কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভাল আছেন। আল্লাহর রহমতে আমিও ভাল আছি।আমি পূর্বে বালিয়াটি জমিদার বাড়ি নিয়ে লিখেছিলাম।আজ আবার আপনাদের তেওতা/আরিচা জমিদার বাড়ি ঘুরে দেখার জন্য আমন্ত্রন জানালাম।যখন মন চাইবে ঘুরে দেখে আসবেন।
জমিদার বাড়িটি এখনো তার কাঠামোতে দাড়িয়ে আছে। যদিও খয়ে গেছে এর ইটের দেয়াল। এই বাড়িতে আছে দুটি পুকুর। একটি বিশাল পুকুর আছে বাড়ির সামনে, যেখানে ছিলো চমৎকার ঘাটলা, এখনো টিকে আছে। অন্য পুকুরটি বাড়ির ভিতরে, খুবই করুন অবস্থা তার। বাড়ির সামনে আছে একটি বহুতল মন্দির। কারুকাজময় মন্দিরটি আজ বিলিন হবার পথে। এখনো যেটুকু সৌন্দর্য অবশিষ্ট রয়েছে তার আকর্ষণও কম নয়।বাড়িটিতে এক কালে ছিলো ৫৫টি ঘর, আজ তারই কিছু ঘরে সেই সাথে খালি যায়গায় নিজেদের তৈরি ঘরে বসবাস করে কিছু লোক। এখনো এর সিড়ি ব্যবহার করে দোতালায় উঠা যায়, যাওয়া যায় ছাদেও। ছাদ থেকে দেখতে পারবেন পুরোবাড়ির গঠনকাঠামো। বাড়ির ভেতরের যে পুকুরটি ছিলো আজ তা মজাপুকুরে পরিনত হতে চলেছে। এই বাড়িতেই ছিলো ৫টি কুয়া। একটি দেখতে পাবেন বাড়ির সামনে মাঠের কোনায়। বাড়ির সামনেই আছে এই সবুজ ঘাসের বড়সড় মাঠ। মাঠেই রয়েছে জমিদারদের তৈরি টিনের চালার এক কাচারিবাড়ি।
পদ্মা নদীর কোল ঘেষে কালের স্বাক্ষী বহন করে আসছে তেওতা জমিদার বাড়ী। এখানে বসবাস করতেন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুলের ইসলামের সহধর্মীনি প্রমিলা দেবী। বহু ইতিহাস বহন করে আসছে এই জমিদার বাড়ী। বহু দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও জড়াজীর্ন হয়ে দাড়িয়ে আছে তেওতা জমিদার বাড়ী। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের শেষ প্রান্ত আরিচা ঘাট থেকে রিক্সা যোগে যাওয়া যয় এই জমিদার বাড়িতে।বাংলা ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য প্রতি বছরে এই উপজেলা সাজে নতুন সাজে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতী নেয় এই এলাকার সর্বস্তরের জনগন তারা সাদর সম্ভাসনে আমন্ত্রন জানিয়ে পালিতকরে নববর্ষ বর্ষ বরন অনুষ্ঠানে।
কিভাবে যাবেনঃ
ঢাকা থেকে বাসে আরিচা ঘাট এসে নামতে হবে। এরপর সি এন জি অথবা রিক্সা যোগে তেওতা যেতে হবে।এছাড়া নদী পথেও আসা যাবে। এজন্য নৌকায় আরিচাঘাটে এসে নামতে হবে। যমুনা নদী দিয়ে বাংলাদেশের যেকোন পয়েন্টে থেকে তেওতা জমিদারবাড়ী আসা যাবে।
ঢাকা থেকে আরিচার দূরত্ব ৯০ কিঃ মিঃ। ৩ ঘন্টায় বাসে যেতে ভাড়া দিতে হবে ৮০ টাকার মত হবে। গাবতলী থেকে যাত্রীসেবা, বিআরটিসি, পদ্মা লাইন, ইত্যাদি বাসে আরিচা ঘাট যেতে পারবেন। আরিচা ঘাট থেকে রিকশায় ২৫-৩০ টাকা ভাড়ায় যাওয়া যাবে তেওতা জমিদার বাড়ি।
নয়।অনেক আগে গিয়েছিলাম এত মনে নেই। তাই বেশি কিছু লিখতে পারলাম না।এর জন্য দুঃখিত।তবে জমিদার বাড়িটি অনেক সুন্দর।ঘুরে দেখে আসতে পারেন।
ধন্যবাদ ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন।
ভাল লাগলে লাইক দিন
0 comments:
Post a Comment