
বালিয়াটি জমিদারবাড়ির বিশাল কমপ্লেক্সটি উঁচু দেয়ালে ঘেরা। প্রাচীন আমলের সেই প্রাচীর এখনও টিকে আছে। এ চার দেয়ালের মাঝে এখন রয়েছে চারটি সুদৃশ্য ভবন। আর ভবনগুলোর সামনের প্রাচীর দেয়ালে রয়েছে চারটি প্রবেশ পথ। আর চারটি ভবনের পেছন দিকে আছে আরো চারটি ভবন। চারটি প্রবেশ পথের চূড়ায় রয়েছে পাথরের তৈরি চারটি সিংহমূর্তি। সিংহ দরজা পেরিয়ে বাইরে বেরোলেই দীর্ঘ পুকুর। পুকুরের জলে বালিয়াটি প্রাসাদের প্রতিচ্ছবি আজো মন ভরে দেয় সবার। বালিয়াটি জমিদার বাড়ি মূলত পাঁচটি মহলে প্রতিষ্ঠিত হলেও বর্তমানে টিকে আছে প্রায় একই রকম চারটি মহল। আর এ চারটি মহলের মাঝের দুটি দোতলা আর দু পাশের দুটি তিন তলা। প্রায় বিশ একরেরও বেশি জমির উপরে নির্মিত এ জমিদারবাড়িতে রয়েছে ছোট-বড় দুশোর বেশি কক্ষ। পেছনের দিকে আছে বড় একটি পুকুর। শান বাঁধানো ছয়টি ঘাট আছে এ পুকুরের চার পাশে। পুকুরের চারপাশের সারিবদ্ধ কক্ষগুলো ছিল পরিচারক, প্রহরী ও অন্যান্য কর্মচারীদের থাকার জন্য। বর্তমানে বালিয়াটি জমিদারবাড়ির অবস্থা খুবই করুণ। সংস্কারের অভাবে দিন দিন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে মূল্যবান এই প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনটি। বর্তমানে জমিদারবাড়ির ভবনগুলোতে বালিয়াটি কলেজ, ভূমি অফিসের কার্যক্রম। এ ছাড়া পেছনের দিকে পুরো বাড়িটিই রয়েছে নানাজনের দখলে।
কিভাবে যাবেন বালিয়াটি জমিদার বাড়িঃ
ঢাকার গাবতলী বাস স্ট্যান্ড থেকে সরাসরি সাটুরিয়ার বাস এস বি লিঙ্ক,ভাড়া ৬০ টাকা অথবা ‘জনসেবা’ বাস। ভাড়া ৪০-৫০ টাকা। এ ছাড়া যেকোনো জায়গা থেকে ঢাকা আরিচা মহাসড়কের কালামপুর স্টেশনে এসে সেখান থেকেও লোকাল বাসে সাটুরিয়া আসতে পারেন। আবার মানিকগঞ্জ বাস স্ট্যান্ড থেকে এখন সি এন জির সুব্যবস্থা আছে ।সাটুরিয়া স্টেশন থেকে বালিয়াটি জমিদারবাড়ির রিকশা ভাড়া ২০-৩০ টাকা।
যদি আপনি এখানে এক দিন বা দুই দিন থাকতে চান তাহলে কোথায় থাকবেনঃ
ঢাকা থেকে দিনে দিনেই বেরিয়ে আসা যায় মানিকগঞ্জ। আর থাকার জন্য ভালো মানের কোন হোটেলও নেই এখানে। একান্ত জরুরি থাকতে হলে সাধারণ মানের দু’একটি হোটেলের ঠিকানা হেয়া হলো। শহরের শহীদ রফিক সড়কে হোটেল, মানিকগঞ্জ আবাসিক বোর্ডিং। পরবর্তীতে বালিয়াটি জমিদার বাড়ির দৃশ্যপট তুলে ধরার চেষ্টা করব। ভাল থাকুন।আজ এই পর্যন্তই।
পোষ্টটি ভাল লাগলে লাইক দিয়েন
0 comments:
Post a Comment