Sunday, December 14, 2014

সন্তান গ্রহণের আগে যে বিষয় গুলো বিবেচনা করতে হবে


আসসালামু আলাইকুম।কেমন আছেন বন্ধুরা সবাই।আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালই আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালই আছি।সন্তান গ্রহণ কোনো সহজ বিষয় নয়। এজন্য পিতামাতার আগে থেকেই শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রাখা উচিত।সন্তান যেন পৃথিবীতে এসে বিপদের মুখোমুখি না হয়, সেজন্য আর্থিক বিষয়সহ নানা বিষয় নিশ্চিত হয়ে তবেই সন্তান নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

১। মনে রাখতে হবে সন্তান গ্রহণ ব্যয়বহুল
একজন সন্তান গ্রহণ মানেও বহু বাড়তি খরচের বোঝা। আর তাই সন্তান গ্রহণের আগে এ বাড়তি খরচের বিষয়টি সবারই মাথায় রাখা উচিত। সন্তান জন্ম দেওয়ার আগে থেকেই শুরু হবে এ খরচের পালা। তারপর সন্তানের বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হওয়া পর্যন্ত এ খরচ দিতে আপনি বাধ্য।

২। সন্তানের প্রথম বছরের বাজেট
সন্তান গ্রহণের আগেই প্রথম বছরের বাজেট সম্পর্কে ধারণা করে নেওয়া উচিত। আপনি যদি প্রথমবার সন্তান নিতে চান তাহলে অভিজ্ঞদের কাছ থেকে খরচের বিস্তারিত জেনে নিন। সন্তান নেওয়ার আগেই আপনার বার্ষিক আয় সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নিন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিন। যদি আপনার আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি হয় তাহলে ব্যয় কমানোর কিংবা আয় বাড়ানোর ব্যবস্থা করুন।

৩। দেখাশোনার ব্যবস্থা
সন্তান জন্মের প্রথম কয়েক বছর ২৪ ঘণ্টা নজরদারি করতে হয়। এ কারণে সন্তানের দেখাশোনার ব্যবস্থা আগেই ভেবে রাখতে হবে। পিতা কিংবা মাতার মধ্যে একজনকে সন্তানের সঙ্গে সব সময় বাসায় থাকা উচিত। সেটা সম্ভব না হলে পরিবারের কোনো জ্যেষ্ঠ ব্যক্তি বা টাকা খরচ করে কোনো বেবিসিটার নেওয়া যেতে পারে। আপনি যদি কর্মজীবী হন এবং সন্তান নিতে চান তাহলে আপনার প্রতিষ্ঠান থেকে কতোদিন ছুটি পাওয়া যাবে, সে সময় বেতন-ভাতা কেমন হবে, এসব বিষয় আগেই নিশ্চিত হয়ে নিন।

৪। জরুরি তহবিল গড়ুন
আপনার সন্তান থাকলে আগের তুলনায় দায়িত্ব অনেক বাড়বে। আর যে কোনো জরুরি পরিস্থিতি সামলানোর জন্য একটা তহবিল তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসাজনিত কোনো জরুরি পরিস্থিতি বা শিক্ষা সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানের জন্য এ তহবিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ জরুরি তহবিলের আকার হতে পারে আপনার ছয় মাসের আয়ের সমান।

৫। লাইফ ইন্স্যুরেন্স করুন
আপনার অবর্তমানে সন্তানের দেখাশোনা বা তার আর্থিক খরচ মেটানোর বিষয় নিয়ে ভেবেছেন কি? এজন্য সহজ একটি উপায় হলো লাইফ ইন্স্যুরেন্স করে রাখা। আপনার জীবনের বা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কোনো ক্ষতি হলে ইন্সুরেন্স কোম্পানি আর্থিকভাবে সাহায্য করবে।

৬। সন্তানের শিক্ষা
আপনার সন্তান অশিক্ষিত হোক, তা নিশ্চয়ই চান না। শিক্ষা ক্রমে ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে। আর তাই দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে সন্তানের শিক্ষার জন্য কোনো একটা ব্যবস্থা অবশ্যই করে রাখা উচিত। এজন্য সামান্য করে টাকা জমানো শুরু করতে পারেন সন্তান জন্মের সময় থেকেই।
ধন্যবাদ।

Unknown

Author & Editor

Has laoreet percipitur ad. Vide interesset in mei, no his legimus verterem. Et nostrum imperdiet appellantur usu, mnesarchum referrentur id vim.

