Saturday, February 7, 2015

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উৎকর্ষে মানবজাতির ধ্বংস দেখছেন হকিং


মানুষের সমকক্ষ কিংবা তারচেয়েও বেশি বুদ্ধিমত্তার যন্ত্র তৈরির চেষ্টা শেষ পর্যন্ত পুরো মানবজাতিকে অস্তিত্বের সংকটে ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং।

বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বৃটিশ এই তত্ত্বীয় পদার্থবিদ বলেছেন, “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) পূর্ণ অগ্রগতি শেষ পর্যন্ত মানব জাতির সমাপ্তি ডেকে আনতে পারে।”

অ্যামায়োট্রোফিক লেটারাল স্কেরোসিস নামে স্নায়ুতন্ত্রের এক জটিল রোগে (মোটর নিউরন) আক্রান্ত হকিংয়ের দেহের বেশিরভাগটাই অসার। ফলে যন্ত্রের সহায়তা নিয়ে তাকে কথা বলতে হয়, করতে হয় লেখালেখি। ইন্টেলের তৈরি সেই যন্ত্রও চলে প্রাথমিক স্তরের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায়।

ওই যন্ত্রের নতুন সংস্করণ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবেই বিবিসিকে মানবজাতিকে নিয়ে নিজের শঙ্কার কথা বলেন বিশ্বখ্যাত এই বিজ্ঞানী।

তিনি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রথমদিকের যন্ত্রগুলোর যে উন্নয়ন এ যাবৎকালে হয়েছে সেগুলোর উপযোগিতা ইতোমধ্যে প্রমাণিত। কিন্তু মানুষের সমান বা বেশি বুদ্ধিমত্তার যন্ত্র তৈরি করা গেলে তার ফল কতোটা ভাল হবে তা নিয়েই তিনি সন্দিহান।

“এর নিজেরাই নিজেদের কর্তৃত্ব নেবে। আর নিজেদের আরো বদলে নিয়ে দ্রুত সংখ্যা বাড়াবে তারা। সেই তুলনায় জৈব বিবর্তনের গতি অনেকটাই ধীর বলে মানুষ প্রতিযোগিতায়  টিকতে পারবে না, পিছিয়ে পড়বে।”

হকিংয়ের মতো শঙ্কা এর আগেও অনেকে প্রকাশ করেছেন। বুদ্ধিমান যন্ত্র শিগগিরই  মানুষের অনেক কাজের দায়িত্ব নেবে এবং এর ফলে লাখ লাখ মানুষ কাজ হারাবে বলে তাদের ধারণা।

স্টিফেন হকিং ইন্টারনেটের ভালো-মন্দ নিয়েও কথা বলেছেন। তিনিও মনে করেন, ইন্টারনেট এখন সন্ত্রাসীদের অন্যতম ‘কমান্ড সেন্টার’ হয়ে উঠেছে।

তিনি বলেন, “হুমকি (সন্ত্রাসীদের) মোকাবিলায় ইন্টারনেট কোম্পানিগুলোর আরো অনেক কিছু করা উচিৎ। কিন্তু ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও স্বাধীনতায় ছাড় না দিয়ে তা করাই হলো মূল সমস্যা।

Unknown

Author & Editor

Has laoreet percipitur ad. Vide interesset in mei, no his legimus verterem. Et nostrum imperdiet appellantur usu, mnesarchum referrentur id vim.

0 comments:

Post a Comment

0

মানুষের সমকক্ষ কিংবা তারচেয়েও বেশি বুদ্ধিমত্তার যন্ত্র তৈরির চেষ্টা শেষ পর্যন্ত পুরো মানবজাতিকে অস্তিত্বের সংকটে ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং।

বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বৃটিশ এই তত্ত্বীয় পদার্থবিদ বলেছেন, “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) পূর্ণ অগ্রগতি শেষ পর্যন্ত মানব জাতির সমাপ্তি ডেকে আনতে পারে।”

অ্যামায়োট্রোফিক লেটারাল স্কেরোসিস নামে স্নায়ুতন্ত্রের এক জটিল রোগে (মোটর নিউরন) আক্রান্ত হকিংয়ের দেহের বেশিরভাগটাই অসার। ফলে যন্ত্রের সহায়তা নিয়ে তাকে কথা বলতে হয়, করতে হয় লেখালেখি। ইন্টেলের তৈরি সেই যন্ত্রও চলে প্রাথমিক স্তরের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায়।

ওই যন্ত্রের নতুন সংস্করণ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবেই বিবিসিকে মানবজাতিকে নিয়ে নিজের শঙ্কার কথা বলেন বিশ্বখ্যাত এই বিজ্ঞানী।

তিনি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রথমদিকের যন্ত্রগুলোর যে উন্নয়ন এ যাবৎকালে হয়েছে সেগুলোর উপযোগিতা ইতোমধ্যে প্রমাণিত। কিন্তু মানুষের সমান বা বেশি বুদ্ধিমত্তার যন্ত্র তৈরি করা গেলে তার ফল কতোটা ভাল হবে তা নিয়েই তিনি সন্দিহান।

“এর নিজেরাই নিজেদের কর্তৃত্ব নেবে। আর নিজেদের আরো বদলে নিয়ে দ্রুত সংখ্যা বাড়াবে তারা। সেই তুলনায় জৈব বিবর্তনের গতি অনেকটাই ধীর বলে মানুষ প্রতিযোগিতায়  টিকতে পারবে না, পিছিয়ে পড়বে।”

হকিংয়ের মতো শঙ্কা এর আগেও অনেকে প্রকাশ করেছেন। বুদ্ধিমান যন্ত্র শিগগিরই  মানুষের অনেক কাজের দায়িত্ব নেবে এবং এর ফলে লাখ লাখ মানুষ কাজ হারাবে বলে তাদের ধারণা।

স্টিফেন হকিং ইন্টারনেটের ভালো-মন্দ নিয়েও কথা বলেছেন। তিনিও মনে করেন, ইন্টারনেট এখন সন্ত্রাসীদের অন্যতম ‘কমান্ড সেন্টার’ হয়ে উঠেছে।

তিনি বলেন, “হুমকি (সন্ত্রাসীদের) মোকাবিলায় ইন্টারনেট কোম্পানিগুলোর আরো অনেক কিছু করা উচিৎ। কিন্তু ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও স্বাধীনতায় ছাড় না দিয়ে তা করাই হলো মূল সমস্যা।

Post a Comment

Dear readers, after reading the Content please ask for advice and to provide constructive feedback Please Write Relevant Comment with Polite Language.Your comments inspired me to continue blogging. Your opinion much more valuable to me. Thank you.

 
biz.