Thursday, December 18, 2014

প্রশ্রাবের সাথে রক্তক্ষরন দুশ্চিন্তার কারন ও হতে পারে


আসসালামু আলাইকুম ।কেমন আছেন বন্ধুরা সবাই।আশা করি আল্লাহর রহমতে আপনারা সবাই ভালই আছেন।
প্রস্রাবে রক্তের আভাস দেখতে পেলে অনেকেই দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হন, তবে প্রস্রাবে রক্ত - যেটিকে হেমাচুরিয়া (hematuria) - সব সময়ে ভয়াবহ নয়। অধিক পরিশ্রমের ফলে বা কিছু কিছু ওষুধ খেলে (যেমন, অ্যাস্পিরিন) এটি দেখা দিতে পারে। বিশ্রাম করলে বা ওষুধ বন্ধ করলে চিকিৎসা ছাড়াই রক্ত বেরনো বন্ধ হয়। তবে ক্ষেত্র বিশেষে এর মূলে প্রস্রাব প্রণালীর কোনও কঠিন সমস্যা জড়িত থাকে। বৃক্ক (Kidneys), মূত্রনালী (Ureters), মূত্রাশয় (Bladder), বহির্মূত্রনালী (Urethra) এবং পুরুষদের প্রস্টেট গ্রন্থি সবই এই মূত্রপ্রণালীর অন্তর্গত।

প্রস্রাবে রক্তের পরিমান খুব অল্প হলে সেটা সাধারণ চোখে ধরা পড়ে না। পরিমান বেশি হলে প্রস্রাবের রঙ গোলাপী, লাল অথবা চা বা কোলার যে রঙ তা, ধারণ করতে পারে। সাধারণতঃ প্রস্রাবের রঙের পরিবর্তন হতে খুব বেশি রক্ত থাকার প্রয়োজন হয় না। সিকি চামচ রক্ত আধ লিটার প্রস্রাবকে রঙ-যুক্ত করতে পারে।রক্তে খুব অল্প পরিমাণ রক্ত থাকাটা অস্বাভাবিক অবস্থা নয়। একটি সুস্থ মানুষের প্রস্রাবের মধ্যে দিয়ে প্রায় দশ লক্ষ লোহিত রক্ত কণিকা দৈনিক নিসৃত হয়। হঠাৎ প্রচুর পরিমাণে রক্ত প্রস্রাবের মধ্যে দেখা দেওয়ার মূলে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে।মূত্রাশয়ের সংক্রমণ : এটি ঘটে যখন ব্যাক্টেরিয়া মূত্রনালীর মধ্যে দিয়ে মূত্রাশয়ে প্রবেশ করে এবং বংশবৃদ্ধি করে। এর ফলে বারবার প্রস্রাব পায়, প্রস্রাব করার সময়ে জ্বালা বা ব্যথা বোধ হয়। প্রস্রাবে দুর্গন্ধও দেখা দেয়। এই সংক্রমণে সাধারণতঃ প্রস্রাবে রক্ত দেখা দেয় না, কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে।

বৃক্ক বা কিডনির সংক্রমণ : এর উপসর্গও মূত্রাশয়ের সংক্রমণের মতো, তবে সেইসঙ্গে জ্বর এবং কোমরের পেছনে ব্যথা হতে পারে।
মূত্রাশয় বা বৃক্কে পাথর : এই পাথরগুলি সৃষ্টি হলে এমনিতে কোনও ব্যথা হয় না। ব্যথা দেখা দেয় যখন এটি মূত্রপ্রণালীর কোথাও অবরোধ সৃষ্টি করে বা বেরোবার চেষ্টা করে। বৃক্কের পাথর বা কিড্নি স্টোন-এ তীব্র ব্যথা হয় এবং যথেষ্ট রক্তক্ষরণ হতে পারে।

পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রস্টেট বৃদ্ধির ফলে (বিশেষতঃ পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তিদের) মূত্রনালীতে অবরোধ ঘটে এবং রক্তপাতের সম্ভাবনা দেখা দেয়। প্রস্টেট বড় হলে প্রস্রাব করতে অসুবিধা এবং বারংবার প্রস্রাব করার প্রয়োজন বোধ হয়। এছাড়া প্রস্টেটের সংক্রমণের (প্রস্টাইটিস) ফলেও প্রস্রাবে রক্ত দেখা দিতে পারে।

