Monday, March 2, 2015

প্রেমিক বা প্রেমিকার ব্রেকআপ হওয়ার কারণ


একজন সঠিক মানুষের সাথে সম্পর্ক হলে জীবনে সুখ ধরে রাখা যায়। হয়তো মানুষটি পারফেক্ট নন, কিন্তু তার কিছু জিনিসে পারফেক্ট না হওয়াটাই আপনার জন্য তাকে একবারে সঠিক মানুষ বানিয়ে দেয়। এমন মানুষের সাথে হাসিখুশি ভাবে থেকে পুরো জীবন কাটিয়ে দেয়া সম্ভব হয়। কিন্তু যখন একজন ভুল মানুষের সাথে সম্পর্ক হয় তখন সেই সম্পর্কটি কষ্ট করে টেনে চলার চাইতে সম্পর্ক থেকেই দূরে সরে যাওয়া দুজনের জন্যই ভালো। কিন্তু কীভাবে বুঝবেন সঙ্গীর সাথে আপনার সম্পর্কটির ভবিষ্যৎ একেবারেই সুখকর নয়। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক কোন সম্পর্ক থেকে সরে আসাই ভালো হবে আপনার জন্য।

১) আপনাদের মধ্যে বয়সের পার্থক্য অনেক বেশি

অনেকের মতে সম্পর্কের ক্ষেত্রে নারী পুরুষের বয়সের পার্থক্য হওয়া ভালো। কিন্তু যখনই এই বয়সের পার্থক্য একটু বেশি হয়ে যায় তখন জেনারেশন গ্যাপের বিষয়টি চলে আসে। কথায় বা তর্কে হুট করে বলে ফেলেন, ‘আমার বয়স বেশি, আমি জীবন তোমার থেকে বেশি দেখেছি, আমি বেশি জানি, আমি যা বলবো তাই মেনে নিতে হবে’ ইত্যাদি ধরণের কথা। যা সম্পর্কের জন্য একেবারেই ভালো নয়। তাই সম্পর্কের ক্ষেত্রে বয়সের পার্থক্য বেশি হওয়া সম্পর্কের জন্য ভালো নয় একেবারেই। এই বিষয়টির প্রতি নজর দেয়া উচিত। যদি অতিরিক্ত সমস্যা মনে হয় তাহলে এই সম্পর্কে না এগুনোই ভালো।

২) আপনি অথবা সে সম্পর্কে ধোঁকা দিচ্ছেন

সম্পর্কে যেই ধোঁকা দিয়ে থাকুন না কেন সেই সম্পর্কটি সুস্থ ও স্বাভাবিক নয়। যদি মনে করে থাকেন সময়ের সাথে সাথে এই ব্যাপারটির সমাধান করতে পারবেন তাহলে ভুল করছেন। যদি আপনি ধোঁকা দিয়ে থাকেন বা তিনি ধোঁকা দেন তাহলে সম্পর্ক থেকে সরে আসাই শ্রেয়।

৩) আপনি নিজেকে হারিয়ে ফেলছেন

প্রথম প্রথম সম্পর্কে একে অপরের সাথে অনেকটা সময় ব্যয় করা হয় বিষয়টি সত্যি। কিন্তু সম্পর্ক শুরুর পর থেকে নিজের বন্ধুবান্ধব থেকে দূরে সরে আসা, কিংবা অনেক কিছু বাদ দিয়ে একসাথে সময় কাটানোর বিষয়টি পরবর্তীতে মেনে নেয়া কষ্টকর। এখানে আপনার জীবনের কিছু অংশ হারিয়ে আপনার সম্পর্ক এগিয়ে নিতে যেতে হচ্ছে। সুতরাং এই ধরণের সম্পর্ক দুজনের জন্যই ক্ষতিকর। যদি বিষয়গুলো কথা বলে ঠিক করে নিতে পারেন তাহলে দ্বিতীয়বার চেষ্টা করতে পারেন নতুবা নয়।

৪) কিছু বললেই তিনি অতিরিক্ত রিঅ্যাক্ট করেন
কথা বলে অনেক সমস্যা সমাধান করে ফেলা সম্ভব। কিন্তু তার সাথে কোনো ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করলেই যদি তিনি অতিরিক্ত রিঅ্যাক্ট করে বসেন তাহলে তার সাথে কোনো ব্যাপার নিয়ে কথা বলাই সম্ভব হয়ে উঠে না। কিন্তু সম্পর্কে থাকলে কথা বলে সমস্যা সমাধান করাটাই স্বাভাবিক। এমন অবস্থায় আপনাদের সম্পর্ক নিয়ে দ্বিতীয়বার চিন্তা করুন।

