Sunday, July 6, 2014

কৃত্রিমভাবে ফল পাকানোর ফল আসলেই কতটুকু ভাল ...উন্নত জাতির উন্নত ক্ষতি



আসসালামু আলাইকুম।কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভালই আছেন।  ভাল আছেন নিশ্চই। ভাল থাকুন ভাল থাকাই ভাল। আলহামদুলিল্লাহ আমি ভাল আছি। আর আমি সব সময় ভালোর দলেই থাকি।মানুষ প্রতিনিয়ত কৃত্রিমতার দিকে ঝুঁকছে। বিভিন্ন কারণে কৃত্রিম জিনিসের সহায়তা নেওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। ঘাড়ের ওপর সবার যেমন
মাথা আছে, সেই মাথায় কমবেশি চুলও আছে। তবুও অনেকে কৃত্রিম চুল ব্যবহার করেন। চোখে লেন্স থাকা সত্ত্বেও অনেকে ব্যবহার করেন কৃত্রিম লেন্স। কৃত্রিমতার একটা আলাদা গুরুত্ব নিশ্চয়ই আছে। তারই ধারাবাহিকতায় কৃত্রিমভাবে ফল পাকানোর ঐতিহ্য চালু হয়েছে আমাদের দেশে। গাছের পাকা ফল খাওয়ার জন্য এখন আমাদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয় না। সেই কোন জ্যৈষ্ঠ মাসে আম পাকবে, তার জন্য কি আমরা অপেক্ষা করব? জ্যৈষ্ঠের আগেই আমাদের পাকা আম খাওয়ার সাধ হতে পারে। এত দিন এই সাধ ছিল স্বপ্ন। কিন্তু এখন আমরা কার্বাইড দিয়ে সহজেই আম, কাঁঠালসহ বিভিন্ন ফল অত্যন্ত যত্ন সহকারে পাকিয়ে ফেলতে পারি। কী চমৎকার ব্যাপার! কার্বাইড বা অন্যান্য কেমিক্যাল দিয়ে ফল পাকানোর এই প্রক্রিয়াও যে একটা শিল্প হতে পারে, তা আগে কেউ ভাবেনি। এ শিল্পে বিশ্বে বাংলাদেশ শীর্ষে আছে বলা যায়।
সেদিন বেশি দূরে নয়, যখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ পাকানোর জন্য বাংলাদেশে কাঁচা ফল পাঠাবে। সেই সঙ্গে সৃষ্টি হবে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করার অমিত সম্ভাবনা। আর কর্মসংস্থানের সুযোগ তো থাকছেই। কে জানে, হয়তো অদূর ভবিষ্যতে কৃত্রিম ফল উদ্ভাবনও করে ফেলব আমরা। সেসব ফল বিদেশে রপ্তানি করে আয় করা যাবে বৈদেশিক অর্থ। অনেকেই বলেন, মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হতে বাংলাদেশের খুব বেশি সময় লাগবে না। কথা সত্য। অন্তত ফল পাকানোর এই শিল্প যদি আমরা ধরে রাখতে পারি, তবে এর সুফল ভোগ করবে পুরো জাতি। আশা করি, কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে পাকা পদক্ষেপ নেবে।

সুত্র: প্রথম আলো

Unknown

Author & Editor

Has laoreet percipitur ad. Vide interesset in mei, no his legimus verterem. Et nostrum imperdiet appellantur usu, mnesarchum referrentur id vim.

0 comments:

Post a Comment

0


আসসালামু আলাইকুম।কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভালই আছেন।  ভাল আছেন নিশ্চই। ভাল থাকুন ভাল থাকাই ভাল। আলহামদুলিল্লাহ আমি ভাল আছি। আর আমি সব সময় ভালোর দলেই থাকি।মানুষ প্রতিনিয়ত কৃত্রিমতার দিকে ঝুঁকছে। বিভিন্ন কারণে কৃত্রিম জিনিসের সহায়তা নেওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। ঘাড়ের ওপর সবার যেমন
মাথা আছে, সেই মাথায় কমবেশি চুলও আছে। তবুও অনেকে কৃত্রিম চুল ব্যবহার করেন। চোখে লেন্স থাকা সত্ত্বেও অনেকে ব্যবহার করেন কৃত্রিম লেন্স। কৃত্রিমতার একটা আলাদা গুরুত্ব নিশ্চয়ই আছে। তারই ধারাবাহিকতায় কৃত্রিমভাবে ফল পাকানোর ঐতিহ্য চালু হয়েছে আমাদের দেশে। গাছের পাকা ফল খাওয়ার জন্য এখন আমাদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয় না। সেই কোন জ্যৈষ্ঠ মাসে আম পাকবে, তার জন্য কি আমরা অপেক্ষা করব? জ্যৈষ্ঠের আগেই আমাদের পাকা আম খাওয়ার সাধ হতে পারে। এত দিন এই সাধ ছিল স্বপ্ন। কিন্তু এখন আমরা কার্বাইড দিয়ে সহজেই আম, কাঁঠালসহ বিভিন্ন ফল অত্যন্ত যত্ন সহকারে পাকিয়ে ফেলতে পারি। কী চমৎকার ব্যাপার! কার্বাইড বা অন্যান্য কেমিক্যাল দিয়ে ফল পাকানোর এই প্রক্রিয়াও যে একটা শিল্প হতে পারে, তা আগে কেউ ভাবেনি। এ শিল্পে বিশ্বে বাংলাদেশ শীর্ষে আছে বলা যায়।
সেদিন বেশি দূরে নয়, যখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ পাকানোর জন্য বাংলাদেশে কাঁচা ফল পাঠাবে। সেই সঙ্গে সৃষ্টি হবে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করার অমিত সম্ভাবনা। আর কর্মসংস্থানের সুযোগ তো থাকছেই। কে জানে, হয়তো অদূর ভবিষ্যতে কৃত্রিম ফল উদ্ভাবনও করে ফেলব আমরা। সেসব ফল বিদেশে রপ্তানি করে আয় করা যাবে বৈদেশিক অর্থ। অনেকেই বলেন, মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হতে বাংলাদেশের খুব বেশি সময় লাগবে না। কথা সত্য। অন্তত ফল পাকানোর এই শিল্প যদি আমরা ধরে রাখতে পারি, তবে এর সুফল ভোগ করবে পুরো জাতি। আশা করি, কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে পাকা পদক্ষেপ নেবে।

সুত্র: প্রথম আলো

Post a Comment

Dear readers, after reading the Content please ask for advice and to provide constructive feedback Please Write Relevant Comment with Polite Language.Your comments inspired me to continue blogging. Your opinion much more valuable to me. Thank you.

 
biz.