ক্যানসার: প্রস্রাবের রক্ত কিছু কিছু ক্ষেত্রে বৃক্ক, মূত্রাশয় বা প্রস্টেটের ক্যানসারের জন্য দেখা দেয়। এটি সাধারণতঃ ঘটে ক্যানসার যখন পরিণত অবস্থায় পৌঁছেছে। দুর্ভাগ্যবশতঃ, অনেক সময়ে ক্যানসারের প্রাথমিক অবস্থায় (যখন তাদের সারিয়ে তোলা সম্ভব) কোনও উপসর্গ দেখা যায় না, আয়।
কোনও কোনও বিশেষ ওষুধের প্রতিক্রিয়ার ফলেও রক্ত দেখা দিতে পারে। এই ওষুধগুলির মধ্যে রয়েছে পেনিসিলিন, অ্যাসপিরিন, হেপারিন, ক্যানসারের ওষুধ সাইক্লোফসমাইড (সাইটোক্সান), ইত্যাদি ওষুধ।
বৃক্কে আঘাত : কোনও কারণে বৃক্ক বা কিডনিতে আঘাতপ্রাপ্ত হলে প্রস্রাবে রক্ত বেরোতে পারে।অত্যাধিক পরিশ্রম বা এক্সারসাইজ করলেও প্রস্রাবে রক্ত দিতে পারে। যদিও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রস্রাবে রক্ত বেরনো ভয়াবহ নয়, কিন্তু এটি হলে ডাক্তারদের সঙ্গে যোগাযোগ করাটা বিশেষ প্রয়োজনীয়। তবে প্রস্রাব লাল হবার যদি অন্য কোনও কারণ থাকে, যেমন, বিট্স, বেরি জাতিয় সব্জি বা ফল খাওয়া কিংবা কোনও বিশেষ জোলাপ (ল্যাক্সেটিভ) নেওয়া তাহলে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ না হলেও চলে। তবে সাবধানের মার নেই।

পরীক্ষা :
সাধারণতঃ ডাক্তাররা শারীরিক পরীক্ষা ও রোগীর স্বাস্থ্যসংক্রান্ত খবরাখবর জেনে অন্যান্য কি পরীক্ষা করবেন স্থির করেন। প্রস্রাব ও রক্ত পরীক্ষা সবসময়েই করা হয়, কোনও সংক্রমণ হয়েছে কিনা দেখতে। শুধু একবার রক্ত বেরোলে গুরুতর কিছু হবার সম্ভাবনা কম। তবে ডাক্তাররা নিঃসন্দেহ হবার জন্য দুটি পরীক্ষা করতে পারেন:

সিস্টোস্কোপি: এটিতে ডাক্তার একটি ক্ষুদ্র ক্যামেরা মূত্রনালী দিয়ে ঢুকিয়ে মূত্রাশয় ও মূত্রণালীর ভেতরটা ভালো করে পরীক্ষা করেন কোনও অস্বাভাবিকত্ব আছে কিনা দেখতে।

মূত্রপ্রণালীর বিভিন্ন অংশের প্রতিবিম্ব বা ইমেজ দেখা: আল্ট্রা সাউণ্ড, কম্পিউটার টোমোগ্রাফি (সিটি স্ক্যান), এমআরআই, ইত্যাদির সাহায্যে এটি দেখা হয়।

এসব সত্যেও রক্তের উৎস নিঃসন্দেহ ভাবে জানা সম্ভব নাও হতে পারে। সুতরাং সেক্ষেত্রে ডাক্তাররা নিয়মিত অন্যান্য পরীক্ষার করার জন্য উপদেশ দিতে পারেন।