0 comments:

Post a Comment

0

আসসালামু আলাইকুম।কেমন আছেন বন্ধুরা সবাই।আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালই আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালই আছি।সন্তান গ্রহণ কোনো সহজ বিষয় নয়। এজন্য পিতামাতার আগে থেকেই শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রাখা উচিত।সন্তান যেন পৃথিবীতে এসে বিপদের মুখোমুখি না হয়, সেজন্য আর্থিক বিষয়সহ নানা বিষয় নিশ্চিত হয়ে তবেই সন্তান নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

১। মনে রাখতে হবে সন্তান গ্রহণ ব্যয়বহুল
একজন সন্তান গ্রহণ মানেও বহু বাড়তি খরচের বোঝা। আর তাই সন্তান গ্রহণের আগে এ বাড়তি খরচের বিষয়টি সবারই মাথায় রাখা উচিত। সন্তান জন্ম দেওয়ার আগে থেকেই শুরু হবে এ খরচের পালা। তারপর সন্তানের বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হওয়া পর্যন্ত এ খরচ দিতে আপনি বাধ্য।

২। সন্তানের প্রথম বছরের বাজেট
সন্তান গ্রহণের আগেই প্রথম বছরের বাজেট সম্পর্কে ধারণা করে নেওয়া উচিত। আপনি যদি প্রথমবার সন্তান নিতে চান তাহলে অভিজ্ঞদের কাছ থেকে খরচের বিস্তারিত জেনে নিন। সন্তান নেওয়ার আগেই আপনার বার্ষিক আয় সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নিন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিন। যদি আপনার আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি হয় তাহলে ব্যয় কমানোর কিংবা আয় বাড়ানোর ব্যবস্থা করুন।

৩। দেখাশোনার ব্যবস্থা
সন্তান জন্মের প্রথম কয়েক বছর ২৪ ঘণ্টা নজরদারি করতে হয়। এ কারণে সন্তানের দেখাশোনার ব্যবস্থা আগেই ভেবে রাখতে হবে। পিতা কিংবা মাতার মধ্যে একজনকে সন্তানের সঙ্গে সব সময় বাসায় থাকা উচিত। সেটা সম্ভব না হলে পরিবারের কোনো জ্যেষ্ঠ ব্যক্তি বা টাকা খরচ করে কোনো বেবিসিটার নেওয়া যেতে পারে। আপনি যদি কর্মজীবী হন এবং সন্তান নিতে চান তাহলে আপনার প্রতিষ্ঠান থেকে কতোদিন ছুটি পাওয়া যাবে, সে সময় বেতন-ভাতা কেমন হবে, এসব বিষয় আগেই নিশ্চিত হয়ে নিন।

৪। জরুরি তহবিল গড়ুন
আপনার সন্তান থাকলে আগের তুলনায় দায়িত্ব অনেক বাড়বে। আর যে কোনো জরুরি পরিস্থিতি সামলানোর জন্য একটা তহবিল তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসাজনিত কোনো জরুরি পরিস্থিতি বা শিক্ষা সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানের জন্য এ তহবিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ জরুরি তহবিলের আকার হতে পারে আপনার ছয় মাসের আয়ের সমান।

৫। লাইফ ইন্স্যুরেন্স করুন
আপনার অবর্তমানে সন্তানের দেখাশোনা বা তার আর্থিক খরচ মেটানোর বিষয় নিয়ে ভেবেছেন কি? এজন্য সহজ একটি উপায় হলো লাইফ ইন্স্যুরেন্স করে রাখা। আপনার জীবনের বা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কোনো ক্ষতি হলে ইন্সুরেন্স কোম্পানি আর্থিকভাবে সাহায্য করবে।

৬। সন্তানের শিক্ষা
আপনার সন্তান অশিক্ষিত হোক, তা নিশ্চয়ই চান না। শিক্ষা ক্রমে ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে। আর তাই দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে সন্তানের শিক্ষার জন্য কোনো একটা ব্যবস্থা অবশ্যই করে রাখা উচিত। এজন্য সামান্য করে টাকা জমানো শুরু করতে পারেন সন্তান জন্মের সময় থেকেই।
ধন্যবাদ।

Post a Comment

Dear readers, after reading the Content please ask for advice and to provide constructive feedback Please Write Relevant Comment with Polite Language.Your comments inspired me to continue blogging. Your opinion much more valuable to me. Thank you.

 
biz.