৫) আপনার নিজের মতো করে সময় পান না

সম্পর্কে থাকেই যে সারাটি সময় দুজনকে একসাথে থাকতে হবে এমন কোনো কথা নেই। দুজনেরই নিজস্ব জীবন রয়েছে, নিজস্ব কিছু কাজ রয়েছে এবং বাদবাকি সম্পর্ক রয়েছে। আপনি সম্পর্কে থাকলে যদি নিজের জন্য সময় একেবারেই না পান তাহলে সম্পর্কটি একটি পর্যায়ে বোঝার মতো মনে হতে থাকবে। সুতরাং এখনই এই সমস্যার সমাধান করে ফেলুন তা না হলে সুখী থাকতে পারবেন না।

৬) আপনি তাকে নিয়ে দ্বিধায় ভোগেন

আপনি কি আপনার প্রিয় মানুষটিকে আপনার পরিবার বা বন্ধুবান্ধবের সাথে পরিচয় করাতে দ্বিধা বোধ করেন? কিংবা আপনার অনেক ব্যাপারই তাকে জানাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না? তাহলে আপনি তাকে নিয়ে অনেক দ্বিধায় রয়েছেন। এই সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নেই। এই সম্পর্ক ছেড়ে সরে আসাই দুজনের জন্য মঙ্গলজনক।

৭) আপনার সঙ্গী সব সময় সকলের আকর্ষণ ধরে রাখতে চান

যদি আপনার প্রিয় মানুষটি আপনার মনোযোগ পাওয়ার জন্য নিজেকে তৈরি করেন তাহলে তা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু যদি তিনি শুধু আপনারই নয় সকলের আকর্ষণ নিজের দিকে ধরে রাখতে চান তাহলে আপনাদের সম্পর্কটি স্বাভাবিক নয়। এই ধরণের মানুষজন মানসিক ভাবে কিছুটা অসুস্থ থাকেন। তাই এই সম্পর্ক থেকে দূরে সরে আসুন আপনি নিজেই।

৮) সঙ্গী আপনাকে অতিরিক্ত সন্দেহ করেন

ভালোবাসায় কিছুটা ঈর্ষা থাকবেই, কারণ যখন আপনি কারো সাথে একটু হেসে কথা বলবেন তখন তিনি একটু না একটু ঈর্ষান্বিত হবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ঈর্ষা অতিরিক্ত হয়ে গেলে এবং ঈর্ষা সন্দেহে রূপান্তরিত হলে সমস্যার শুরু হয়। যিনি সব সময় আপনাকে সন্দেহ করেন তার সাথে সময় কাটানো বিশেষ করে জীবন কাটানো অনেক কষ্টকর।

Unknown

Author & Editor

Has laoreet percipitur ad. Vide interesset in mei, no his legimus verterem. Et nostrum imperdiet appellantur usu, mnesarchum referrentur id vim.

0 comments:

Post a Comment

0

একজন সঠিক মানুষের সাথে সম্পর্ক হলে জীবনে সুখ ধরে রাখা যায়। হয়তো মানুষটি পারফেক্ট নন, কিন্তু তার কিছু জিনিসে পারফেক্ট না হওয়াটাই আপনার জন্য তাকে একবারে সঠিক মানুষ বানিয়ে দেয়। এমন মানুষের সাথে হাসিখুশি ভাবে থেকে পুরো জীবন কাটিয়ে দেয়া সম্ভব হয়। কিন্তু যখন একজন ভুল মানুষের সাথে সম্পর্ক হয় তখন সেই সম্পর্কটি কষ্ট করে টেনে চলার চাইতে সম্পর্ক থেকেই দূরে সরে যাওয়া দুজনের জন্যই ভালো। কিন্তু কীভাবে বুঝবেন সঙ্গীর সাথে আপনার সম্পর্কটির ভবিষ্যৎ একেবারেই সুখকর নয়। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক কোন সম্পর্ক থেকে সরে আসাই ভালো হবে আপনার জন্য।

১) আপনাদের মধ্যে বয়সের পার্থক্য অনেক বেশি

অনেকের মতে সম্পর্কের ক্ষেত্রে নারী পুরুষের বয়সের পার্থক্য হওয়া ভালো। কিন্তু যখনই এই বয়সের পার্থক্য একটু বেশি হয়ে যায় তখন জেনারেশন গ্যাপের বিষয়টি চলে আসে। কথায় বা তর্কে হুট করে বলে ফেলেন, ‘আমার বয়স বেশি, আমি জীবন তোমার থেকে বেশি দেখেছি, আমি বেশি জানি, আমি যা বলবো তাই মেনে নিতে হবে’ ইত্যাদি ধরণের কথা। যা সম্পর্কের জন্য একেবারেই ভালো নয়। তাই সম্পর্কের ক্ষেত্রে বয়সের পার্থক্য বেশি হওয়া সম্পর্কের জন্য ভালো নয় একেবারেই। এই বিষয়টির প্রতি নজর দেয়া উচিত। যদি অতিরিক্ত সমস্যা মনে হয় তাহলে এই সম্পর্কে না এগুনোই ভালো।

