Monday, July 21, 2014

একজন অদম্য মেধাবী আইটি প্রফেশনালকে বাঁচিয়ে রাখতে সবাই এগিয়ে আসুন।

আসসালামু আলাইকুম।
একজন অদম্য মেধাবী আইটি প্রফেশনালকে বাঁচিয়ে রাখতে
মানবিক আবেদন
আমরা যারা বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টর, বেসিস ও আউটসোর্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত আছি তারা অনেকেই ‘জ়াহিদুল ইসলাম’কে চিনি। তিনি তার স্বীয় দক্ষতা ও চেষ্টার ফলে ২০১৩ সালে ঢাকা জেলা ক্যাটাগরিতে বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন।

জাহিদ আমাদের সকলের থেকে একজন ব্যতিক্রমি মানুষ। ২ বছর বয়স থেকে পোলিও রোগে আক্রান্ত হয়েও শারিরিক প্রতিবন্ধি হয়ে পড়েন। ত
বে তিনি পরিবারের বোঝা হয়ে থাকেননি। সকল প্রতিবন্ধকতাকে জয় করেছেন। তার পক্ষে চাকরি করা সুবিধাজনক নয়, তাই ফ্রিল্যান্সিংকে পেশা হিসেবে নেন। আর এই ফ্রিল্যান্সিংয়ে নিজেকে সফল করে তোলার পাশাপাশি কাজের স্বীকৃতিস্বরুপ বেসিসের বর্ষসেরা ফ্রিল্যান্সারের পুরস্কারও পান।

হাটতে না পারলেও জাহিদের বাবা-মা কষ্ট করে কোলে নিয়ে তাকে স্কুল-কলেজের পড়াশোনা করিয়েছেন। উচ্চ শিক্ষার প্রতি জাহিদের প্রবল আগ্রহ থাকায় হুইল চেয়ারে বসেই জাহিদ সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ পড়েছেন। তার শারিরিক প্রতিবন্ধকতার কথা বিবেচনা করে উভয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে শতভাগ ওয়েভার দেয়।
জাহিদুল ইসলাম শুধু তার নিজের গন্ডির মধ্যেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি। তিনি বাংলাদেশের শারিরিক প্রতিবন্ধি মানুষের উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান নিয়ে স্বপ্ন দেখেছেন। শারিরিক প্রতিবন্ধিরা যাতে এই পেশায় এসে অন্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে না থাকে সেই বিষয়ে সবাইকে অনুপ্রাণিত করার চেষ্টাও করেছেন। তার দেখাদেখি অনেকেই এই পেশায় এসেছেন।
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, বাবা-মার অসীম ত্যাগ ও জাহিদের মেধা ও শ্রম যখন তাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলো, ঠিক তখনই তিনি ‘SCOLIOSIS’ (মেরুদন্ড বাঁকা হয়ে যাওয়া) রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। দীর্ঘ সময় ধরে বসে কম্পিউটার ব্যবহার করার ফলে জাহিদের মেরুদন্ড ৫৫ ডিগ্রী বাঁকা হয়ে গেছে। ফলে এখন পিঠে ও ঘাড়ে প্রচন্ড ব্যাথা এবং বাঁকা মেরুদন্ড হার্টে আঘাত করছে। এতে প্রচন্ড বুকে ব্যাথা ও শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। তিনি এখন ১০ মিনিটও বসে থাকতে পারেন না।
দিনে দিনে জাহিদের মেরুদন্ড আরও বেশি বাঁকা হয়ে যাচ্ছে। শিগগিরই তার সুস্থতার জন্য দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে জাহিদের এই চিকিৎসার জন্য ১৬ থেকে ১৭ লাখ টাকা প্রয়োজন। জাহিদের বাবা একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত আছেন। তারপক্ষে এতো টাকা ব্যয়ভার বহন করা একেবারেই অসম্ভব। অন্যদিকে এতোদিন জাহিদ ফ্রিল্যান্সিং করে পরিবারকে যে সহায়তা করতো, মেরুদন্ড বাঁকা হয়ে যাওয়ার কারণে সে এখন ফ্রিল্যান্সিং দুরের কথা, কম্পিউটারের সামনে কিছুক্ষণ বসেই থাকতে পারেন না।
এমতাবস্থায় ফ্রিল্যান্স-আউটসোর্সিং তথা দেশের তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের এ সফল তরুণকে বাঁচিয়ে রাখতে সবাইকে এগিয়ে আসা প্রয়োজন। বেসিসের পক্ষ থেকে বর্ষসেরা এই ফ্রিল্যান্সারের চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের সকল সদস্যের সাধ্যমতো সহায়তায় হয়তো বেঁচে যেতে পারে এই তরুণের জীবন। সে আবার স্বপ্ন দেখতে পারবে নিজেকে স্বাবলম্বী করার, পরিবারকে সহায়তা করার ও দেশের শারিরিক প্রতিবন্ধিদের স্বাবলম্বী হওয়ার। তাই বেসিসের পক্ষ থেকে সবাইকে এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করছি।
আপনার সাহায্য পাঠিয়ে দিন নিন্মলিখিত ব্যাংক এ্যাকাউন্টে:
Bank Name : United Commercial Bank(UCBL)
Account Name: BASIS Welfare Fund
Account Number: 0044-13200000676
Branch Name : Kawran Bazar
ফ্রিলান্সার জাহিদ এর চিকিৎসার জন্য নিম্ন লিখিত নাম্বারে বিকাশ ও করতে পারেন।
আমাদের বিকাশ নাম্বার 01798323118
অনুরোধে,
শামীম আহসান
সভাপতি
বেসিস

Unknown

Author & Editor

Has laoreet percipitur ad. Vide interesset in mei, no his legimus verterem. Et nostrum imperdiet appellantur usu, mnesarchum referrentur id vim.

