Saturday, September 14, 2013

সকল মুসলিম ভাই জেনে নিন (অনুতপ্ত হওয়া এবং আল্লাহর নিকটে ক্ষমা প্রার্থনা করা)


আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই।আশা করি ভালই আছেন।আল্লাহ তায়ালা সকল্কে ভাল রাখুন। (আমিন)। যাই হক আমরা জেনে না জেনে অনেক পাপ করে থাকি। আর এই পাপ থেকে মুক্তির উপায় হচ্ছে নামাজ।আর প্রতি উয়াক্তে নামাজের সাথে তওবা করা। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, হে মানুষ! তোমরা আল্লাহর দিকে ফিরে যাও। কেননা আমি দৈনিক একশবার তওবা করি।(১২৯)
তিনি বলেন, ‘আল্লাহ সবচেয়ে খুশী হন বান্দা তওবা করলে। (১৩০)
তিনি আরও বলেন, ‘সকল আদম সন্তান ভুলকারী। আর ভুলকারীদের মধ্যে সেরা তারাই, যারা তওবাকারী।(১৩১)

তওবা শুদ্ধ হবার শর্তাবলী :

আল্লাহ ও বান্দার মধ্যকার বিষয় হলে তওবা শুদ্ধ হওয়ার শর্ত হল তিনটি।
 ১। ঐ পাপ থেকে বিরত থাকবে
২। কৃত অপরাধের জন্য অনুতপ্ত হবে
৩। ঐ পাপ পুনরায় না করার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হবে।
আর যদি পাপটি বান্দার সাথে সম্পৃক্ত হয়, তাহলে তাকে ৪র্থ শর্ত হিসাবে বান্দার নিকটে ক্ষমা চাইতে হবে। কোন হক বা কিছু পাওনা থাকলে তাকে তা বুঝে দিতে হবে। তা না হলে তার তওবা শুদ্ধ হবে না। (১৩২)
তওবার দোআ :
(১) আস্তাগফিরুল্লা-হাল্লাযী লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়ুল ক্বাইয়ূমু ওয়া আতূবু ইলাইহে’ (আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি। যিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও বিশ্বচরাচরের ধারক এবং আমি তাঁর দিকেই ফিরে যাচ্ছি (বা তওবা করছি)।    (১৩৩)

(২) লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহা-নাকা ইন্নী কুনতু মিনায যোয়া-লিমীন’ (হে আল্লাহ! তুমি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তুমি মহা পবিত্র। নিশ্চয়ই আমি অন্যায়কারীদের অন্তর্ভুক্ত)।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, যখন কোন মুসলিম কোন সমস্যায় এই দোআর মাধ্যমে তার পালনকর্তাকে আহবান করে, যা ইউনুস মাছের পেটে গিয়ে করেছিলেন, তখন আল্লাহ তার আহবানে সাড়া দেন।  (১৩৪)

(৩)রবিবগফিরলী ওয়া তুব আলাইয়া, ইন্নাকা আনতাত তাউওয়া-বুর রহীম’ (হে আমার প্রতিপালক! আমাকে ক্ষমা কর ও আমার তওবা কবুল কর। নিশ্চয়ই তুমি তওবা কবুলকারী ও দয়াবান) ১০০ বার পরতে হবে।  (১৩৫)
  ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন।
 ধন্যবাদ সবাইকে।
Start Total count: 27:06:2014


Unknown

Author & Editor

Has laoreet percipitur ad. Vide interesset in mei, no his legimus verterem. Et nostrum imperdiet appellantur usu, mnesarchum referrentur id vim.

1 comments:

1

আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই।আশা করি ভালই আছেন।আল্লাহ তায়ালা সকল্কে ভাল রাখুন। (আমিন)। যাই হক আমরা জেনে না জেনে অনেক পাপ করে থাকি। আর এই পাপ থেকে মুক্তির উপায় হচ্ছে নামাজ।আর প্রতি উয়াক্তে নামাজের সাথে তওবা করা। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, হে মানুষ! তোমরা আল্লাহর দিকে ফিরে যাও। কেননা আমি দৈনিক একশবার তওবা করি।(১২৯)
তিনি বলেন, ‘আল্লাহ সবচেয়ে খুশী হন বান্দা তওবা করলে। (১৩০)
তিনি আরও বলেন, ‘সকল আদম সন্তান ভুলকারী। আর ভুলকারীদের মধ্যে সেরা তারাই, যারা তওবাকারী।(১৩১)

তওবা শুদ্ধ হবার শর্তাবলী :

আল্লাহ ও বান্দার মধ্যকার বিষয় হলে তওবা শুদ্ধ হওয়ার শর্ত হল তিনটি।
 ১। ঐ পাপ থেকে বিরত থাকবে
২। কৃত অপরাধের জন্য অনুতপ্ত হবে
৩। ঐ পাপ পুনরায় না করার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হবে।
আর যদি পাপটি বান্দার সাথে সম্পৃক্ত হয়, তাহলে তাকে ৪র্থ শর্ত হিসাবে বান্দার নিকটে ক্ষমা চাইতে হবে। কোন হক বা কিছু পাওনা থাকলে তাকে তা বুঝে দিতে হবে। তা না হলে তার তওবা শুদ্ধ হবে না। (১৩২)
তওবার দোআ :
(১) আস্তাগফিরুল্লা-হাল্লাযী লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়ুল ক্বাইয়ূমু ওয়া আতূবু ইলাইহে’ (আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি। যিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও বিশ্বচরাচরের ধারক এবং আমি তাঁর দিকেই ফিরে যাচ্ছি (বা তওবা করছি)।    (১৩৩)

(২) লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহা-নাকা ইন্নী কুনতু মিনায যোয়া-লিমীন’ (হে আল্লাহ! তুমি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তুমি মহা পবিত্র। নিশ্চয়ই আমি অন্যায়কারীদের অন্তর্ভুক্ত)।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, যখন কোন মুসলিম কোন সমস্যায় এই দোআর মাধ্যমে তার পালনকর্তাকে আহবান করে, যা ইউনুস মাছের পেটে গিয়ে করেছিলেন, তখন আল্লাহ তার আহবানে সাড়া দেন।  (১৩৪)

(৩)রবিবগফিরলী ওয়া তুব আলাইয়া, ইন্নাকা আনতাত তাউওয়া-বুর রহীম’ (হে আমার প্রতিপালক! আমাকে ক্ষমা কর ও আমার তওবা কবুল কর। নিশ্চয়ই তুমি তওবা কবুলকারী ও দয়াবান) ১০০ বার পরতে হবে।  (১৩৫)
  ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন।
 ধন্যবাদ সবাইকে।
Start Total count: 27:06:2014


Post a Comment

tnx for this post .

Dear readers, after reading the Content please ask for advice and to provide constructive feedback Please Write Relevant Comment with Polite Language.Your comments inspired me to continue blogging. Your opinion much more valuable to me. Thank you.

 
biz.