সমূহ ১) সূর্য উদিত হয় এমন দিনগুলোর মধ্যে জুম’আর দিন হল সর্বোত্তম দিন। এ দিনে যা কিছু ঘটেছিল তা...

0
হারাম উপায়ে আয়, ব্যয় এবং যাবতীয় সকল কিছু আল্লাহ পছন্দ করেন না হারাম উপায়ে আয়, ব্যয় এবং যাবতীয় সকল কিছু আল্লাহ পছন্দ করেন না

“ হারাম পথে সম্পদ উপারজন করে, বান্দা যদি তা দান করে দেয়। আল্লাহ সে দান গ্রহণ করন না। প্রয়োজন পূরনে সে সম্পদ ব্যয় করলে, তাতে কোন বরকত হয় ...

0
হাদীসের নির্বাচিত ৩৫টি দোয়াসমূহ হাদীসের নির্বাচিত ৩৫টি দোয়াসমূহ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। কেমন আছেন সবাই। (১) হে আল্লাহ, দৃষ্টির অন্তরালবর্তী ও দৃষ্টিগ্রাহ্য সকল বিষয়ে যেন তোমাকে ভয় করতে পারি হে আল...

0
গীবত ও গীবতকারীর পরিণতি গীবত ও গীবতকারীর পরিণতি

                      বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। ইসলাম ঐক্যবদ্ধ থাকার গুরুত্বারোপ করেছে। ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ব বিনষ্টকারী সমুদয় কর্ম হতে বিরত থ...

0
হিজাব যাদের হৃদয় জয় করেছে! হিজাব যাদের হৃদয় জয় করেছে!

বর্তমান নাম সুরাইয়া।বরেণ্য মালয়লাম লেখক।তার সুবিখ্যাত আত্মজীবনীমূলক বই “My Sotry” এক অসাধারন উপন্যাস।বইটি সম্পর্কে একজন সমালোচকের মন্তব্...

0
অমুসলিমদের প্রতি মুসলিমদের আচরণ কেমন হওয়া উচিত অমুসলিমদের প্রতি মুসলিমদের আচরণ কেমন হওয়া উচিত

প্রশ্ন : একজন অমুসলিম কোনো মুসলিম দেশে প্রবাসী যিম্মি (মুসলিম শাসনে বসবাসকারী অমুসলিম) হিসেবে বসবাস করতে পারে। আবার একজন মুসলিম কোনো অমুসল...

0
আবু বকর সিদ্দীক (রা) এর একটি ঘটনা  আবু বকর সিদ্দীক (রা) এর একটি ঘটনা

আবু বকর সিদ্দীক (রা) এর এই ঘটনাটি মোটামুটি আমরা সবাই জানি, কিন্তু ঘটনাটির মাঝে একটি গুরত্বপূর্ণ শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে যা আমাদের অনেকেরই নজর ...

0
মুসলমানদের ১৫ টি প্রশংসনীয় চারিত্রিক গুণাবলী মুসলমানদের ১৫ টি প্রশংসনীয় চারিত্রিক গুণাবলী

ইসলামী শরীয়ত হচ্ছে একটি পরিপূর্ণ জীবন পদ্ধতি যা সকল দিক থেকে সার্বিকভাবে মুসলমানের ব্যক্তিগত জীবনকে গঠন করার ব্যাপারে অ ত্যন্ত গুরুত্বারোপ ...

0
আশারায়ে মুবাশশারাহ- জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত ১০ জন সাহাবী আশারায়ে মুবাশশারাহ- জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত ১০ জন সাহাবী

রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে- মুসলিমরা তাদের ধর্ম, ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা ও বড়বড় মুসলিম নেতাদের পূর্ব ঐতিহ্যের ইতিহাস ভুলে যাওয়ার কারণে আজ ...

 
biz.