Sunday, January 18, 2015

এবার খুশকি বিদায় করুন চিরতরে


সারাক্ষণ মাথার তালুতে অস্বস্তিকর একটা অনুভূতি ছাড়াও পোষাকের কাঁধের কাছে সাদা সাদা গুঁড়ো গুঁড়ো খুশকি পরে থাকা আপনার ব্যক্তিত্বকেও অনেকটাই ম্লান করে দেয়। প্রিয়জনের সামনে এই খুশকির ক্রাণে আপনি পড়ে যেতে পারেন বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতিতেও। অথচ খুশকি রোধ করা কিন্তু খুব কঠিন কিছু নয়। প্রয়োজন কিছু ভালো অভ্যাসের। যা আপনি গড়ে তুলতে পারেন সহজেই!

আপনারই জন্যে রইলো কিছু টিপসঃ

১) চুল ঢেকে রাখুনঃ

রাস্তার ধুলো বালি খুব সহজেই আপনার চুলের সংস্পর্শে আসে ও মাথার তালুতে
বসে গিয়ে জন্ম দেয় খুশকির। ধুলো বালিপুর্ণ রাস্তায় যখন বের হচ্ছেন তখন ওড়না বা স্কার্ফ দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন। ছেলেরা ক্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। খুশকি কম হবে।

২) বালিশের কভার বদলে নিনঃ

চেষ্টা করুন প্রতিদিন একই বালিশের কভার ব্যবহার না করতে। সাধারণ পানিতে ধুয়ে রোদে শুকোতে দিন। তাহলে বালিশে লেগে থাকা মাথা থেকে ঝরে পড়া খুশকির কারনে চুল বা ত্বক ক্ষতিগ্রস্থ হবে না।

৩) চুলে তেল দিয়ে রাখবেন নাঃ

চুলে তেল দিয়ে চেষ্টা করুন ২ ঘন্টা বা এক রাতের বেশি না রাখার। চুলে তেল দিয়ে কয়েক দিন থাকা বা সেই অবস্থায় বাইরে গেলে বাতাসের ধুলাবালি সহজেই চুলে আটকে যায়। এ থেকে দ্রুত খুশকি হতে পারে।

৪) চিরুনী আলাদা রাখুনঃ

আপনার খুশকি তাড়ানো ও প্রতিরোধের জন্যে সবার আগে চিরুনীর দিকে খেয়াল রাখুন। প্রতিদিন একটু শ্যাম্পু দিয়ে ব্রাশের সাহায্যে ঘষে ধুয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন আপনার চিরুনী যাতে অন্য কেউ ব্যবহার না করে।

৫) নিয়মিত শ্যাম্পু করুনঃ

নিয়মিত ভালো কোম্পানীর শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। মাথার তালুতে ময়লা জমতে দেবেন না। কয়েক মাস পর পর শ্যাম্পুর ব্র্যান্ড বদলে নিন।

৬) শ্যাম্পু বদলে নিনঃ

চুলে খুশকি দেখামাত্রই আপনার শ্যাম্পু বদলে নিন। কিছুদিন এন্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। কন্ডিশনার ব্যবহার করতে ভুলবেন না। নয়তো এন্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পুতে থাকা অতিরিক্ত ক্ষার, সিলিকন, সালফেট আপনার চুলকে আরো রুক্ষ করে দেবে।

৭) হট টাওয়েল ট্রিটমেন্টঃ

খুব সহজ এই পদ্ধতিতে না লাগে খুব বেশি বা মূল্যবান উপাদান আর খুব বেশি সময়ও লাগে না। এতে খুব দ্রুত আপনি রেহাই পাবেন খুশকির যন্ত্রনা থেকে। মাথার তালুতে ভালো ভাবে তেল ম্যাসাজ করুন। যাতে প্রতিটি চুলের গোড়ায় তেল লাগে। এবার পানি গরম করুন। একটি তোয়ালে পানিতে ডুবিয়ে পানি হাল্কা ভাবে চিপে ঝরিয়ে নিন। এবার ভালোভাবে মাথায় পেঁচিয়ে নিন। ১৫ মিনিট রাখুন। এতে মাথার খুশকী নরম হয়ে যাবে ও তালু থেকে উঠে আসবে। এবার ভালো কোন এন্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে একদিন করুন। দেখবেন খুশকী গায়েব! আর চুলও হয়ে উঠেছে রেশমী কোমল।


৮) রোদে বের হবার আগেঃ

রোদে বেরুবার আগে ছাতা বা স্কার্ফ ব্যবহার করুন। সূর্যের রশ্মি আপনার চুল ও মাথার তালুকে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ করে ও খুশকি বাড়িয়ে দেয়।

৯) খাবারঃ

ফাস্টফুড, কোল্ড ড্রিঙ্কস যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। তার বদলে প্রচুর পানি, প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ও ফলমূল খান। খুশকি প্রতিরোধের পাশাপাশি আপনার চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

Unknown

Author & Editor

Has laoreet percipitur ad. Vide interesset in mei, no his legimus verterem. Et nostrum imperdiet appellantur usu, mnesarchum referrentur id vim.

