Sunday, September 1, 2013

মঙ্গল গ্রহের নুড়িতে পানিপ্রবাহের প্রাচীন চিহ্নের সন্ধান পাওয়া গেছে

আসসালামু আলাইকুম ।সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের পোস্ট শুরু করছি। মঙ্গল গ্রহের অনেক জায়গায় পানি প্রবাহিত হওয়ার ছাপ রয়েছে। বিজ্ঞানীদের দাবি, মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার অনুসন্ধানী মহাকাশযান কিউরিওসিটির পাঠানো ছবি ও তথ্যের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে প্রবাহিত পানির কারণে মাটি ক্ষয়ে গিয়ে এসব খাত তৈরি হয়েছে। খাতে
স্তূপাকারে জমে থাকা গোলাকার নুড়িতে পানি বয়ে যাওয়ার সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে।
মঙ্গলপৃষ্ঠের ওপরিভাগের শিলাস্তরের অংশে পাওয়া নুড়িগুলোর প্রান্ত গোলাকার এবং আকৃতি শস্যদানার মতো। এতে বোঝা যায়, ওই অঞ্চলে  কোনো একসময় দীর্ঘ দূরত্বের পানিপ্রবাহ ছিল। গবেষকেরা বলেন, নুড়িগুলো অন্তত ২০০ কোটি বছর আগে পানিপ্রবাহের মাধ্যমে গেইল কার্টারে সঞ্চিত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। এগুলো প্রথম দিকে অমসৃণ ও কোণযুক্ত অবস্থায় থাকলেও পানি ও বালুর সঙ্গে ভেসে যাওয়ার ফলে কালক্রমে গোলাকার ও মসৃণ হয়ে পড়ে। কিউরিওসিটি সেখানে মোট ৫১৫টি নুড়ি পর্যবেক্ষণ করেছে। প্রায় সব নুড়িই চ্যাপটা, গোলাকার ও মসৃণ এবং হালকা, গাঢ়সহ বিভিন্ন রঙের।
কিউরিওসিটি গত বছর মঙ্গলে অবতরণ করে। মঙ্গল গবেষণা প্রকল্পের প্রধান মর্টেন বো ম্যাডসেন বলেন, গোলাকার নুড়িগুলোর অবস্থান পরিবর্তন ও গঠন থেকে বোঝা যাচ্ছে, মঙ্গলে হয়তো ১০ সেন্টিমিটার থেকে এক মিটার গভীরতার পানিপ্রবাহ ছিল। এই প্রবাহের গতি ছিল সম্ভবত ঘণ্টায় ৩ দশমিক ৬ কিলোমিটার ।
 ধন্যবাদ সবাইকে।

পোষ্টটি ভাল লাগলে লাইক দিয়েন

পোষ্টটি ভাল লাগলে লাইক দিয়েন

Unknown

Author & Editor

Has laoreet percipitur ad. Vide interesset in mei, no his legimus verterem. Et nostrum imperdiet appellantur usu, mnesarchum referrentur id vim.

0 comments:

Post a Comment

0
আসসালামু আলাইকুম ।সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের পোস্ট শুরু করছি। মঙ্গল গ্রহের অনেক জায়গায় পানি প্রবাহিত হওয়ার ছাপ রয়েছে। বিজ্ঞানীদের দাবি, মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার অনুসন্ধানী মহাকাশযান কিউরিওসিটির পাঠানো ছবি ও তথ্যের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে প্রবাহিত পানির কারণে মাটি ক্ষয়ে গিয়ে এসব খাত তৈরি হয়েছে। খাতে
স্তূপাকারে জমে থাকা গোলাকার নুড়িতে পানি বয়ে যাওয়ার সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে।
মঙ্গলপৃষ্ঠের ওপরিভাগের শিলাস্তরের অংশে পাওয়া নুড়িগুলোর প্রান্ত গোলাকার এবং আকৃতি শস্যদানার মতো। এতে বোঝা যায়, ওই অঞ্চলে  কোনো একসময় দীর্ঘ দূরত্বের পানিপ্রবাহ ছিল। গবেষকেরা বলেন, নুড়িগুলো অন্তত ২০০ কোটি বছর আগে পানিপ্রবাহের মাধ্যমে গেইল কার্টারে সঞ্চিত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। এগুলো প্রথম দিকে অমসৃণ ও কোণযুক্ত অবস্থায় থাকলেও পানি ও বালুর সঙ্গে ভেসে যাওয়ার ফলে কালক্রমে গোলাকার ও মসৃণ হয়ে পড়ে। কিউরিওসিটি সেখানে মোট ৫১৫টি নুড়ি পর্যবেক্ষণ করেছে। প্রায় সব নুড়িই চ্যাপটা, গোলাকার ও মসৃণ এবং হালকা, গাঢ়সহ বিভিন্ন রঙের।
কিউরিওসিটি গত বছর মঙ্গলে অবতরণ করে। মঙ্গল গবেষণা প্রকল্পের প্রধান মর্টেন বো ম্যাডসেন বলেন, গোলাকার নুড়িগুলোর অবস্থান পরিবর্তন ও গঠন থেকে বোঝা যাচ্ছে, মঙ্গলে হয়তো ১০ সেন্টিমিটার থেকে এক মিটার গভীরতার পানিপ্রবাহ ছিল। এই প্রবাহের গতি ছিল সম্ভবত ঘণ্টায় ৩ দশমিক ৬ কিলোমিটার ।
 ধন্যবাদ সবাইকে।

পোষ্টটি ভাল লাগলে লাইক দিয়েন

পোষ্টটি ভাল লাগলে লাইক দিয়েন

Post a Comment

Dear readers, after reading the Content please ask for advice and to provide constructive feedback Please Write Relevant Comment with Polite Language.Your comments inspired me to continue blogging. Your opinion much more valuable to me. Thank you.

 
biz.