0 comments:

Post a Comment

0
আসসালামু আলাইকুম।
একজন অদম্য মেধাবী আইটি প্রফেশনালকে বাঁচিয়ে রাখতে
মানবিক আবেদন
আমরা যারা বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টর, বেসিস ও আউটসোর্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত আছি তারা অনেকেই ‘জ়াহিদুল ইসলাম’কে চিনি। তিনি তার স্বীয় দক্ষতা ও চেষ্টার ফলে ২০১৩ সালে ঢাকা জেলা ক্যাটাগরিতে বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন।

জাহিদ আমাদের সকলের থেকে একজন ব্যতিক্রমি মানুষ। ২ বছর বয়স থেকে পোলিও রোগে আক্রান্ত হয়েও শারিরিক প্রতিবন্ধি হয়ে পড়েন। ত
বে তিনি পরিবারের বোঝা হয়ে থাকেননি। সকল প্রতিবন্ধকতাকে জয় করেছেন। তার পক্ষে চাকরি করা সুবিধাজনক নয়, তাই ফ্রিল্যান্সিংকে পেশা হিসেবে নেন। আর এই ফ্রিল্যান্সিংয়ে নিজেকে সফল করে তোলার পাশাপাশি কাজের স্বীকৃতিস্বরুপ বেসিসের বর্ষসেরা ফ্রিল্যান্সারের পুরস্কারও পান।

হাটতে না পারলেও জাহিদের বাবা-মা কষ্ট করে কোলে নিয়ে তাকে স্কুল-কলেজের পড়াশোনা করিয়েছেন। উচ্চ শিক্ষার প্রতি জাহিদের প্রবল আগ্রহ থাকায় হুইল চেয়ারে বসেই জাহিদ সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ পড়েছেন। তার শারিরিক প্রতিবন্ধকতার কথা বিবেচনা করে উভয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে শতভাগ ওয়েভার দেয়।
জাহিদুল ইসলাম শুধু তার নিজের গন্ডির মধ্যেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি। তিনি বাংলাদেশের শারিরিক প্রতিবন্ধি মানুষের উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান নিয়ে স্বপ্ন দেখেছেন। শারিরিক প্রতিবন্ধিরা যাতে এই পেশায় এসে অন্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে না থাকে সেই বিষয়ে সবাইকে অনুপ্রাণিত করার চেষ্টাও করেছেন। তার দেখাদেখি অনেকেই এই পেশায় এসেছেন।
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, বাবা-মার অসীম ত্যাগ ও জাহিদের মেধা ও শ্রম যখন তাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলো, ঠিক তখনই তিনি ‘SCOLIOSIS’ (মেরুদন্ড বাঁকা হয়ে যাওয়া) রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। দীর্ঘ সময় ধরে বসে কম্পিউটার ব্যবহার করার ফলে জাহিদের মেরুদন্ড ৫৫ ডিগ্রী বাঁকা হয়ে গেছে। ফলে এখন পিঠে ও ঘাড়ে প্রচন্ড ব্যাথা এবং বাঁকা মেরুদন্ড হার্টে আঘাত করছে। এতে প্রচন্ড বুকে ব্যাথা ও শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। তিনি এখন ১০ মিনিটও বসে থাকতে পারেন না।
দিনে দিনে জাহিদের মেরুদন্ড আরও বেশি বাঁকা হয়ে যাচ্ছে। শিগগিরই তার সুস্থতার জন্য দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে জাহিদের এই চিকিৎসার জন্য ১৬ থেকে ১৭ লাখ টাকা প্রয়োজন। জাহিদের বাবা একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত আছেন। তারপক্ষে এতো টাকা ব্যয়ভার বহন করা একেবারেই অসম্ভব। অন্যদিকে এতোদিন জাহিদ ফ্রিল্যান্সিং করে পরিবারকে যে সহায়তা করতো, মেরুদন্ড বাঁকা হয়ে যাওয়ার কারণে সে এখন ফ্রিল্যান্সিং দুরের কথা, কম্পিউটারের সামনে কিছুক্ষণ বসেই থাকতে পারেন না।
এমতাবস্থায় ফ্রিল্যান্স-আউটসোর্সিং তথা দেশের তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের এ সফল তরুণকে বাঁচিয়ে রাখতে সবাইকে এগিয়ে আসা প্রয়োজন। বেসিসের পক্ষ থেকে বর্ষসেরা এই ফ্রিল্যান্সারের চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের সকল সদস্যের সাধ্যমতো সহায়তায় হয়তো বেঁচে যেতে পারে এই তরুণের জীবন। সে আবার স্বপ্ন দেখতে পারবে নিজেকে স্বাবলম্বী করার, পরিবারকে সহায়তা করার ও দেশের শারিরিক প্রতিবন্ধিদের স্বাবলম্বী হওয়ার। তাই বেসিসের পক্ষ থেকে সবাইকে এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করছি।
আপনার সাহায্য পাঠিয়ে দিন নিন্মলিখিত ব্যাংক এ্যাকাউন্টে:
Bank Name : United Commercial Bank(UCBL)
Account Name: BASIS Welfare Fund
Account Number: 0044-13200000676
Branch Name : Kawran Bazar
ফ্রিলান্সার জাহিদ এর চিকিৎসার জন্য নিম্ন লিখিত নাম্বারে বিকাশ ও করতে পারেন।
আমাদের বিকাশ নাম্বার 01798323118
অনুরোধে,
শামীম আহসান
সভাপতি
বেসিস

Post a Comment

Dear readers, after reading the Content please ask for advice and to provide constructive feedback Please Write Relevant Comment with Polite Language.Your comments inspired me to continue blogging. Your opinion much more valuable to me. Thank you.

 
biz.