0 comments:

Post a Comment

0

সারাক্ষণ মাথার তালুতে অস্বস্তিকর একটা অনুভূতি ছাড়াও পোষাকের কাঁধের কাছে সাদা সাদা গুঁড়ো গুঁড়ো খুশকি পরে থাকা আপনার ব্যক্তিত্বকেও অনেকটাই ম্লান করে দেয়। প্রিয়জনের সামনে এই খুশকির ক্রাণে আপনি পড়ে যেতে পারেন বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতিতেও। অথচ খুশকি রোধ করা কিন্তু খুব কঠিন কিছু নয়। প্রয়োজন কিছু ভালো অভ্যাসের। যা আপনি গড়ে তুলতে পারেন সহজেই!

আপনারই জন্যে রইলো কিছু টিপসঃ

১) চুল ঢেকে রাখুনঃ

রাস্তার ধুলো বালি খুব সহজেই আপনার চুলের সংস্পর্শে আসে ও মাথার তালুতে
বসে গিয়ে জন্ম দেয় খুশকির। ধুলো বালিপুর্ণ রাস্তায় যখন বের হচ্ছেন তখন ওড়না বা স্কার্ফ দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন। ছেলেরা ক্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। খুশকি কম হবে।

২) বালিশের কভার বদলে নিনঃ

চেষ্টা করুন প্রতিদিন একই বালিশের কভার ব্যবহার না করতে। সাধারণ পানিতে ধুয়ে রোদে শুকোতে দিন। তাহলে বালিশে লেগে থাকা মাথা থেকে ঝরে পড়া খুশকির কারনে চুল বা ত্বক ক্ষতিগ্রস্থ হবে না।

৩) চুলে তেল দিয়ে রাখবেন নাঃ

চুলে তেল দিয়ে চেষ্টা করুন ২ ঘন্টা বা এক রাতের বেশি না রাখার। চুলে তেল দিয়ে কয়েক দিন থাকা বা সেই অবস্থায় বাইরে গেলে বাতাসের ধুলাবালি সহজেই চুলে আটকে যায়। এ থেকে দ্রুত খুশকি হতে পারে।

৪) চিরুনী আলাদা রাখুনঃ

আপনার খুশকি তাড়ানো ও প্রতিরোধের জন্যে সবার আগে চিরুনীর দিকে খেয়াল রাখুন। প্রতিদিন একটু শ্যাম্পু দিয়ে ব্রাশের সাহায্যে ঘষে ধুয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন আপনার চিরুনী যাতে অন্য কেউ ব্যবহার না করে।

৫) নিয়মিত শ্যাম্পু করুনঃ

নিয়মিত ভালো কোম্পানীর শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। মাথার তালুতে ময়লা জমতে দেবেন না। কয়েক মাস পর পর শ্যাম্পুর ব্র্যান্ড বদলে নিন।

৬) শ্যাম্পু বদলে নিনঃ

চুলে খুশকি দেখামাত্রই আপনার শ্যাম্পু বদলে নিন। কিছুদিন এন্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। কন্ডিশনার ব্যবহার করতে ভুলবেন না। নয়তো এন্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পুতে থাকা অতিরিক্ত ক্ষার, সিলিকন, সালফেট আপনার চুলকে আরো রুক্ষ করে দেবে।

৭) হট টাওয়েল ট্রিটমেন্টঃ

খুব সহজ এই পদ্ধতিতে না লাগে খুব বেশি বা মূল্যবান উপাদান আর খুব বেশি সময়ও লাগে না। এতে খুব দ্রুত আপনি রেহাই পাবেন খুশকির যন্ত্রনা থেকে। মাথার তালুতে ভালো ভাবে তেল ম্যাসাজ করুন। যাতে প্রতিটি চুলের গোড়ায় তেল লাগে। এবার পানি গরম করুন। একটি তোয়ালে পানিতে ডুবিয়ে পানি হাল্কা ভাবে চিপে ঝরিয়ে নিন। এবার ভালোভাবে মাথায় পেঁচিয়ে নিন। ১৫ মিনিট রাখুন। এতে মাথার খুশকী নরম হয়ে যাবে ও তালু থেকে উঠে আসবে। এবার ভালো কোন এন্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে একদিন করুন। দেখবেন খুশকী গায়েব! আর চুলও হয়ে উঠেছে রেশমী কোমল।


৮) রোদে বের হবার আগেঃ

রোদে বেরুবার আগে ছাতা বা স্কার্ফ ব্যবহার করুন। সূর্যের রশ্মি আপনার চুল ও মাথার তালুকে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ করে ও খুশকি বাড়িয়ে দেয়।

৯) খাবারঃ

ফাস্টফুড, কোল্ড ড্রিঙ্কস যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। তার বদলে প্রচুর পানি, প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ও ফলমূল খান। খুশকি প্রতিরোধের পাশাপাশি আপনার চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

Post a Comment

Dear readers, after reading the Content please ask for advice and to provide constructive feedback Please Write Relevant Comment with Polite Language.Your comments inspired me to continue blogging. Your opinion much more valuable to me. Thank you.

 
biz.