২) আপনি অথবা সে সম্পর্কে ধোঁকা দিচ্ছেন

সম্পর্কে যেই ধোঁকা দিয়ে থাকুন না কেন সেই সম্পর্কটি সুস্থ ও স্বাভাবিক নয়। যদি মনে করে থাকেন সময়ের সাথে সাথে এই ব্যাপারটির সমাধান করতে পারবেন তাহলে ভুল করছেন। যদি আপনি ধোঁকা দিয়ে থাকেন বা তিনি ধোঁকা দেন তাহলে সম্পর্ক থেকে সরে আসাই শ্রেয়।

৩) আপনি নিজেকে হারিয়ে ফেলছেন

প্রথম প্রথম সম্পর্কে একে অপরের সাথে অনেকটা সময় ব্যয় করা হয় বিষয়টি সত্যি। কিন্তু সম্পর্ক শুরুর পর থেকে নিজের বন্ধুবান্ধব থেকে দূরে সরে আসা, কিংবা অনেক কিছু বাদ দিয়ে একসাথে সময় কাটানোর বিষয়টি পরবর্তীতে মেনে নেয়া কষ্টকর। এখানে আপনার জীবনের কিছু অংশ হারিয়ে আপনার সম্পর্ক এগিয়ে নিতে যেতে হচ্ছে। সুতরাং এই ধরণের সম্পর্ক দুজনের জন্যই ক্ষতিকর। যদি বিষয়গুলো কথা বলে ঠিক করে নিতে পারেন তাহলে দ্বিতীয়বার চেষ্টা করতে পারেন নতুবা নয়।

৪) কিছু বললেই তিনি অতিরিক্ত রিঅ্যাক্ট করেন
কথা বলে অনেক সমস্যা সমাধান করে ফেলা সম্ভব। কিন্তু তার সাথে কোনো ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করলেই যদি তিনি অতিরিক্ত রিঅ্যাক্ট করে বসেন তাহলে তার সাথে কোনো ব্যাপার নিয়ে কথা বলাই সম্ভব হয়ে উঠে না। কিন্তু সম্পর্কে থাকলে কথা বলে সমস্যা সমাধান করাটাই স্বাভাবিক। এমন অবস্থায় আপনাদের সম্পর্ক নিয়ে দ্বিতীয়বার চিন্তা করুন।

৫) আপনার নিজের মতো করে সময় পান না

সম্পর্কে থাকেই যে সারাটি সময় দুজনকে একসাথে থাকতে হবে এমন কোনো কথা নেই। দুজনেরই নিজস্ব জীবন রয়েছে, নিজস্ব কিছু কাজ রয়েছে এবং বাদবাকি সম্পর্ক রয়েছে। আপনি সম্পর্কে থাকলে যদি নিজের জন্য সময় একেবারেই না পান তাহলে সম্পর্কটি একটি পর্যায়ে বোঝার মতো মনে হতে থাকবে। সুতরাং এখনই এই সমস্যার সমাধান করে ফেলুন তা না হলে সুখী থাকতে পারবেন না।

৬) আপনি তাকে নিয়ে দ্বিধায় ভোগেন

আপনি কি আপনার প্রিয় মানুষটিকে আপনার পরিবার বা বন্ধুবান্ধবের সাথে পরিচয় করাতে দ্বিধা বোধ করেন? কিংবা আপনার অনেক ব্যাপারই তাকে জানাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না? তাহলে আপনি তাকে নিয়ে অনেক দ্বিধায় রয়েছেন। এই সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নেই। এই সম্পর্ক ছেড়ে সরে আসাই দুজনের জন্য মঙ্গলজনক।

৭) আপনার সঙ্গী সব সময় সকলের আকর্ষণ ধরে রাখতে চান

যদি আপনার প্রিয় মানুষটি আপনার মনোযোগ পাওয়ার জন্য নিজেকে তৈরি করেন তাহলে তা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু যদি তিনি শুধু আপনারই নয় সকলের আকর্ষণ নিজের দিকে ধরে রাখতে চান তাহলে আপনাদের সম্পর্কটি স্বাভাবিক নয়। এই ধরণের মানুষজন মানসিক ভাবে কিছুটা অসুস্থ থাকেন। তাই এই সম্পর্ক থেকে দূরে সরে আসুন আপনি নিজেই।

৮) সঙ্গী আপনাকে অতিরিক্ত সন্দেহ করেন

ভালোবাসায় কিছুটা ঈর্ষা থাকবেই, কারণ যখন আপনি কারো সাথে একটু হেসে কথা বলবেন তখন তিনি একটু না একটু ঈর্ষান্বিত হবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ঈর্ষা অতিরিক্ত হয়ে গেলে এবং ঈর্ষা সন্দেহে রূপান্তরিত হলে সমস্যার শুরু হয়। যিনি সব সময় আপনাকে সন্দেহ করেন তার সাথে সময় কাটানো বিশেষ করে জীবন কাটানো অনেক কষ্টকর।

Post a Comment

Dear readers, after reading the Content please ask for advice and to provide constructive feedback Please Write Relevant Comment with Polite Language.Your comments inspired me to continue blogging. Your opinion much more valuable to me. Thank you.

 
biz.