চিকিৎসা :
কি চিকিৎসা হবে বা আদৌ হবে কিনা সেটা নির্ভর করছে, রক্তের উৎস কি সেটা নির্ধারিত হলে।
মূত্রপ্রণালীর সংক্রমণ হলে ডাক্তাররা অ্যাণ্টিবায়োটিক দেবেন। বৃক্কে পাথর জমে থাকলে বেশি করে জল পান করতে যাতে প্রস্রাবের সঙ্গে সেটা বেরিয়ে যেতে পারে। না বেরোলে সার্জারির সাহায্যে সেটিকে বার করতে হয় বা অন্যান্য আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে পাথরটিকে ফাটিয়ে সেটিকে প্রস্রাবের সঙ্গে বার হতে পারার অবস্থায় নিয়ে আসা।প্রস্টেট বড় হওয়া: অনেক সময়ে ওষুধ ব্যবহার করে প্রস্টেটকে সঙ্কুচিত করা যায়। ওষুধে কাজ না হলে লেজার বা অন্য সার্জারি পদ্ধতি ব্যবহার করতে হয়।
বৃক্কের অসুখ: এর জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন। সংক্রমণ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বন্ধ করে বৃক্কের ধবংস রোধ করতে হয়।ক্যানসার : মূত্রাশয় ও বৃক্কের ক্ষেত্রে সাধারণতঃ সার্জারির সাহায্যে ক্যানসার-যুক্ত কোষগুলিকে বাদ দিতে হয়, কারণ এই জায়গার কোষগুলি রেডিয়েশন বা কিমোথেরাপি করে সেগুলি ধবংস করা সহজসাধ্য নয়। অনেক সময়ে পুরো মূত্রাশয় বাদ দেওয়া ছাড়া অন্য কোনও উপায় নাও থাকতে পারে। প্রস্টেটের ক্ষেত্রে রেডিয়েশন অনেক ক্ষেত্রে কার্যকরি হয়। সাধারণভাবে মূত্রপ্রণালীর সমস্যা কমানোর জন্য উচিত যথেষ্ট পরিমানে পানি খাওয়া, ধূমপান বন্ধ করা, দূষণযুক্ত স্থান থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকা, শাক-সব্জি ফল ইত্যাদি খাওয়া।
ধন্যবাদ সবাইকে।

Unknown

Author & Editor

Has laoreet percipitur ad. Vide interesset in mei, no his legimus verterem. Et nostrum imperdiet appellantur usu, mnesarchum referrentur id vim.

0 comments:

Post a Comment

0

আসসালামু আলাইকুম ।কেমন আছেন বন্ধুরা সবাই।আশা করি আল্লাহর রহমতে আপনারা সবাই ভালই আছেন।
প্রস্রাবে রক্তের আভাস দেখতে পেলে অনেকেই দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হন, তবে প্রস্রাবে রক্ত - যেটিকে হেমাচুরিয়া (hematuria) - সব সময়ে ভয়াবহ নয়। অধিক পরিশ্রমের ফলে বা কিছু কিছু ওষুধ খেলে (যেমন, অ্যাস্পিরিন) এটি দেখা দিতে পারে। বিশ্রাম করলে বা ওষুধ বন্ধ করলে চিকিৎসা ছাড়াই রক্ত বেরনো বন্ধ হয়। তবে ক্ষেত্র বিশেষে এর মূলে প্রস্রাব প্রণালীর কোনও কঠিন সমস্যা জড়িত থাকে। বৃক্ক (Kidneys), মূত্রনালী (Ureters), মূত্রাশয় (Bladder), বহির্মূত্রনালী (Urethra) এবং পুরুষদের প্রস্টেট গ্রন্থি সবই এই মূত্রপ্রণালীর অন্তর্গত।

প্রস্রাবে রক্তের পরিমান খুব অল্প হলে সেটা সাধারণ চোখে ধরা পড়ে না। পরিমান বেশি হলে প্রস্রাবের রঙ গোলাপী, লাল অথবা চা বা কোলার যে রঙ তা, ধারণ করতে পারে। সাধারণতঃ প্রস্রাবের রঙের পরিবর্তন হতে খুব বেশি রক্ত থাকার প্রয়োজন হয় না। সিকি চামচ রক্ত আধ লিটার প্রস্রাবকে রঙ-যুক্ত করতে পারে।রক্তে খুব অল্প পরিমাণ রক্ত থাকাটা অস্বাভাবিক অবস্থা নয়। একটি সুস্থ মানুষের প্রস্রাবের মধ্যে দিয়ে প্রায় দশ লক্ষ লোহিত রক্ত কণিকা দৈনিক নিসৃত হয়। হঠাৎ প্রচুর পরিমাণে রক্ত প্রস্রাবের মধ্যে দেখা দেওয়ার মূলে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে।মূত্রাশয়ের সংক্রমণ : এটি ঘটে যখন ব্যাক্টেরিয়া মূত্রনালীর মধ্যে দিয়ে মূত্রাশয়ে প্রবেশ করে এবং বংশবৃদ্ধি করে। এর ফলে বারবার প্রস্রাব পায়, প্রস্রাব করার সময়ে জ্বালা বা ব্যথা বোধ হয়। প্রস্রাবে দুর্গন্ধও দেখা দেয়। এই সংক্রমণে সাধারণতঃ প্রস্রাবে রক্ত দেখা দেয় না, কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে।

বৃক্ক বা কিডনির সংক্রমণ : এর উপসর্গও মূত্রাশয়ের সংক্রমণের মতো, তবে সেইসঙ্গে জ্বর এবং কোমরের পেছনে ব্যথা হতে পারে।
মূত্রাশয় বা বৃক্কে পাথর : এই পাথরগুলি সৃষ্টি হলে এমনিতে কোনও ব্যথা হয় না। ব্যথা দেখা দেয় যখন এটি মূত্রপ্রণালীর কোথাও অবরোধ সৃষ্টি করে বা বেরোবার চেষ্টা করে। বৃক্কের পাথর বা কিড্নি স্টোন-এ তীব্র ব্যথা হয় এবং যথেষ্ট রক্তক্ষরণ হতে পারে।

পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রস্টেট বৃদ্ধির ফলে (বিশেষতঃ পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তিদের) মূত্রনালীতে অবরোধ ঘটে এবং রক্তপাতের সম্ভাবনা দেখা দেয়। প্রস্টেট বড় হলে প্রস্রাব করতে অসুবিধা এবং বারংবার প্রস্রাব করার প্রয়োজন বোধ হয়। এছাড়া প্রস্টেটের সংক্রমণের (প্রস্টাইটিস) ফলেও প্রস্রাবে রক্ত দেখা দিতে পারে।

ক্যানসার: প্রস্রাবের রক্ত কিছু কিছু ক্ষেত্রে বৃক্ক, মূত্রাশয় বা প্রস্টেটের ক্যানসারের জন্য দেখা দেয়। এটি সাধারণতঃ ঘটে ক্যানসার যখন পরিণত অবস্থায় পৌঁছেছে। দুর্ভাগ্যবশতঃ, অনেক সময়ে ক্যানসারের প্রাথমিক অবস্থায় (যখন তাদের সারিয়ে তোলা সম্ভব) কোনও উপসর্গ দেখা যায় না, আয়।
কোনও কোনও বিশেষ ওষুধের প্রতিক্রিয়ার ফলেও রক্ত দেখা দিতে পারে। এই ওষুধগুলির মধ্যে রয়েছে পেনিসিলিন, অ্যাসপিরিন, হেপারিন, ক্যানসারের ওষুধ সাইক্লোফসমাইড (সাইটোক্সান), ইত্যাদি ওষুধ।
বৃক্কে আঘাত : কোনও কারণে বৃক্ক বা কিডনিতে আঘাতপ্রাপ্ত হলে প্রস্রাবে রক্ত বেরোতে পারে।অত্যাধিক পরিশ্রম বা এক্সারসাইজ করলেও প্রস্রাবে রক্ত দিতে পারে। যদিও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রস্রাবে রক্ত বেরনো ভয়াবহ নয়, কিন্তু এটি হলে ডাক্তারদের সঙ্গে যোগাযোগ করাটা বিশেষ প্রয়োজনীয়। তবে প্রস্রাব লাল হবার যদি অন্য কোনও কারণ থাকে, যেমন, বিট্স, বেরি জাতিয় সব্জি বা ফল খাওয়া কিংবা কোনও বিশেষ জোলাপ (ল্যাক্সেটিভ) নেওয়া তাহলে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ না হলেও চলে। তবে সাবধানের মার নেই।

পরীক্ষা :
সাধারণতঃ ডাক্তাররা শারীরিক পরীক্ষা ও রোগীর স্বাস্থ্যসংক্রান্ত খবরাখবর জেনে অন্যান্য কি পরীক্ষা করবেন স্থির করেন। প্রস্রাব ও রক্ত পরীক্ষা সবসময়েই করা হয়, কোনও সংক্রমণ হয়েছে কিনা দেখতে। শুধু একবার রক্ত বেরোলে গুরুতর কিছু হবার সম্ভাবনা কম। তবে ডাক্তাররা নিঃসন্দেহ হবার জন্য দুটি পরীক্ষা করতে পারেন:

সিস্টোস্কোপি: এটিতে ডাক্তার একটি ক্ষুদ্র ক্যামেরা মূত্রনালী দিয়ে ঢুকিয়ে মূত্রাশয় ও মূত্রণালীর ভেতরটা ভালো করে পরীক্ষা করেন কোনও অস্বাভাবিকত্ব আছে কিনা দেখতে।

মূত্রপ্রণালীর বিভিন্ন অংশের প্রতিবিম্ব বা ইমেজ দেখা: আল্ট্রা সাউণ্ড, কম্পিউটার টোমোগ্রাফি (সিটি স্ক্যান), এমআরআই, ইত্যাদির সাহায্যে এটি দেখা হয়।

এসব সত্যেও রক্তের উৎস নিঃসন্দেহ ভাবে জানা সম্ভব নাও হতে পারে। সুতরাং সেক্ষেত্রে ডাক্তাররা নিয়মিত অন্যান্য পরীক্ষার করার জন্য উপদেশ দিতে পারেন।

চিকিৎসা :
কি চিকিৎসা হবে বা আদৌ হবে কিনা সেটা নির্ভর করছে, রক্তের উৎস কি সেটা নির্ধারিত হলে।
মূত্রপ্রণালীর সংক্রমণ হলে ডাক্তাররা অ্যাণ্টিবায়োটিক দেবেন। বৃক্কে পাথর জমে থাকলে বেশি করে জল পান করতে যাতে প্রস্রাবের সঙ্গে সেটা বেরিয়ে যেতে পারে। না বেরোলে সার্জারির সাহায্যে সেটিকে বার করতে হয় বা অন্যান্য আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে পাথরটিকে ফাটিয়ে সেটিকে প্রস্রাবের সঙ্গে বার হতে পারার অবস্থায় নিয়ে আসা।প্রস্টেট বড় হওয়া: অনেক সময়ে ওষুধ ব্যবহার করে প্রস্টেটকে সঙ্কুচিত করা যায়। ওষুধে কাজ না হলে লেজার বা অন্য সার্জারি পদ্ধতি ব্যবহার করতে হয়।
বৃক্কের অসুখ: এর জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন। সংক্রমণ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বন্ধ করে বৃক্কের ধবংস রোধ করতে হয়।ক্যানসার : মূত্রাশয় ও বৃক্কের ক্ষেত্রে সাধারণতঃ সার্জারির সাহায্যে ক্যানসার-যুক্ত কোষগুলিকে বাদ দিতে হয়, কারণ এই জায়গার কোষগুলি রেডিয়েশন বা কিমোথেরাপি করে সেগুলি ধবংস করা সহজসাধ্য নয়। অনেক সময়ে পুরো মূত্রাশয় বাদ দেওয়া ছাড়া অন্য কোনও উপায় নাও থাকতে পারে। প্রস্টেটের ক্ষেত্রে রেডিয়েশন অনেক ক্ষেত্রে কার্যকরি হয়। সাধারণভাবে মূত্রপ্রণালীর সমস্যা কমানোর জন্য উচিত যথেষ্ট পরিমানে পানি খাওয়া, ধূমপান বন্ধ করা, দূষণযুক্ত স্থান থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকা, শাক-সব্জি ফল ইত্যাদি খাওয়া।
ধন্যবাদ সবাইকে।

Post a Comment

Dear readers, after reading the Content please ask for advice and to provide constructive feedback Please Write Relevant Comment with Polite Language.Your comments inspired me to continue blogging. Your opinion much more valuable to me. Thank you.

 
biz.